তাঁর গান শুনে একটা প্রজন্মের শৈশব, কৈশোর এবং যৌবন কেটেছে। কিশোর কুমার পরবর্তী যুগে বলিউডে একচেটিয়া রাজত্ব করেছেন কুমার শানু। বাংলা থেকে শুরু তাঁর সফর, গানের জগতেই বড় হওয়া। মুম্বইয়ে গিয়ে লম্বা স্ট্রাগলের পর শিকে ꦑছিঁড়েছিল। আর ফিরে তাকাননি।
‘বস এক সনম চাহিয়ে আশিকিকে ল🌱িয়ে’, 'চুরা কে দিল মেরা', 'দো দিল মিল রহে 𒁃হ্যায়', নবাগত নায়ক হোক কিংবা শাহরুখ-সলমন সবার হয়ে প্লে-ব্যাক করতেই সিদ্ধহস্ত তিনি। কিন্তু রাজার রাজপাটে এখন ভাটার টান। নতুনদের ভিড়ে এখন আর জায়গা হয় না তাঁর, ডাক আগে না গান গাওয়ার। বলিউড তাঁকে এখন সম্মান দেয় ঠিকই কিন্তু কাজ দেয় না। সেই আক্ষেপই জাহির করলেন শানুদা।
গায়কের শেষ ফিচার ফিল্ম গানটি ছিল ২০১৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত দম লাগা কে হাইসাঁ ছবির ‘দর্দ করারা’। ২০১৮ সালে সিম্বায় 'আঁখ মারে'র রিক্রিয়েশনেও তাঁর কন্ঠ শোনা গিয়েছিল। দুটো গানটি সুপার ডুপার হিট। সুতরাং শানুর কন্ঠ দর্শক মনে আজও ততটাই স্থান জুড়ে রয়েছে। তাহলে কেন শোনা যায় না﷽ তাঁর গান?
হিন্দুস্তান টাইমসকে গায়ক বলেন,'এখনও পর্যন্ত আমার জার্নি খুব সুন্দর, ইন্ডাস্ট্রﷺিতে সবাই আমাকে সম্মান করে। কিন্তু আশ্চর্যের ব্যাপার হল সকলে শ্🐻রদ্ধা করে, ভালোবাসা দেয়, আমার গানও শোনে…. আমি জানি না কেন তারা হিন্দি ছবিতে আরও গানের জন্য আমাকে ডাকে না'।
কিন্তু কেন এমনটা ঘটছে? তবে কি রাজনীতি♋র শিকার কুমার শানু? দাদা বলেন, ‘এই প্রশ্নটা তো আমার মনেও আসে, যে আমি যখন তাদের সামনে থাকি তখন তারা এত ভালবাসা দেখাচ্ছে, অথচ আমাকে গান গাইতে ডাকছে না! এটা সত্যি কি না জানি না, যাই হোক না কেন, তারা অবশ্যই আমাকে সম্মান দেয়’।
সানু সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে লাইভ শ๊োতে পারফর্ম করেছেন, প্রত্যেকটা কনসার্ট ছিল হাউসফুল। এই প্রজন্মের কাছেও তাঁর কণ্ঠস্বর গ্রহণযোগ্য বলে দাবি করে গায়ক। তিনি বলেন, ‘🌄আমি গাইতে পারি, তাও জানি না কেন আমাকে গিয়ে গান করায় না। কেন এই প্রশ্নটা নির্মাতাদের মনে আসে না? আমি শো করছি, আমার ফ্যান ফলোয়িং আছে। যেখানেই যাই দেখি সব শো হাউজফুল।…’। সব শেষে তাঁর সংযোজন, ‘ইন্ডাস্ট্রির মানুষ বুঝলে ভালো, না হলে ওদের দুর্ভাগ্য’। বুঝিয়ে দিলেন তাঁর নতুন করে নিজেকে প্রমাণ করবার নেই।