রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয়েছে বাংলাদেশের গায়ক মণি কিশোরের। গত শনিবার ঢাকার রামপুরায় গায়কের নিজের বাড়ি থেকেই উদ্ধার হয় তাঁর দেহ। এরপর রবিবার ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় শিল্পীর দেহ। আপাতত সেখানেই রাখা রয়েছে মণি কিশোরের নিথর💎 দেহ।
এদিকে ঢাকা পুলিশ☂ জানাচ্ছে, অন্তত ৫দিন আগে মৃ্ত্যু হয়েছে মণি কিশোরের। বাড়ির দরজা ভেঙে দেহ উদ্ধার করা হয়। প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, বেশকিছুদিন ধরে গায়কের কোনও সাড়াশব্দ মিলছিল না। পরে ওই বাড়ি থেকে পচা গন্ধ পান তাঁরা। ঠিক কীভাবে মৃত্যু হয়েছে গায়কের, তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে তবেই জানা যাবে।
এদিকে মণি কিশোরের দেহ কীভাবে সৎকার করা হবে তা নিয়ে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে। তবে শিল্পীর দ♓াদা অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা অশোক কুমার মণ্ডল জানাচ্ছেন, দেহ আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের মাধ্যমে কবর দেওয়া হবে। কারণ, বেঁচে থাকাকালীন মণি কিশোর তাঁর মেয়ে নিন্তি চৌধুরীকে একথা জানিয়ে দিয়েছিলেন। শিল্পীর জন্ম হিন্দু পরিবারে। তাঁর আসল নাম মণি মণ্ডল। পরে তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন। যদিও মণি কিশোরের ৪ হিন্দু রীতি মেনেই করা হয়েছিল। জানা যাচ্ছে এখনও নাকি বাবার মেয়ে নিতে আসেননি তাঁর আমেরিকাবাসী কন্যা নিন্তি।
১৯৬১ সালে ৯ জানুয়ারি বাংলাদেশের লক্ষ্মীপ🍷ুরে তাঁর মামারবাড়িতে জন্ম🐭 হয় মণি মণ্ডল ওরফে মণি কিশোরের। তাঁর ছিলেন ৭ ভাইবোন। সাম্প্রতিক সময়ে বিবাহ-বিচ্ছেদের প একাই থাকতেন মণি কিশোর।
প্রায় ৫০০-র বেশি গান গেয়েছেন মণি কিশোর। যদিও রেডিও কিংবা টিভিতে তাঁকে সেভাবে কখনও গাইতে দেখা যায়নি। এমনকি প্লে-ব্যাকও করেননি। ৯-এর দশকে ক্যাসেটে গান শোনার যখন রেওয়াজ ছিল, তখন তাঁর গান বিপুল সমাদৃত হয়েছিল। ‘মুখে বলো ভালোবাসি’, ‘আমি মরে গে▨লে জানি তুমি’, ‘তুমি শুধু আমারই জন্য’,র মতো গানগুলি ছিল হিট। তাঁর সবচেয়ে জনপ্রিয় গান হল ‘কী ছিলে আমার’। এই গানটি কথা ও সুরও ছিল মণি কিশোরের। মোট ২০টি গান লিখেছিলেন তিনি।
বাংলাদেশের এই মণি কিশোর সঙ্গে বিশেষ যোগ রয়েছে এদেশের জনপ্রিয় শিল্পী কুমার শানুর। তিনি ছিলেন কুমার শানুর ছোটবেলার বন্ধু। কুমার শানু ও মণি কিশোর দুজনেই ছিলেন কিশোর কুমারের অন্ধ ভক্ত। আর সেখান থেকেই নিজের নাম কেদারনাথ ভট্টাচার্য থেকে বদলে হন কুমার শানু। আর মণি মণ্ডল হয়ে যান মণি কিশোর। বন্ধু মণি কিশোরের 🃏মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ জনপ্রিয় গায়ক কুমার শানুও।