ঘটনাস্থল সেই কলকাতা। ফের একবার রাতের কলকাতায় অপ্রীতিকর ঘটনার সাক্ষী হতে হয়েছে এক অভিনেত্রীকে। ঘটনায় শারীরিক চোট না পেলেও এক অজানা আতঙ্ক গ্রাস করেছে অভিনেত্রীকে। এবিষয়ে অভিনেত্রী এই সময়কে জানান, সারা জীবন তাঁর এই দিনটার কথা মনে থাকবে। একা বের হতে গেলেও এবার থেকে হয়ত তিনি ১০বার ভাববেন। উপযুক্ত শাস্তি না দেওয়া হলে আগামীদিনে সমস্যা আরও বাড়বে বলে মনে করছেন অভিনেত্রী। এই ঘটনা তাঁকে অনেকখানি মানসিক যন্ত্রণা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন অভিনেত✃্রী।
তবে শুধু এই ঘটনাই নয়, এধরনের খারাপ অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হয়েছে অভিনেত্রী মানালি দে, অপরাজিতা আঢ্যকেও। এবিষয়েই মু💖খ খুলেছেন ꦆতাঁরা।
মানালি এই সময়কে জানান, আসলে এধরনের ঘটনার নিন্দাও হয়ত ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। তবে বর্তমানে সোশ𒆙্যাল মিডিয়ায় মানুষ সক্রিয় তাই বিষয়টা জানাজানি হয়েছে। তবে এমন অনেক ঘটনাই ঘটে যা মানুষ জানতেও পারেন না। কথা প্রসঙ্গে মানালি বলেন, তাঁর সঙ্গেও এমন ঘটনা ঘটেছিল। একবার তিনি যাদবপুর থেকে ফিরছিলেন। তখন ইউনিভার্সিটি থেকে এগিয়ে অ্যাপ ক্যাবে ফিরছিলেন। সেখানে খানিকটা অন্ধকার ছিল। সেসময় এক বাইক আরোহী তাঁর গাড়িতে নক করেন। গাড়ি চালক ভেবেছিলেন তিনি অভিনেত্রীর পরিচিত, তাই মানালি কিছু বলার আগেই তিনি গাড়ির কাচ নামাতে যান।
মানালির কথায়, ‘আমি গাড়ি চালককে থামাতে যাব, ঠিক তখনই দেখি ওই চালকের হাত আমার ব্যগ পর্যন্ত চলে এসেছে। আমি তখন তাকে চিৎকার করে বলি, ব্যাগ নেবেন তো? চলুন সামনেই থানা, ওখানে গিয়ে যা বোঝানোর বুঝিয়ে দিচ্ছি। এটা বলার দু'মিনিটের মধ্যে আর কাউকে দেখতে পাইনি সামনে। গতকালের ঘটনায় ভাবছি, কতটা সাহস বাড়লে এমনটা কেউ করতে পারেন। এমন হিংস্র মানসিকতা সত্যিꦍই দুঃখের।’
ঘটনা প্রসঙ্গে তাঁ🌄র সঙ্গে ঘটে যাওয়া একটা ঘটনার কথাও জানান অপরাজিতা আঢ্য। তাঁর কথায়, ‘আমার সঙ্গে যে ঘটনা ঘটেছি তাও সকলেই দেখেছে। তখন স্টুডিয়ো এলাকায় ইট বৃষ্টি হচ্ছিল। সম্ভবত চাঁদা নিয়ে গণ্ডোগোল চলছিল পরিচালকের সঙ্গে। সেজন্য আমার গাড়ির উপর রাগ এসে🔯 পড়ে। আমি কমপ্লেন জানাতে যখন থানায় যাই, তখন পুলিশ বল একজন পাগল এমনটা করেছে। তখনই বুঝি এধরনের মানুষেক স্বভাব কখনও বদলাবে না। এদের চৈতন্য হবে না জীবনেও।’