দিনকয়েক ধরেই টেলিভিশন অভিনেত্রী ‘ভাদু’ মিষ্টি সিং-এর বর রেমো দাসের একটি ফোটো ভাইরাল হয়েছিল, টিভির আরেক নায়িকা দেবচন্দ্রিমা সিংহ রায়ের সঙ্গে। যা নিয়ে অনেকেই গেলো গেলো রব তুলেছিলেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই সেই ছবির তলায় কমেন্ট করে মিষ্টিকে পরামর🐈্শ দিয়ে বসেন বরকে ‘আগলে রাখার’।
১৮ই মে ধুমধাম করে বিয়ের পর্ব সেরেছিলেন মিষ্টি। পাত্র তাঁর দীর্ঘদিনের প্রেমিক রেমো। স্ক🅷ুল থেকেই আলাপ। কিন্ডারগার্টেন স্কুলে পড়াকালীন বন্ধুত্ব হয়েছিল।♏ যদিও প্রেমের বয়স ১৪ বছর। মিষ্টি-রেমোর বিয়ের আসর বসেছিল শহরের এক পাঁচতারা হোটেলে। হাজির ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর হানিমুনে ঘুরে আসেন প্যারিস, ব্য়ার্সেলোনা, সুইজারল্যান্ড, আমস্টারডামের মতো জায়গায়।
রেমো আর দেবচন্দ্রিমার মতো ছবিতে নেগেটিভ কমেন্ট পড়তেই মুখ খুললেন মিষ্টি নিজে। শেষ ⛄তাঁকে দেখা গিয়েছে ফড়িং ধারাবাহিকে। আপাতত বিয়ের পর কাজের থেকে নিয়েছেন সামান্য বিরতি। রেমো-দেবচন্দ্রিমার ছবিতে আসা নেতিবাচক মন্তব্যে এই 🌸সময় ডিজিটালকে মিষ্টি জানান, সেই ছবি তিনিই তুলে দেন। এমনকী, ছবি পোস্টের আগে দেবচন্দ্রিমা আশঙ্কা করেছিলেন কটাক্ষ আসবে। মিষ্টিই পরামর্শ দিয়েছিলেন সেসবে কান না দিতে।
মিষ্টির কথায়, ‘এসবই বোকা বোকা ব্যাপার। আমি নিজে হার্ট ইমোজি দিয়েছি সেই ছবꦚিতে। রেমোকে আলাদা করে বাঁ𒁏চিয়ে রাখার দরকার আছে বলে আমি তো মনে করি না। আমার প্রচুর বান্ধবীর সঙ্গে রেমোর ভালো সম্পর্ক। ওরা রেমোর সঙ্গে একইভাবে মেশে। রেমোর কাছে সেফ থাকে। ওরা রেমোকে ভাইয়ের মতোই দেখে।’
মিষ্টি আরও জানান, প্রথমদিকে তিনি আর দেবচন্দ্রিমা একসঙ্গে ভ্লগ বানাতেন। সেই সময় তাঁদের সঙ্গে থাকতেন রেমো আর রিজওয়ানও। তখনও অনেকেই মনে করত, হয়তো রিজওয়ানের সঙ্গে প্রেম আছে মিষ্টির। আবার কেউ ভাবত, দেবচন্দ্রিমা বুঝি রেমোর প্রেমিকা। কিন্তু সেই সময় সম্পর্কে ছিলেন মিষ্টি আর রেমো। সঙ্গে মিষ্টি জ🐈ান𝕴িয়ে দেন, শুধু দেবচন্দ্রিমা নয়, দেবোত্তমা, তৃণা, চাঁদনি, ঐশ্বর্যদের সঙ্গেও খুব ভালো সম্পর্ক তাঁর বরের। রেমো তাঁদের সঙ্গেও ছবি দেয় সোশ্যাল মিডিয়াতে।
এর আগে নিজের লাইফস্টাইল নিয়ে ওঠা প্রশ্নেও সোশ্যাল মিডিয়াতে এসে জবাব দিয়েছিলেন মিষ্টি সিং। তাঁকে অনেকেই প্রশ্ন করেছিল, বাংলা ধারাবাহিকে কাজ করেও কীভাবে এত রাজকীয় বিয়ে, বিদেশে হানিমুন করলেন মিষ্টি! জবাবে অভিনেত্রীকে বলতে শোনা যায়, ছোট থেকেই তিনি এই ধরনের জীবনযাপনে অভ্যস্ত। বি🌺দেশ যাওয়াও তাঁর কাছে নতুন ব্যাপার নয়। তাঁর বাবা স্কলার। ফ্রান্সের সঙ্গে দীর্ঘ কয়েক দশকের সম্পর্ক সেখানে পড়াতে যাওয়ার সূত্রে। আর তিনি নিজেও লেখাপড়া শেষ করে তবেই অভিনয়ে এসেছেন। ডবল এমএ, বিএড করেছেন। তাঁদের নিজেদের বিএড স্কুল রয়েছে। সেখানে মিষ্টি পড়ানও সিরিয়ালের কাজ না থাকলে। অভিনয় ছাড়া বিকল্প পেশা ভাবাই আছে তাঁর।