প্রায় প্রাচীন অরণ্যের প্রবাদে পরিণত হয়েছিল যিশু সেনগুপ্ত এবং সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের বন্ধুত্ব। কেরিয়ারের দ্বিতীয় ইনিংসে সৃজিতের হাত ধরেই ফিরেছিলেন যিশু। একের পর এক সুপারহিট সব ছবি দর্শকদের উপহার দিয়েছেন এই পরিচালক-অভিনেতা জুটি। তবে এবার নাকি সেই সম্পর্কে ফাটল ধরেছে বেশ অনেকটাই। তার জেরেই শোনা গেল সৃজিতের♔ নতুন ছবিতে 'নায়ক' হওয়ার প্রস্তাব পত্রপাঠ নাকচ করে দিয়েছেন যিশু! অনেকদিন ধরেই শ্রীচৈতন্যকে নিয়ে ছবি করার পরিকল্পনা ফেঁদে রেখেছেন সৃজিত। সেই ছবির প্রযোজকের দায়িত্বে রয়েছেন 'জাতিস্মর' ছবি খ্যাত রানা সরকার। বছর দু'য়েক আগে একবার সেকথা জানিয়েওছিলেন। মাঝে সেই ছবি নিয়ে কথা শোনা না গেলেও সম্প্রতি ফের এ꧃কবার সেই ছবি নিয়ে তোড়জোড় শুরু হয়েছে পরিচালক-প্রযোজক দু'পক্ষের তরফেই।
ছবির নাম রাখা হয়েছে 'লহ গৌরাঙ্গের নাম রে'। হিন্দুস্তান টাইমসকে এই নাম জানানোর পাশাপাশি প📖্রযোজক রানা সরকার আরও বললেন যে ছবিতে শ্রীচৈতন্যর জীবনের বড় একটা অংশ তো থাকবেই তার সঙ্গে থা🐼কবে চৈতন্যদেবের অন্তর্ধান রহস্যর খুঁটিনাটি বিষয়ও। তবে পুরোপুরি পিরিয়ড ফিল্ম হবে না এই ছবি। কেন হবে না সে সেই জবাবে অবশ্য এখনই জানাতে নারাজ তিনি। তবে যিশু আর থাকছেন না 'মহাপ্রভু'-র চরিত্রে। তবে কে আসছেন তাঁর জায়গায়? সে বিষয় না ভাঙলেও রানা সরকার জানালেন, 'নতুন,পুরোনো সবরকম 'অপশন'-ই ভেবে দেখা হচ্ছে। আলোচনা চলছে। এখনই কিছু ফাইনাল হয়নি।'
অবশ্য, ইন্ডাস্ট্রিতে জোর গুঞ্জন যিশুর বদলে এই ছবিতে 'মহাপ্রভু'-র চরিত্রে নাকি এবার দর্শকদ🔯ের সামনে হাজির হবেন অনির্বাণ ভট্টাচার্য! অবশ্য সে প্রসঙ্গ উঠতেই সরাসরি এ খবরকে স্রেফ ভুয়ো বলে উড়িয়ে দিলেন 'চতুষ্কোণ' ছবি খ্যাত এই প্রযোজক। বললেন, 'একেবারেই নয়। অনির্বাণ এই ছবিতে অবশ্যই রয়েছেন অন্যতম মুখ্যভূমিকায়। তবে মহাপ্রভু হিসেবে নয়। অনির্বাণের চরিত্রটি ছাড়া এই ছবি অসম্পূর্ণ এটুকু বলতে পারি আমি।আর সঙ্গে এটাও বলব যিশুকে ভীষণভাবে চেয়েছিলাম এই ছবিতে শ্রীচৈতন্যের ভূমিকায়। কারণ নিজের অভিনয়ের কেরিয়ার যেহেতু 'মহাপ্রভু' হিসেবেই শুরু করেছিল ও, তাই আজও পর্দায় 'শ্রীচৈতন্য' বলতে এককথায়🐈 ওঁকেই মনে পড়ে যায় বাঙালি দর্শকের। কিন্তু ওঁর ব্যস্ততার সুবাদেই এই ছবিতে কাজ করতে পারবে না যিশু। আমাকে অন্তত তাই বলা হয়েছে।'
তব🌌ে ছবির নির্মাতা সংস্থাদের তরফে কিছু বলা না হলেও টলিপাড়ায় জোর গুঞ্জন সৃজিতের কিছু ব্যবহারে যিশু আহত হয়েছেন বলেই হয়তো পরিচালকের সঙ্গে কাজ করতে তিনি আগ্রহী নন। সৃজিত অবশ্য জানিয়েছেন যে তাঁর এই ছবিতে যিশুর না কাজ করার কারণ তিনি জানেন না। তাঁর কথায়,'রানা ওর সঙ্গে মিটিং করতে চেয়েছিল। কিন্তু ও এখন আলোচনা করতে চায় না।' তবে অনির্বাণ যে তাঁর নির্দেশনায় এ ছবির অন্যতম গ๊ুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় অভিনয় করতে চলেছেন সেকথাও জানাতে ভোলেননি তিনি।
সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে চলতি বছরের শেষদিকে কিংবা আগামী বছরের শুরুতেই এই ছবির শুটিং শুরু করে দেন সৃজিত।নেতাজি অন্তর্ধান রহস্যের বিভিন্ন ঘটনার ওপর ভিত্তি করে সৃজিত মুখোপাধ্যায় পরিচাল🦹িত 'গুমনামী' ছবি যে তুফান তুলেছিল বক্স অফিস থেকে শুরু করে বসু পরিবার পর্যন্ত, তার স্মৃতি আজও দর্শকদের মনে টাটকা। এবার শ্রীচৈতন্যদেবের অন্তর্ধান রহস্য নিয়ে কী বিস্ফোরণ ঘটাতে চলেছে 'লহ গৌরাঙ্গের নাম রে', তা বলবে সময়ই।