কলকাতার ঐতিহ্যবাহী পাব ‘সামপ্লেস এলস’। বলা হয় তিলোত্তমার রাত-রংবাজির প্রাণকেন্দ্র এটি। শহরবাসীর হাইহুল্লোড় আর খানা-পিনার অন্যতম পছন্দের জায়গা পার্ক স্ট্রিটের এই বার। শহরের প্রথম ব্রিটিশ স্টাইল এই বারেই শুরু হয়েছিল খাওয়া-দাওয়ার সঙ্গে লাইভ মিউজিকের কনসেপ্ট। পার্ক হোটেলের এই বারে শুক্রবার হাজির হয়েছিলেন ভুবন বাদ্যকর। এই নামটির সঙ্গে গত কয়েক মাসে সবাই পরিচিত। বীরভূমের কুড়ালজুলি গ্রামের এক বাদাম বিক্রেতা আজ ভুবন🦩 কাঁপাচ্ছেন।
এদিন একদম রকস্টারের বেশে কালো ঝমকালো ব্লেজার পরে ‘সামপ্লেস এলস’-এর স্টেজে উঠলেন ভুবন বাদ্যকর। শহুরে অডিয়🌜েন্সকে দেখেও ঘাবড়ে যাননি তিনি। মঞ্চে উঠে ‘জয় রাধে’র নাম নিয়েই নিজের পারফরম্যান্স শুরু করেন বাদাম কাকু। অকপটে বলেন, ‘আমার জ্ঞান খুব কম, আপানাদের কাছে পৌঁছেছি, আশা করছি ঠাঁই পাব’।
কিন্তু ‘সামপ্লেস এলস’-এর মতো শহরের ঐতিহ্যবাহী বারে বাদাম কাকু-র গান ঘিরে আপত্তি নেটপাড়ার একটা বড় অংশে। তাঁদের দাবি কেবলমাত্র ‘ভাইরাল গান’ এটাই শর্ত হওয়ার উচিত নয়, ‘সামপ্লেস এলস’-এর নামী স্টেজে কোনও শিল্পীকে স্থান পাইয়ে দেওয়ার জন্য। অনেকের কাছে স🍸ংগীত একটা সাধনা, সবাই স্বপ্ন দেখে ওখানে গান গাইবার, সেটা ক্ষুণ্ন হচ্ছে বলেই মতামতা তাঁদের। ফেসবুকে অনেকেই আক্ষেপের সুরে জানিয়েছেন, ‘আমাদের মান খুব নীচে নেমে যাচ্ছে। না হলে 🅠সামপ্লেস এলস-এ কাঁচা বাদাম গান! অবিশ্বাস্য, RIP মিউজিক’।
একাং🌌শ যেমন সমালোচনা করেছে, তেমন অনেকেই প্রশংসা করেছꦗেন। গ্রামের এক সাধারণ বাদাম বিক্রেতার গান যে জগত জোড়া খ্যাতি পেয়েছে, সেটা কম কথা নয় মত তাঁদের। এই সব অনামীদের যোগ্য স্টেজ এবং যোগ্য সম্মান দেওয়াটা অত্যন্ত দরকার বলে সওয়াল করেন তাঁরা।
আপনাদের কী মনে হয় শুধু ভাইরꦿাল হওয়াটাই গায়ক হওয়ার মাপকাঠি? নাকি এর জন্য প্রয়োজন প্রকৃ🐠ত অধ্যবসায়?