ক্যামেরার সামনে একফোঁটা আড়ষ্ট নয় খুদে। রীতিমতো পেশাদার মডেলের মতো পোজ দিচ্ছে। চাউনি-তে অদ্ভূত কনফিডেন্স। ছোট থেকেই তাঁর মধ্যে ছিল রাজকীয় হাবভাব। তাই তো পাহাড়ের ছোট্ট গ্রামে নিজেকে আটকে রাখেননি। কৈশোরেই মুম্বই পালিয়ে আসেন।&nb🥃sp;
এই খুদে বলিউডে বিগ ব্রেক পান মাত্র ১৭ বছর বয়সে। তারপর আর পিছন ফিরে থাকাননি। এখন শুধু অভিনেত্রী নন, তিনি 🤪জননেত্রীও। সঙ্গে পরিচালক-প্রযোজক। মেয়েবেলার ছবি দেখে চিনতে পারছেন তাঁকে?
২০𒈔০৬ সালে বাঙালি পরিচালক অনুরাগ বসুর হাত ধরে জার্নি শুরু। কেরিয়ারের শুরুতেই বাবার বয়সী বিবাহিত অভিনেতার সঙ্গে সম্পর্কে জাড়ান এই অভিনেত্রী। এখন কেন্দ্রের শাসক দলের সাংসদ। নিশ্চয় এতক্ষণে চিনে ফেলেছেন তাঁকে? হ্যাঁ, এই খুদে আর কেউ নন কঙ্♌গনা রানাওয়াত। বিতর্ক যাঁর নিত্যসঙ্গী।
অভিনেত্রী কঙ্গন🔯া রানাউত স্মৃতির সরণি বেয়ে মেয়েবেলার একগুচ্🦩ছ ছবি শেয়ার করেছেন ইনস্টাগ্রামে। ভাই অক্ষত রানাওয়াতের জন্মদিনে ছবিগুলি পোস্ট করেন কঙ্গনা।
একটি ছবিতে দেখা গেল অক্ষতকে কেকের টুকরো খাওয়ানোর সময় হাসছেন খুদে কঙ্গনা। শৈশবের আরও ছবি শেয়ার করেছেন অভিনেত্রী। কোথাউ বাড়ির পিছনের সবজি বাগানে পোজ দিচ্ছেন কঙ্গনা, কোথাউ আবার প্যান্ট-টপে রীতিমতো ফ্যাশনিস্তা খুদে। তিনি লেখেন, 'যখনই আমি পুরনো অ্যালবাম দেখি, তখনই হাসি থামাতে পারি না🍎। আমি খুব মজার মেয়ে ছিলাম। আমি আমার সঞ্চয় দিয়ে একটি ছোট ক্যামেরা কিনেছিলাম এবং সারাক্ষণ ছবি তুলছিলাম। বাবা যখনই আমাদের গাড়ি চালিয়ে নিয়ে যেতেন, এমনকি যদি তিনি এক মিনিটের জন্য থামতেন, আমি গাড়ি থেকে লাফিয়ে নেমে♉ পোজ দিতাম।
একটি ছবিতে কঙ্গনা সাদা টপ, কালো প্যান্ট এবং ম্যাচিং বুট পরে রয়েছেন। লাল লিপস্টি♚কও পরেছিলেন তিনি। ক্যামেরার সামনে পোজ দেওয়ার সময় অভিনেত্রী তার একটি পা টেবিলে রেখেছিলেন। এই ছবির সঙ্গে কঙ্গনা লেখেন, ‘আমাকে পড়াশোনা করতে বলা হলে আমি আমার রুমে তালা লাগিয়ে নিজের সঙ্গে এই কাজ করতাম এবং পোজ দ🍸িতাম।
পরের ছবিতে দেখা যাচ্ছে, কঙ্গনা একটি মাঠে একটি গাছে হাত দিয়ে বসে আছেন। তাকে সাদা স্যুট পরে ক্যামেরা থেকে দূরে তাকিয়ে থাকতে দেখা গেছে। অভিনেত্রী লেখেন, ‘আমাকে যদি কিচেন গার্ডেন থেকে কিছু সবজি আনতে বলা হয়, আমি সেই দরিদ্র গাছটিকে প্রপ হিসাবে ব্যবহার করেছি এবং আমি পোজ দিয়েছি। দয়া করে আমার পেছনে গ্রামে♐র ছেলেমেয়েদের এক্সপ্রেশন মিস করবেন না।’
শেষ ছবিতে কঙ্গনাকে একটি দরজায় আয়না সহ একটি আলমারির সামনে পোজ দিতে দেখা গেছে। পোশাকের উপর লাল-হলুদ সোয়েটারে দেখা গিয়েছে তাঁকে। ছবির ক্যাপশনে কঙ্গনা লেখেন, ‘অবশ্যই আমার ভেতরের𝐆 পরিচালক সবসময় আয়নার প্রতিবিম্ব দেখে মুগ্ধ থাকতেন। এত সুন্দর পোজ ছিল’। কঙ্গনার জন্ম ও বেড়ে ওঠা হিমাচল প্রদেশে। ২০০৬ সালে গ্যাংস্টার চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেন। অভিনেত্রী, যা বক্স অফিসে সফল হয়। প্রসঙ্গত, কোয়েল মল্লিক এই ছবির অফার ফিরিয়ে দিলে লিড চরিত্রটি যায় কঙ্গনার কাছে।
কঙ্গনার পরবর্তী ছবি
'আগামিততে ইমার্জেন্সি'তে দেখা যাবে কঙ্গনাকে। জি এন্টারটেইনমেন্ট এন্টারপ্রাইজেস এবং মণিকর্ণিকা ফিল্মস প্রোডাকশন হাউস মূলত ৬ সেপ্টেম্বর মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল। সিবিএফসি-র থেকে সেন্সরের ছাড়পত্র না মেলায় আটকে যায় মুক্তি। সিবিএফসি-র দাবি মেনে ছবিতে নꦰির্দিষ্ট পরিবর্তন আনতে সম্মত হয়েছেন কঙ্গনা। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই সার্টিফিকেট জারি🍨 হবে, তারপরই জানা যাবে ছবি মুক্তির নয়া তারিখ। ১৯৭৫ থেকে ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত ২১ মাসের জন্য দেশে জরুরি অবস্থা জারি করেছিলেন ইন্দিরা গান্ধী, সেই সময়কালকেই এই ছবিতে তুলে ধরেছেন অভিনেত্রী-পরিচালক কঙ্গনা।