পারভিন ববি আর কবীর বেদির সম্পর্ক বলিউডের অন্যতম চর্চিত বিষয়। গত বছর নিজের আত্মজীবনী প্রকাশ করেন কবীর বেদী। বইয়ের নাম রেখেছেন, 'আই মাস্ট টেল'। সেই বইয়ে জীবনের একাধিক ব𒅌িয়ে ও সম্পর্কের কথা সামনে এনেছেন বর্ষীয়ান অভিনেতা।
স্বভাবতই বারংবার উঠে এসেছে পারভিন ব🔯বির প্রসঙ্গ। নায়িকার সঙ্গে সম্পর্ক থেকে শুরু করে, মৃত্যুর পর শেষযাত্রায় সঙ্গী হওয়া— বাদ যায়নি কোনও কিছুই। প্রথম স্ত্রী প্রতিমার সঙ্গে বিবাহিত জীবন চলাকালীনই পারভিনের প্রেমে পড়েন কবীর। ‘স্টোরিজ আই মাস্ট টেল’-এ অভিনেতা লিখেছে𝄹ন, ‘আমার কারণেই সেই বিয়ে ভাঙে। আমাদের মধ্যে ভালোবাসা হারিয়ে গিয়েছিল, পুরনো ম্যাজিকটাও খুঁজে পাচ্ছিলাম না।’
তখনই কবীর বেদীর জীবনে প্রবেশ করেন পারভিন। কবীরের কথায়, ﷽;‘পারভিনের লম্বা চুল, ফরসা চেহারা আমার মন কেড়েছিল। যদিও তখন ও ছিল ড্যানি ডেনজংপা-র বান্ধবী। ওর ছেঁড়া জিন্স, প্রকাশ্যে ধূমপান সবটাই আমাকে মারাত্মক আকৃষ্ট করত।’
কেরিয়ারের শেষের দিকে সিজোফ্রেনিয়া নামক মানসিক রোগে তিনি আক্রান্ত হয়েছিলেন পারভিন। তখন কবীরকে ছেড়ে সম্পর্কে রয়েছেন মহেশ ভাটের সঙ্গে। ১৯৮০ সালে 'শান' ছবির শ্যুটিং চলাকালীন পারভিন অভিযোগ করেছিলেন, অমিতাভ বচ্চন নাকি তাঁর ওপর ঝাড়বাতি ফেলে তাঁকে হত্যা করতে চেয়েছিলেন। পা🐼রভিনের এই বিস্ফোরক বয়ানে সেই সময় কেঁপে উঠেছিল বলি ইন্ডাস্ট্রি। চিকিৎসকের কাছে♐ নায়িকাকে নিয়ে যাওয়া হলে জানতে পারা যায়, তিনি মানসিক রোগে আক্রান্ত। যার ফলে, তিনি সবসময় মনে করতেন কেউ তাঁকে মারতে আসছে। পারভিনের এই সমস্যা জানতে পেরে তাঁকে ছেড়ে চলে যান মহেশ ভাট।
২০০৫ সালের ২০ জানুয়ারি মারা যান পারভিন। কবীর তাঁর আত্মজীবনী ‘স্টোরিজ আই মাস্ট টেল’-এ লিখে♒ছেন, ‘মারা যাওয়ার চারদিন পর জানা যায় পারভিনের মৃত্যুর খবর। ওর জুহুর ফ্ল্যাট থেকেই উদ্ধার হয় দেহ। মৃতদেহ উদ্ধার হলে দেখা যায় একটা পায়ে পচন ধরেছে। একসময়ের সেনসেশনের এভাবে মারা যাওয়া সত্যিই কষ্টের!... ওর শেষযাত্রায়🌳 ওর পরিবারের পাশাপাশি হাজির ছিলাম আমি, ড্যানি ও মহেশ, যারা একসময় ওকে ভোলাবাসত। আমরা তিনজনেই ওকে যতটা জানতাম তা আর কেউ জানত না! তিন জনই নিজের মতো করে ভালোবেসেছি পারভিনকে।’