'লেটস টক উইথ মেখলা', গায়িকা মেখলা দাশগুপ্তের পডকাস্টে এবার হাজির কীর্তন গায়িকা অদিতি মুন্সি। মেখলা ও অদিতি, বাংলা সারেগামাপা-র একই সিজন থেকে উঠে এসেছিলেন। আর তাই তাঁরা একে অপরকে কেরিয়ারের শুরু থেকেই চেনেন। তবে এখন আর অদিতি মুন্সির পরিচয় শুধু গায়িকা নয়, তিনি শাসক দলের বিধায়িকাও বটে। তবে নিজের শোতে পুরনো ব♒ন্ধু, সহক💧র্মী অদিতিকে নানান প্রশ্ন-জালের মধ্যে আটকে ফেলতে ছাড়লেন না মেখলা।
মেখলার শোয়ে এসে নিজের সারাদিনের রুটিন সম্পর্কেও কথা বলেন অদিতি মুন্সি। বলেন, 'সকালে ঘুম থেকে ওঠা, তারপর ফ্রেস হয়ে চা খেতে বসা, সঙ্গে তানপুরাটা চালানো। আগের দিনের সমস্ত কাꦓগজে সই করতে হয়। তারপর রেওয়াজ করতে বসি। যেদিন যেমন সময় পাই ততক্ষণ রেওয়াজ করি। এরপর সকালে কিংবা বিকেলে স্টুডিয়োতে যাই। এর মধ্যে যদি এলাকায় কোনও এমার্জেন্সি পরিস্থিতি তৈরি হয়, তাহলে তো বের হয়ে পড়তে হয়। আর তখন টাইমের ঠিক থাকে না। আর বাড়ি ফেরার সময় মায়ের সঙ্গে দেখা করি, নাহলে দিনটা ঠিক কমপ্লিট হয় না।'
এরপরই অদিতির কাছে কিছুটা কঠিন প্রশ্ন করে বসেন মেখলা। জিগ্গেস করেন, গোপালপুরে ২০১৬-এ তৃণমূলের ভোট ছিল ৪৪ শতাংশ। তুমি জয়েন করার পর সেটা হল ৪৯ শতাংশ। ৫ শতাংশ ভোট বাড়া মানে অনেকটাই। তো এটা কার ক্যারিশ্মা অদিত🐻ি মুন্সি না তৃণমূলের? এমন প্রশ্ন শুনেই অদিতি বলে বসেন, ‘সর্বনাশ! আমার কোনও ক্যারিশ্মা নেই প্লিজ। যা হয়েছে মানুষ দলকে পছন্দ করেছে ভোট দিয়েছে।’ এবার প্রশ্ন তাহলে ২০১৬-এ কেন হল না? অদিতি বলেন, ‘তখন একটু কম ভালোবাসা ছিল। তারপর সরকার কাজ করেছে।’ মেখলা বলেন, ‘তাহলে এর আগে সরকার কাজ করেনি?’ অদিতি বলেন, ‘না তার আগেও কাজ করেছে, তবে এরপর রেসিও একটু বেড়ে গিয়েছে।’ মেখলা বললেন, ‘মানে তুমি আসার পর…’। এরপরই অদিতি বলেন, ‘বাড়িতে ডেকে এনে, এভাবে প্রশ্ন করা এটা মেখলাই পারে। ভাগ্যিস আমি আগে আসিনি। তাহলে না জানি আরও কত কঠিন প্রশ্নই না আসত…’।
জিৎ পুত্রের জন্মদিনে ঋতুপর্ণা, কোয়েল, আবির, শুভশ্রী, হাজির আর কোন তারক♊ারা?
আরও পড়ুন-খাবেন শুধুই জল আর প্রয়োজনে ওষুধ𒐪, ১ দিনের প্রতীকী অনশনে বিরসা-বিদিপ্তা-দেবলীনা-চৈতিরা
স্বামী দেবরাজের সঙ্গে পরিচয় কীভাবে হল? মেখলার এই প্রশ্নের জবাবে অদিতি বলেন, ‘পরিচয় ছিল না। একটা অনুষ্ঠানে গান গাইতে গিয়েছিলাম শিল্পী হিসাবে। সেখানে সংবর্ধনা দিয়েছিল। ফুল দিয়েছিল। বাড়িতে এসে আমার মনে হল ফুলটা তো বেশ ভালো। তারপর আবার ফোন আরেকটা অনুষ্ঠানের জন্য। এর মাঝে দীপাবলি চলে এল। আমার বাড়িতে এল এক ঝুড়ি বাজি। ফের একটা অনুষ্ঠান…আবার গিফট।’ আর এরপরই অদিতিরꦺ বাড়িতে উপহার হিসাবে হাজির হয়েছিল বড় ফ্রেমে বাঁধানো গায়িকার নিজেরই একটা ছবি। সেই প্রসঙ্গে অদিতি বলেন, ‘ঘুম থেকে উঠে, সাধারণত গুরুদেবের ছবি দেখতে অভ্যস্ত। নিজের ছবি থেকে চোখ সরিয়ে দেখি এত্ত বড় একটা নিজের ছবি। তখন আমার মনে হল, আমি কি বেঁচে আছি? বললাম, এটা সরাও, আমার মনে হচ্ছে আমি বেঁচেই নেই। তারউপর শ্রদ্ধাঞ্জলি লেখা। এরপর ভাবলাম, এর প্রোগ্রাম আর নেওয়া যাবে না। তবে সবই কপাল। আমাদের কিন্তু অ্যারেঞ্জ ম্যারেজ। এরপর দুই বাড়ি থেকে কথা হল…।’