গমেয়ে চলে গিয়েছে চার মাস আগে। এখনও মেয়ে স্মৃতিতে কাতর অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মার মা। রঙের উৎসব আজ তাঁর কাছে অর্থহীন! যদিও গত বছরের ছবিটা ছিল একদম আলাদা। হইচই করে দোল খেলেছিলেন ঐন্দ্রিলা। প্রাণবন্ত মেয়েটার খুব পছন্দের উৎসব ছিল দোল। গতবার সংবাদমাধ্যমের সঙ্গেও চুটিয়ে এই দিনটা সেলিব্রেট করেছিলেন সদ্য় ক্যানসারজয়ী অভিনেত্রী। কে জানত সেটাই ঐন♏্দ্রিলার জীবনের শেষ বসন্ত উৎস𒁃ব!
গত বছর দোল উৎসবে তাঁর টালিগঞ্জের বাড়িতে দিদি ঐশ্বর্য আর বন্ধুদের সঙ্গে হার্বাল আবির গালে মেখে হাসিতে ভেসে ভাসছিলেন ঐন্দ্রিলা, সঙ্গী ছিল তাঁর দুই পোষ্য তোজো আর বোজো। তা𒀰ঁকে দেখে বোঝবার জো ছিল না এই তো ক'মাস আগে দ্বিতীয়বার ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করে ফিরেছেন তিনি। নতুন জীবনের স্বপ্ন বুনে চলেছিলেন ঐন্দ্রিলা। কে জানত এত দ্রুত সুন্দর উজ্জ্বল সেই দিনটা চোখের জলে ঝাপসা হয়ে উঠবে…!
ঐন্দ্রিলার টলিগঞ্জের সেই বাড়ি এখন অধিকাংশ সময়ই থাকে তালাবন্ধ। দোলের দিন (মঙ্গলবার) সন্ধ্যায় বহরমপুর থেকে কলকাতায় এসেছেন ঐন্দ্রিলার মা। এদিন দিল্লি🌃 থেকে শহরে ফেরার কথা ঐন্দ্রিলার দিদি ঐশ্বর্যর। ছোট মেয়ে নেই, ঐন্দ্রিলার মৃত্যুর আগেই ক্যানসার ধরা পড়েছিল শিখা দেবীর। এই নিয়ে তিনিও দু-বার এই মারণরোগের কবলে পড়লেন। আপতত তাঁর চিকিৎসা চলছে।
ফেসবুকে গতবারের দোলের উৎসবের টুকরো ঝলক শেয়ার করে ফেসবুকের বন্ধুদের সঙ্গে হ🍌োলির শুভেচ্ছা ভাগ করে নেন ঐন্দ্রিলার দিদি।
অন্যদিকে প্রয়াত অভিনেত্রীর গত বছরের একটি মিষ্টি ভিডিয়ো শেয়ার করে শিখা দেবী লেখেন, ‘মাণিক তুমি নিজের মতো করে হোলি খেলা করো… আমি মন থেকে দেখি। আজ ♍খুব মিস করছি তোমাকে’।
শুধু পরিবারই নয়, ঐন্দ্রিলার বন্ধুরাও আজ সঙ্গীহীন। ঐন্দ্রিলার বান্ধবী পারমিতা সেনগুপ্ত এদিন সকালে পুরোনো⛦ ছবি শেয়ার করে লেখেন, ‘যেখানেই থাকিস সবসময় একরকমই রঙিন থাকিস। সব পার্টি ডিউ হয়ে যাচ্ছে। যেদিন দেখা হবে তাশা, ব্যাঞ্জো, রং, বাজি নিয়ে গ্র্যান্ড পার্টি হবে ভাই।’
গত বছর ১লা নভেম্বরে ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হন ঐন্দ্রিলা। ‘ইউয়িং সারকোমা’-র রোগী ছিলেন ঐন্দ্রিলা। এই টাইপের ক্যানসার সহজে পিছু ছাড়ে ন🥂া। চিকিৎসকদের ধারণা ক্যানসার রিভাইভ করেছিল ঐন্দ্রিলার শরীরে। ব্রেন স্ট্রোকের পর কোম🍒ায় চলে যান অভিনেত্রী। দীর্ঘ টানাপোড়েনর পর গত ২০শে নভেম্বর দুপুরে মৃত্যু হয় ঐন্দ্রিলা শর্মার।