একসময়ের প্রেমিক, 😼পরবর্তী জীবনে স🅷্বামী ঋষি কাপুর আর নেই। তবে আপাতত ছেলে-বউমা, নাতনিকে নিয়ে সুখের জীবন কাটাচ্ছেন নীতু কাপুর। সম্প্রতি করণ জোহরের চ্যাট শো কফি উইথ করণে এসে ঋষি কাপুরের সঙ্গে কাটানো জীবনের সেরা সময়ের কথা খোলসা করেছেন নীতু।
নীতু কাপুর জানিয়েছেন স্বামী ঋষি ❀কাপুরের সঙ্গে তাঁর জীবনের শেষদিকে, বিশেষত নিউ ইয়র্কে তাঁর 🐻চিকিৎসা চলাকালীন সময়টা ছিল তাঁর জীবনের সেরা সময়। নীতুর কথায়, ওই সময়টাতে ঋষি একটা অন্য মানুষ হয়ে উঠেছিলেন। নীতু বলেন, ‘আমি জীবনের খারাপ দিকটা মনে রাখতে চাই না। আমি আমাদের সম্পর্কের ভাল অংশটুকু মনে রাখতে চাই। নিউইয়র্কে কাটানো আমাদের ওই সময়টা আমি মনে রাখতে চাইব। নিউইয়র্কে কাটানো ওই সময়টা হয় একদিকে যেমন দুঃসময় ছিল, তেমন আমাদের সম্পর্কের ক্ষেত্রে সেরা সেরা বছর ছিল।’
করণের উদ্দেশ্যে নীতু বলেন, ‘আপনি জানেন চিন্টু জি (ঋষি কাপুর) একজন খুবই প্রেমময় ব্যক্তি ছিলেন। তার মধ্যে অনেক ভালবাসা ছিল। কিন্তু তিনি কখনোই তাঁর সেই ভালবাসা প্রকাশ করতে ⛦না। সবসময় দূরত্ব বজায় রাখতেন। তিনি লোকেদের ধমক দিতেন, তবে ভালবাসা প্রকাশ করতেন না। বিশেষ করে আমার এবং আমার ছেলেমেয়েদের কাছে এটা বড় বিষয় ছিল। ঋষি সম্মানকে মূল্য দিতেন এবং সন্তানদের থেকে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রাখতেন, যা বছরের পর বছর ধরে ওর সঙ্গে ছেলেমেয়ের সম্পর🅰্ককে প্রভাবিত করেছে। উনি কোনওদিনই রণবীর আর ঋদ্ধিমার বন্ধু ছিলেন না। তবে নিউইয়র্কে থাকাকালীন জীবনের ওই সময়টা ওকে আমি বদলে যেতে দেখেছি। উনি তখন বেশ খোলামেলা হয়ে উঠেছিলেন, ভালবাসা প্রকাশ করতেন। অবিশ্বাস্যভাবে স্নেহময় হয়ে উঠেছিলেন।’
সম্প্রতি একটা অনুষ্ঠানে𒐪 রণবীর বাবা ঋষি কাপুরকে নিয়ে কথা বলতে গিয়ে বলেন, ‘উনি (বাবা) সব জায়গায় ঘুরে বেড়াতেন, তাই আমাদের মধ্যে সত্যিই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল না। আমরা কখনও বসে আড্ডা দিতে পারিনি, আর এটা আমার জীবনে সত্যিই একটা বড় আফসোসের জায়গা। আমি আর বাবা যদি বন্ধু হতে পারতাম, তাহলে হয়ত আরও অনেক🍒 কিছু ভাগ করতে নিতে পারতাম। সেই একটা আফসোস সবসময় থাকবে। আমি ওঁকে সম্মান করতাম কিন্তু আমরা কখনোই বন্ধু ছিলাম না। কিন্তু আমি খুশি যে এখন আমার একটা মেয়ে আছে। ঈশ্বর যখন কিছু কেড়ে নেন, তখন তিনিও কিছু ফেরত দেন।’