ইয়ে হ্যায় মহব্বতে ধারাবাহিকের মাধ্যমে নজর কেড়েছিলেন তিনি। অর্থাৎ বঙ্গতনয়া কৃষ্ণা মুখোপাধ্যায়। এরপর তিনি শুভ সগুন ধারাবাহিকেও কাজ করেছেন শেহজাদা ধামির সঙ্গে। তবে এই ধারাবাহিকে কাজ করার পর থেকেই রীতিমত আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন তিনি। সেই ধারাবাহিকের পর থেকে আপাতত তিনি এই সিনে জগৎ থেকে দূরেই আছেন। আর পাঁচজন অভিনেত্রীর মতোই বলিউডে নিজের স্বপ্নসফল করতে এসেছিলেন। কিন্তু এখানে এসে এমন ভয়াবহ কিছুর শিকার হতে হবে কে জানত! এখনও একা থাকলে কাঁদছেন তিনি, ভয়ে কাঁটা হয়ে আছেন। সাহস করে নতু𒐪ন ধারাবাহিকে পর্যন্ত সই করতে পারছেন নাꦓ কৃষ্ণা মুখোপাধ্যায়। কিন্তু কী ঘটেছিল তাঁর সঙ্গে?
শুভ সগুন ধারাবাহিক নিয়ে কী বললেন কৃষ্ণা মুখোপাধ্যায়?
অভিনেত্রী জানিয়েছেন তাঁকে মেকআপ রুমে আটকে রাখা হতো এমনকি পাঁচ মাসের বকেয়া টাকাও তিনি পাননি এখনই। আর এই গোটা বিষয় নিয়ে এবার তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায🌊় গর্জে উঠলেন। পোস্ট করলেন ইনস্টাগ্রামে। জানিয়েছেন বর্তমানে তিনি অবসাদে ভুগছেন। কিন্তু কে করেছে তাঁর সঙ্গে এই খারাপ আচরণ? এ🎶ই ধারাবাহিকের প্রযোজকই এই কাণ্ড ঘটিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: এক দশক পর ফের একসঙ্গে! ভাই-বোন মিলে কোন নতুন চমক আনছেন সোনু নিগম ಌএবং তিশা?
কৃষ্ণা মুখোপাধ্যায় তাঁর এই পোস্টে জানিয়েছেন গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় মেকআপ 🅠রুমে আটকে রাখা হয়। এমনকি পাঁচ মাসের বেতন পর্যন্ত পাননি তিনি। প্রাপ্য টাকা পাওয়ার বদলে তাঁকে লাগাতার হুমকি দেওয়া হয়েছে প্রযোজকের তরফে। আর সেই ভয়ে তিনি এতদিন না পেরেছেন মুখ খুলতে, না পেরেছেন নতুন ধারাবাহিকের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হতে।
ঠিক কী লিখেছেন কৃষ্ণা মুখোপাধ্যায়?
এদিন কৃষ্ণা তাঁর ইনস্টাগ্রাম পোস্টে লেখেন, 'আমি কখনও আমার মনের কথাটা বলার সাহস দেখাতে পারিনি। কিন্তু আজ ঠিক করেছি আর নয়। আমি গতജ দেড় বছর সময় ধরে কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। আমি একা থাকলেই দুশ্চিন্তায় ভুগছি, আতঙ্কিত হয়ে পড়ছি। অবসাদে ভুগছি। আর এর সবটার শুরু হয়েছে আমি যখন শেষবারের মতো দঙ্গল টিভির জন্য শুভ সগুন ধারাবাহিকে কাজ করছিলাম তখন থেকে। ওটা আমার জীবনের সব থেকে বড় ভুল সিদ্ধান্ত ছিল।𝕴 প্রযোজক কুন্দন সিং আমায় লাগাতার হ্যারাস করতেন। অসুস্থ হয়ে পড়লে মেকআপ রুমে আটকে রাখতেন। ওরা টাকা দিত না আর আমি অসুস্থ ছিলাম বলে কাজ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিই। ওরা আমি জামা বদলাতাম যখন তখন এমন ভাবে দরজা ধাক্কা দিত মনে হতো যে ভেঙে ফেলবে।'
কৃষ্ণা তাঁর পোস্টে আরও জানান, ' আজ পাঁচ মাস হয়ে গিয়েছে আমি এখনও বকেয়া টাকা পায়নি। অনেকবার দঙ্গল টিভির অফিসে গিয়েছি, প্রযোজ♑কের অফিসে গিয়েছি কিন্তু কেউ সহযোগিতা করেননি। আমার মনে হচ্ছে আমি শেষ হয়ে যাচ্ছি। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।'