বদলে দেওয়া হল রবি ঠাকুরের লিখে যাওয়া গানের কথা। বাংলার রাজ্য সঙ্গীতের লিরিক্সে বড়সড় বদল আনা হল। 💛পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সঙ্গীত হল রবি ঠাকুরের লেখা স্বদেশ পর্যায়ের গান ‘বাংলার মাটি বাংলার জল’। এবার সেই গানের একটি লাইন ‘বাঙালির 🍷পণ বাঙালির আশা’কে বদলে ‘বাংলার পণ, বাংলার আশা’ করে দেওয়া হল। আর সেটা দেখে শুনে অনেকেই বেজায় বিরক্ত হয়েছেন। করেছেন বিরোধিতাও।
বদলে দেওয়া হল রাজ্য সঙ্গীতের লিরিক্স
৫ ডিসেম্বর নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় ২৯ তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। সেখানে এদিন উপস্থিত দর্শকদের উঠে দাঁড়াতে বলা হয় রাজ্য সঙ্গীতের জন্য। গাওয়া হয় রবি গান ‘বাংলার মাটি বাংলার জল’। তখন অনেকেই খেয়াল করেননি যে এই গানের আসল যে লিরিক্স সেটা বদল কর হয়েছে। পরে যখন সেটার ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায় তখন অনেকেই লক্ষ্য করেন সেটা এবং প্রতিবাদ করেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন এই বিষয়ে। এমনকি কেউ কেউ তো সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্ﷺযায়ের ফেসবুক পেজে গিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন এভাবে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা লিরিক্স বদলানোর জন্য।
আরও পড়ুন: 'এবার সম𓆉য় হয়েছে...' গাঁটছড়ার হাত ধরে এসেছে বহু পুরস্কার, ধারাবাহিকের শেষ লগ্নে মন খারাপ অনিন্দ্যর
আরও পড়ুন: '১০টাই বক্স অফিসে!'♔ সৃজিতের পুজো রিলিজ মানেই হি🍌ট! ছবির তালিকা দিয়ে কী লিখলেন?
এদিন কলক🌳াতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ইমন চক্রবর্তী, অদিতি মুন্সি, ইন্দ্রনীল সেন, শ্রীরাধা বন্দ্যোপাধ্যায়, মনোময় ভট্টাচার্য, রূপঙ্কর বাগচীর 🌞সঙ্গে গান গান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সঙ্গীত
১৯০৫ সালে ব্রিটিশের বঙ্গভঙ্গ আ🐻ন্দোলনের বিরোধিতা করে প্রতিবাদ হিসেবে রবি ঠাকুর এই গানটি লিখেছিলেন। সেটার ঐতিহাসিক গ🃏ুরুত্বের কথা মাথায় রেখে এটিকে রাজ্য সঙ্গীতের তকমা দেওয়া হয়। তবে এদিন ‘বাঙালির পণ বাঙালির আশা, বাঙালির প্রাণ বাঙালির ভাষা’ জায়গাটিতে ‘বাঙালি’র জায়গায় ‘বাংলা’ গাওয়া হয়। এভাবে রবি গানকে বিকৃত করায় অনেকেই বিরক্ত হয়েছেন। তাঁরা এভাবে লিরিক্স বদলানোয় আপত্তি জানিয়ে বলেন সেটাকে অবিকৃত রাখার কথা।
আরও পড়ুন: কেন কান্নায় 🦂ভেঙে পড়েছিলেন অ্যানিম্যালের প্রশংসা শুনে, মনে🍸র কথা জানালেন ববি দেওল
এই বিষয়ে আনন্দবাজারকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অর্থনীতিবিদ সৌরিন ভট্টাচার্য বলেন, 'গানের কথা এভাবে পাল্টে দিলে সেটা আর রবীন্দ্র সঙ্গীত থাকে না।' একই মত নাট্যব্যক্তিত্ব রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্তর। তাঁর কথাꦏয়, 'কিছু বলার নেই। তবে যা হচ্ছে তাতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কিছু হয় আসে না, সরকারেরও কিছু যায় আসে না। আসলে মনে হয় কারও কিছু যায় আসে না।'