𒈔ফের চর্চায় অমিতাভ বচ্চন ও তাঁর কৌন বনেগা ক্রোড়পতি (KBC-16)। এবার 🌟কলকাতার জামাই-এর সামনে হটশিটে হাজির বাংলার এক প্রতিযোগী। বাড়ি পশ্চিমবঙ্গের আগাই গ্রামে। জয়ন্ত একজন ছাত্র, একইসঙ্গেএকজন পার্টটাইম টিউটর। যেখানে থেকে তিনি আয় করেন মাত্র ৪-৫ হাজার টাকা। বোন শিখা দুলের সঙ্গে কেবিসি ১৬-এর মঞ্চে হাজির ছিলেন এরাজ্যের জয়ন্ত। কেবিসি-র মঞ্চ থেকে এই জয়ন্তর বাড়িতেই শৌচালয় বানিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেন অমিতাভ।
ঠিক কী ঘটেছে?
প্রতিযোগিতার শুরুতে ফিঙ্গার ফার্স্ট পর্ব জিতে আবেগঘন হয়ে পড়েন জয়ন্ত দুলে। আবেগে জড়িয়ে ধরেন༺ পাশে দা🌜ঁড়িয়ে থাকা বোনকে। জয়ন্ত জানায় তার স্বপ্নের কথা, সে তার মা ও বোনেদের জন্য একটা টয়লেট বানাতে চায়।
জয়ন্ত বিগ বি অমিতাভের সামনে বলেন, 'আমার বাড়িতে কোনও শৌচালয় বা বাথরুম নেই। শুধু আমাদের বাড়িতেই নয়, আমাদের গ্রামের কারোর বাড়িতেই নেই। পশু থেকে শুরু করে পুরুষ ও মহিলা, সকলেই পুকুরে নেমে স্নান করেন। যে সমস্ত লোকের কাছে টাকা আছে, তাঁরাও টয়লেটের প্রয়োজনীয়তা বোঝেন না। আমার মা পুকুরে স্নান করেন। ওঁর এটাই অভ্যাস হয়ে গেছে। তবে আমা💟র ছোট বোন যখন পুকুরে স্নান করতে যায়, আমার খুব লজ্জা করে। আমি ওর দাদা হয়েও কিছু করতে পারছি না।'
জয়ন্ত বলেন, ‘আমি যখন ক𒐪াজ থেকে বাড়ি ফিরি, দেখি মা ও বোন পুকুরে স্নান করছে, ছেলেরা তাঁদের দিকে তাকিয়ে থাকে, যেটা আমার দেখতে ভালো লাগে না। ছেলেরা মহিলাদের দিকে যেভাবে তাকায়, সেট🐭া অসম্মানজনক।’
জয়ন্তর কথা শুনে অমিতাভ বলেন, ‘আপনার কথা শুনে খুব খারাপ লাগছে, আবার কিছুটা অবাকও হচ্ছি। আমাদের এই ভারতবর্ষে কিছু জায়গা এমনও আছে, যেখানে সাধারণ সুবিধাগুলো এখনও নেই। ’ এরপরই ব🌟িগ বি জয়ন্তকে প্রশ্ন করেন, ‘একটা টয়লেট তৈরি করতে কত টাকা লাগবে?’ উত্তরে জয়ন্ত জানান, ‘৪০-৫০ হাজার।’ আর তখনই বিগ বি বলেন, ‘এখান থেকে তুমি কত টাকা জিতবে জানি না। তবে আমি প্রতিশ্রুতি দিলাম, তোমার বাড়িতে আমি শৌচালয় বানিয়ে দেব।’