মেয়ের বয়স তবে ৯ দিন। সারাক্ষণ একরত্তিকে আগলাতে ব্যস্ত কাঞ্চন-শ্রীময়ী। মেয়ে কৃষভির জন্য রাত জাগছেন কাঞ্চন, জানিয়েছেন তাঁর স্ত্রী। মেয়ের জন্মের পর প্রথম হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে অভিনেতা বলেছিলেন, তাঁর ঘরে লক্ষ্মী এসেছে। এখন সেই লক্ষ্মীর আদর-যত্নে যাতে কোনও খামতি না হয় সেই দিকেই নজর তাঁর। খুব খেয়াল রাখছেন শ্রীময়ীরও। 🌃আরও পড়ুন-বিয়ের সাড়ে ৮ মাসেই মা, প্রেগন্যান্সি আনপ্ল্যানড? কবে জানতে পারেন তিনি গর্ভবতী? শ্রীময়ী বললেন…
প্রাক্তন স্বামীর ঘরে কন্যা সন্তান আসায় শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন পিঙ্কি। বলেছিলেন, কৃষভির জন্ম কোনও প্রভাব ফেলেনি কা🌸ঞ্চন-পুত্রের উপর। কাঞ্চন ও তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী পিঙ্কির একমাত্র পুত্র বছর দশেকের ওশ। মা-কে ঘিরেই তাঁর গোটা জগত।
রবিবার রাতে ছেলের সঙ্গে ডিনার ডেটে হাজির পিঙ্কি। সেই ছবি নিজের সোশ্যাল মিডিয়ার দেওয়ালে ভাগ করে নিয়েছেন কাঞ্চনের প্রাক্তন। অভিনেত্রী সোশ্যাল🃏 মিডিয়ার দেওয়ালে লেখেন, ‘স্মৃতি রয়ে যাবে সময়ের ক্যাপসুলে। ৯৫ ডিগ্রি, আমাদের প্রিয় ডাইনিং প্লেস। মনে হয় যেন বাড়িতেই রয়েছি’। ছবিতে দেখা গেল ছেলের মাথায় মাথা ঠেকিয়ে রয়েছেন পিঙ্কি। ক্যামেরার দিকে পাউট করে সেলফি তুলেছেন মা-ছেলে। দুজনের পরনেই কালো রঙা পোশাক।
ওশ-পিঙ্কির এই মিষ্টি ছবিতে ভালোবাসা উজার করে দিয়েছেন তাঁর অনুগামীরা। শুধু তাই নয়, এদিন ছেলের আরও বেশকিছু মিষ্টি মুহূর্ত সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাগ করে নেন পিঙ্কি। জানান, ছেলের শৈশবকে সব বিতর্ক থেকে দূরে কেমনভাবে লালন করছেন তিনি। কোন🅺ও গ্রাম্য পরিবেশে ঘুরতে গিয়েছিল মা-ছেলে। সেখানেই ছাগল ছানা কোলে পাওয়া গেল ওশকে। হাতে প্লাস্টার কাঞ্চন-পুত্রের। কখনও সেই চারপেয়ে শিশুর সঙ্গে খেলতে ব্যস্ত সে। কখনও আবার কাগজের নৌকা বানিয়ে খালে ভাসাচ্ছে ওশ। পিঙ্কি জানান, ‘সরলতাকে সংরক্ষণ করাই হল, শৈশবকে অন্দরে কয়েদ করা’।
আরও পডুন-ছেলে ওশ থাকে মায়ের কাছ✤েই, কাঞ্চন আবারও বাবা হয়েছেন শুনেই কী বললেন প্রাক্তন পিঙ্কি?
কাঞ্চন-পিঙ্কির দাম্পত্য ছিল প্রায় এক দশকের। যদিও কাঞ্চনের দাবি ৯ বছর ধরেই এক ছাদের তলায় থাকতেন না তাঁরা। দুজনের দাম্পত্য কলহের ছবিটা সামনে আসে ২০২১ সালের মাঝামাঝি নাগাদ। সেই সময়ই স্বামীর বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ এনেছিলেন পিঙ্কি। আജইনি জটিলতা পেরিয়ে ২০২৪-এর জ𒁃ানুয়ারিতে ডিভোর্স মঞ্জুর হয় দুজনের। পিঙ্কি নিজের মুখে জানিয়েছেন, ডিভোর্সের সময় খোরপোষ বাবদ কাঞ্চন ৫৬ লক্ষ টাকা দিয়েছেন তাঁকে, যদিও সেই অর্থের গোটাটাই ছেলের জন্য। সেই টাকা থেকে এক পয়সাও নিজের জন্য খরচ করবেন না পিঙ্কি।