নমস্কার, আমি ব্যক্তিগত কারণে নাম প্রকাশ্যে ൩আনছি না। তবে আমি একজন সরকারি ব্যাঙ্কের কর্মচারী। আমার বিয়ে ঠিক হয়ে গিয়েছে। আর সেই বিষয়েই একটি প্রশ্ন ছিল। আমার বিয়ে ঠিক হওয়ার আগে একজনের সঙ্গে আমার সম্পর্ক ছিল। সেই ইউনিভার্সিটি থেকেই আমাদের বন্ধুত্ব ছিল। পড়াশোনဣার পর আমরা দুজনেই একসঙ্গে সরকারি চাকরির জন্য প্রস্তুতি নিই। ভীষণই ভালো সম্পর্ক ছিল আমাদের। নিয়মিত দেখা হওয়া, ঘুরতে যাওয়া এসব তো লেগেই ছিল। আমরা ভীষণই ঘনিষ্ঠ ছিলাম। বাড়ির সবাই জানত আমাদের কথা।
কিন্তু আমি যখন ব্যাঙ্কে চাকরি পাই, ও আচমকা বদলে যায়। আমার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করতে শুরু করে। অনেক জোরাজুরির পর জানায় ও ইনফিরিয়র কমপ্লেক্সিটিতে ভুগছে। এই সম্পর্ক ও চায় না। এই সম্পর্কে থাকলে নাকি ও এগোতে পারবে ♔না, চাকরি পাবে না। হীনমন্যতায় ভুগবে। আমি অনেক বুঝিয়েছিলাম কিন্তু কাজ হয়নি। অতঃপর আমরা আলাদা হয়েই যাই।
এরপর দেড় বছরে আমি বহুবার ওর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছি। কাজ হয়নি। এরপর বাড়ি থেকেই একজনের সঙ্গে বিয়ে ঠিক করে। মেয়েটি এমনই খারাপ নয়। সবার সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছেꦏ। আমার প্রতিও যথেষ্ট যত্নশীল। আমিও এই সম্পর্কে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছি। কিন্তু ওর সঙ্গে বেশি ঘনিষ্ঠ বা গভীর কোনও আলোচনা করতে পারছি না। সামান্য হাত ধরতে গেলেও পারছি না। সব কিছুতেই বারবার প্রাক্তনের কথা মনে পড়ছে। মনে হচ্ছে ওকে ঠকাচ্ছি। আমার আর কয়েকদিনের মধ্যেই বিয়ে। কী করব? কী করে নিজেকে সামলাব? আমার হবু স্ত্রী সবটা জানে। সে জোর করে না। বরং আমায় যথেষ্ট স্পেস দেয়। এরম চললে তো আমার আগামী সম্পর্কে এর প্রভাব পড়বে। কী করে মুক্তি পাব?
আমাদের বিশেষজ্ঞের উত্তর:
সম্ꦐপর্ক বিশেষজ্ঞ পূর্ব♈াশা মুখোপাধ্যায় এই প্রশ্নের কী জবাব দিয়েছেন দেখুন। তাঁর কথায়:
প্রথমত আপনাকে নতুন জীবনের জন্য অনেক শুভেচ্ছা জানাই। নতুন জীবন ভীষণ ভালো কাটুক। এবার আসি আপনার সমস্যায়। সবার আগে আপনি অতীতের হ্যাঙ্෴গোভার থেকে বেরোন। স্মৃতির ডালে আটকে থাকলে এগোতে পারবেন না। আপনি প্রাক্তনকে ঠকাচ্ছেন না, ঠকালে নিজেকে এবং বর্তমানকে ঠকাচ্ছেন। আর নিজেই যখন বললেন বর্তমান সব জানেন, স্পেস দিচ্ছেন তাহলে অযথা স্ট্রেস নিচ্ছেন কেন?
দেখুন আমরা যেটা নিয়ে বেশি ভাবি বা জোর করে ভুলতে চাই সেটা কিন্তু আদতে কখনই ভোলা হয় না। যায় না। তাই জোর করে কাউকে ভুলতে চাইবেন না। তার থেকে নিজেকে সময় দিন। কাজে ব্যস্ত থাকুন। বর্তমানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা নয়। বন্ধুত্বের সম্পর্কটাকে দৃঢ় করুন আগে। আর বাকিটা সময়ের উপর ছেড়ে দিন। সময়ই ধীরে ধীরে আপনাকে অতীতের কথা ভুলিয়ে দেবে। জীবনে গিয়ে যাবেন ঠিক। কেবল জোর করে কিছু করতে▨ যাবেন না।