আরজি কর ইস্যুতে রাস্তায় নেমে শাসকদলের বিরোধিতায় নেমেছে টলিউডের একঝাঁক শিল্পী। কলকাতা পুলিশের ভূমিকা থেকে জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে প্রশাসনের অমানবিক আচরণের সমালোচনাও করেছেন সুদীপ্তা-শ্রীলেখা-দেবলীনা-স্বস্তিকা-পরমব্রতরা। ওদিকে দিন কয়েক আগেই অভিনেত্রী মৌসুমী ভট্টাচার্যকে নিয়ে কুরুচিকর রসিকতা করে পরমব্রত-স্বস্তিকাদের রোষের মুখে পড়েছিলেন কুণাল ঘোষ। এবার তৃণমূল মুখপত্র সুর নরম করে উৎসবের শুভেচ্ছা জানালেন পরমব্রত ও তাঁর ঘরণী পিয়াকে! আরও পড়ুন-স্বস্তিকার খোঁপার গাঁদা ফুলের প্রেমে পড়লেন 𒐪নাকি কুণাল ঘোষ? নায়িকার ছবি 🍌দিয়ে দিলেন গদগদ ক্যাপশন
ভাবছেন ব্যাপারটা কী? পরমব্রত-পিয়ার পুজো স্পেশ্যাল ফটোশ্যুটের বিশেষ 💫ঝলক নি𝓀জের ফেসবুকের পাতয় শেয়ার করে নিলেন কুণাল ঘোষ! সঙ্গে উৎসবের শুভেচ্ছাও জানালেন। 'উৎসবে ফিরছি না' পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় ও পিয়া চক্রবর্তী সম্প্রতি এক পুজো স্পেশ্যাল ফটোশ্যুটে ধরা দিয়েছেন। পুজোর আমেজে ভেসে নিজেদের ভালোবাসার নীড়েই আরও কাছাকাছি নবদম্পতি। গত নভেম্বরেই আইনি বিয়ে সেরছেন পরম-পিয়া।
বিয়ের পর এটাই তাঁদের প্রথম পুজো। তাই প্রতিবাদের মাঝেই পুজোর প্রস্তুতিতেও ব্যস্ত দুজনে। ছবিতে হলুদ শাড়ি আর লাল ব্লাউজে লেন্সবন্দি পিয়া। সাদা ধুতি পাঞ্জাবিতে সেজেছেন পরমব্রত। বউয়ের উপর থেকে চোখ সর🎃ছে না পরমের। অন্যদিকে পিয়ার চোখ ক্যামেরায়। ফেসবুকের কভার পিকচারটি আপটেড করতেই তা দৃষ্টি আকর্ষণ করল কুণাল ঘোষের।
🎃এই ছবি নিজের পেজে শেয়ার করে কুণাল ঘোষ লেখেন, ‘খুব সুন্দর…পুজಞো আর উৎসবের শুভেচ্ছা।’ নিন্দকদের মতে, উৎসবে ফিরছি না বলার পরও পুজো স্পেশ্যাল ফটোশ্যুটে এমন সাজুগুজু দম্পতিকে ট্রোল করতেই, এহেন পোস্ট কুণালের।
ডায়েরি অফ ওয়েস্টবেঙ্গল নিয়ে টলিউডকে খোঁচা দিয়েছিলেন কুণাল। সেইসময়ও পরমব্রত সটান প্রশ্ন রেখেছিলেন, ‘মুম্বই করে বলেই এখানেও করতে হবে?’ অন্যদিকে মৌসুমী কাণ্ডে কুণালকে তোপ দেগে প্রেসিডেন্সির মঞ্চে দাঁ☂ড়িয়ে পরমব্রত বলেছিলেন- ‘দু-দিন আগে বর্তমান শাসক দলের একজন মুখপাত্র এবং একজন তরুণ তুর্কি নেতা একজন অভিনেত্রীকে নিয়ে বিশেষ ভাষায় আলোচনা করেছেন। অভিনেত্রীর দোষের মধ্যে হচ্ছে তিনি এদের দুজনকে রাজনৈতিকভাবে আক্রমণ করেছেন। তাদের কে অধিকার দিল এটা বলার, যে অভিনেত্রীর বদন বিগড়ে গেছে, অভিনেত্রী কাজ পান কি কাজ পান না সেই নিয়ে আলোচনা করার। তিনি বিবাহিত, কি বিবাহিত নন সেটা নিয়ে আলোচনা করার। শুনলে হয়ত তাঁরা তেলেবেগুনে জ্বলে উঠবেন। তবে এখান থেকে যৌন নিগ্রহের মানসিকতা শুরু হয়। এখান থেকে ধর্ষণের মানসিকতা শুরু হয়'।
পালটা জবাবও দিয়েছিলেন কুণাল। তিনি লিখেছিলেন, ‘পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় শুনছেন? প্রেসিডেন্সি𒅌 বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে দাঁড়িয়ে আমার/আমাদের সম্পর্কে আপনি বললেন, এক মহিলা আমাদের রাজনৈতিকভাবে বির𓆉োধিতা করেছিলেন বলে আমরা কেন পাল্টা দিয়েছি? রাজনৈতিকভাবে??????? প্রকাশ্য ভিডিওতে মারের কথা বলা, মারের প্ররোচনা দেওয়া রাজনৈতিক আক্রমণ? আপনি ভিডিওটা দেখেছেন? নাকি যা বললে বিপ্লবী সাজা যাবে, সেরকম কিছু বলেছেন হাততালি পেতে??????? মারার হুমকি রাজনৈতিক বিরোধিতা? আপনি তথাকথিত তারকা হতে পারেন, কিন্তু সেই পরিচিতি ভাঙিয়ে মানুষকে ভুলপথে প্রভাবিত করার অধিকার আপনাকে কে দিল? ছিঃ।’
এই বাকযুদ্ধ সাময়িকভাব ꦕথামলেও এর রেশ যে থেকেই গিয়েছে, তা স্পষ্ট কুণাল ঘোষের এই পোস্টে।൩