কঙ্গনা রানাওয়াত এবার লোকসভা নির্বাচনে লড়ছেন। এই লোকসভা নির্বাচনেই তিনি প্রত্যক্ষ ভাবে রাজনীতির ময়দানে যে নামলেন সেটা নয়, হিমাচলের মান্ডি কেন্দ্র থেকে তিনি বিজেপির হয়ে লড়ছেনও বটে। আর তারই প্রচারে সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানিয়েছেন যে ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু নন, বরং নেতাজি। আর তাঁর এই মন্তব্যের পরই উসকে গিয়েছে বিতর্ক। কেউ তাঁর কথায় হেসেছেন, কেউ আবার সম্মতি জানিয়েছেন। কিন্তু এসবের মাঝেই নিজের কথার স্বপক্ষে প্র🤡মাণ দিলেন বিজেপির প্রার্থী।
নেতাজিকে নিয়ে কী লিখলেন কঙ্গনা?
কঙ্গনা রানাওয়াত এদিন তাঁর টুইটার অর্থাৎ যা বর্তমানে এক্স নামে পরিচিত সেখানে একটি স্ক্রিনশট পোস্ট করেন। সেখানে দেখা যাচ্ছে এনডিটিভির একটি রিপোর্টে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু এবং তাঁর আজাদ♍ হিন্দ ফৌজ এবং সরকার প্রসঙ্গে লেখা। সেই রিপোর্টের স্ক্রিনশট শেয়ার করে এদিন কঙ্গনা লেখেন, 'যাঁরা আমায় ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী নিয়ে জ্ঞান দিচ্ছিলেন তাঁরা দয়া কর💧ে এই স্ক্রিনশট পড়ুন। নতুনদের জন্য সাধারণ জ্ঞান আর যাঁরা আমার শিক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তাঁদের জন্যও রইল এটা।'
আরও পড়ুন: 'লালদার শেখানো পথেই প্রতিবাদ করেছি...' সুমনের নাটকে 'ধর্ষক﷽' সুদীপ্ত! প্রতিবাদে গর্জে উঠলেন বেণী বসু
আরও পড়ুন: ইদের আগে শেষ জুম্মার ইফতারে তৃণমূলের তারকা প্রার্থীর ভিড়! কী ক💜ী খেলেন দেব-রচনারা?
একই সঙ্গে কঙ্গনা লেখেন, 'আমি একটি ছবি লিখেছি, পরিচালনা করেছি এবং অভিনয় করেছি, নাম এমারজেন্সি। আর এই ছবিটির গল্প আবর্তিত হয়েছে নেতাজি এবং নেহেরুর পরিবারকে নিয়ে। তাই প্লিজ এটা নিয়ে আমায় জ্ঞান দেবেন না। আপনার আইকিউ যা ত💮ার থেকে অনেকটা বেশি এগিয়ে গিয়ে আমি কথা বলি।'
নেতাজিকে নিয়ে কী বলেছেন কঙ্গনা?
এদিন কঙ্গনা রানাওয়াত একটি সাক্ষাৎকারে বলেছেন, নেতাজি আমাদের প্রথম প্রধান﷽মন্ত্রী। অভিনেত্রীর কথায়, 'আমায় একটা কথা বলো। আমরা যখন স্বাধীনতা পাই তখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী কোথায় ছিলেন?'
সুভাষচন্দ্র বসু কি সত্যিই ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ছিলেন?
কঙ্গনার কথা আংশিক ভাবে ঠিক। কারণ, নেতাজি ১৯৪৩ সালের ২১ অক্টোবর আজাদ হিন্দ সরকার তৈরি করেছিলেন। তিনি তখন নিজেকে প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রের প্রধান এবং যুদ্ধের নায়ক হিসেবে ঘোষণা করেন। আন্দামান স্বল্পকালের জন্য আজাদ হিন্দ সরকারের অধীনে ছিল। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মো𓆉দী এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং আজাদ হিন্দ সরকারের প্রশংসা করেছেন। নেতাজি এবং তাঁর এই আজাদ হিন্দ ফৌজ এবং সরকার অনেকের কাছে অনুপ্রেরণা ছিল।