বলিউডꦿের সুপার ডুপার হিট ছবি হিসেবে বরাবরই জনপ্রিয় ‘ম্যায়নে প্যায়ার কিয়া’। সলমন আর ভাগ্যশ্রীর জুটি সেইসময় খুব পছন্দ করেছিলেন দর্শক। যদিও ম্যায়নে প্যায়ার কিয়া-র পর আর সেভাবে বলিউডে দেখা মেলেনি ভাগ্যশ্রীর। বরং, ছোটবেলার প্রেমিক হিমালয় দাসানিকে বিয়ে করেন বাড়ির অমতে। সঙ্গে অভিনয় কেরিয়ারেও ইতি টানেন তিনি।
সম্প্রতি স্টার প্লাসের রিয়েলিটি শো ‘স্মার্ট জোড়ি’তে তাঁকে ভাগ নিতে দেখা গেল স্বামী হিমালয় দাসানিকে নিয়ে। মঞ্চে ফের একবার মালাবদল হয় তাঁদের। সাথে চোখের জলে এতদিনের চেপে রাখা কষ্ট উঠে আসে তাঁর কথায়। চোখের জলেই ভাগ্যশ্রীকে বলতে শোনা যায়, ‘সকলে বলে আমি পালিয়ে বিয়ে করেছি। কিন্তু একথা সত্যি নয়। সবাই বলে বাবা-মায়ের ছেলেমেয়েদের নিয়ে অনেক স্বপ্ন থাকে, কিন্তু ছেলে-মেয়েদেরও তো কিছু স্বপ্ন থাকে। তাঁদের সেটা পূরণ করতে দেওয়া উচ✃িত। আমাদের বিয়েতে আমার পরিবারের কেউ উপস্থিত ছিল না।’
মহারাষ্ট্রের সাঙ্গলির রাজপরিবারে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। পিতা বিজয় সিংহরাও মাধবরাও পাটবর্ধন ছিলেন সাঙ্গলির মহারাজা। ২০১৭ সালে একটি সাক🐼্ষাত্কারে ভাগ্যশ্রী জানিয়েছিলেন যে স্কুলে পড়ার সময় থেকেই দুজন একে অপরকে পছন্দ করতেন। কিছু সময় পর হিমালয় আমেরিকা চলে গেল। 𓄧একই সঙ্গে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ শুরু করেন ভাগ্যশ্রী। ‘ম্যায়নে প্যায়ার কিয়া’ সিনেমার পর হিমালয়কে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। তবে তার পরিবারের সদস্যরা এই বিয়েতে রাজি ছিলেন না একেবারে।
ভাগ্যশ্রী সেই সময় জানিয়েছিলেন যে, ‘আমরা প্রায় ১.৫ বছর একসাথে ছিলাম না এবং আমি আজও সেই কথা যখন মনে করি তখন ভয় পাই। আমার বাবা-মা আমাদের দেখা করতে বা ফোন করতে দেয়নি। একদিন আমি হিমালয়কে ফোন করে জিজ্ঞেস করেছিলাম তুমি কি আমাদের দু’জনের ব্যাপারে নিশ্চিত?' ভাগ্যশ্রী জানান সেদিনই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে হয় চিরকাল তাঁর একসঙ্গে থাকবেন আর নয়ত🍸ো কখনও থাক𝓡বেন না। ১৫ মিনিটের মধ্যে ভাগ্যশ্রীর বাড়ির নীচে এসেছিলেন হিমালয়। আর তাঁরা মন্দিরে গিয়ে বিয়ে করেন।