গত ১৭ই মে চিরতরে অ🅰নাথ হয়েছে মোনালি ঠাকুর। কোভিডের সময়ই বাবাকে হারিয়েছিলেন, এবার চলে গেলেন মা! মে মাসের গোড়ার দিকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় মায়ের অসুস্থতার খবর জানিয়েছিলেন মোনালির দিদি, মেহুলি। দক্ষিণ কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে প্রায় ১৮ দিনের লড়াই শেষে প্রয়াত হন অভিনেতা-গ𒊎ায়ক শক্তি ঠাকুরের স্ত্রী।
মৃত্যুর দু-দিন আগেই মায়ের লাইফ সাপোর্ট খুলে ফেলার কঠিন সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিলেন মোনালি। লিখেছেন, মা-হীন পৃথিবীতে কীভাবে তিনি থাকবেন, সেটাই বুঝে উঠতে পারছেন না। গত কয়েক বছর ধরে মোনালির জীবনের উপর দিয়ে একের পর এক🌟 ঝড় বয়ে গিয়েছে। বাবার মৃত্যুর পর মোনালির সুখের সংসারেও ফাটল ধরে। দাম্পত্যে ইতি টানার ব্যাপারে প্রকাশ্যে মুখ না খুললেও সুইৎজারল্যান্ডের নাগরিক মাইকের সঙ্গে আর থাকেন না মোনালি।
সোশ্যাল মিডিয়াতেও বরের সঙ্গে একটাও ছবি বাকি নেই! গোপন বিয়ের করুণ পরিণতিটাও গোপনেই রেখেছেন গায়িকা। এই কঠোর সময়ে মোনালি শান্তি খুঁজে পেলেন তাঁর পোষ্যর কাঁধে মাথা রেখে। মায়ের মৃত্যুর পর থেকে মা-হারানোর যন্ত্রণার কথা বারংবার তুলে ধরেছেন মোনালি। সাম্প্রতিক পোস্টে পোষ্যর সঙ্গে একটি ছবি পোস্ট করে গায়িকা জানিয়েছেন, তিনি বুঝতেই পার❀েননি কখন𓆏 যেন এই ছোট্ট কাঁধটা এত শক্তিশালী হয়ে যাবে।
ইনস্টা স্টোরিতে নিজের পোষ্য গোল্ডেন রেট্রিভারকে আগলে ছবি শেয়ার করেন মোনালি। সঙ্গে লিখেছেন, 'এই ছোট্ট কাঁধটা অজান্তেই কখন যেন শক্তিশালী হয়ে গিয়েছে। এটা আমার কাছে আশীর্বাদ।'&📖nbsp;
গত শুক্রবার দুপুর ২টো বেজে ১০ মিনিটে মৃত্যু হয় মোনালি ও মেহুলি ঠাকুরের মা, শক্তি ঠাকুরের স্ত্রী মিনতি ঠাকুরের। মায়ের মৃত্যুর পর💮 সোশ্যাল মিডিয়ায় হৃদয় নিংড়ানো পোস্টে মোনালি লেখেন, 'যে আমাকে উড়তে শেখালো অবশেষে সে তাঁর নিজের ডানায় ভর করে উড়ে গেল.. আমার মা..আমি নিশ্চিত, বাবা এবং দাইচি তোমাকে সেখানে গ্রহণ করার জন্য অপেক্ষা করছে.. আমার সময় এলে আমিও যোগ দেব। তবে আপাতত.. আমার ভালবাসা রইল..। আশা করি তুমি জানো যে আমিই তোমার সবচেয়ে গর্বিত কন্যা এবং আমাকে জন্ম দেওয়ার জন্য তুমি সবচেয়ে ভাগ্যবান মা। আপনার মত কোমল হৃদয় থেকে এত নিষ্পাপ ভালবাসা, সমর্থন, জ্ঞান পেয়েছি.. এত সুন্দর এবং শক্তিশালী মহিলা তুমি মা।’
আবেগতাড়িত মোনালি আরও লেখেন,🧜 ‘আমার জীবনের জন্য এবং তোমার কাছ থেকে আমি যা কিছু পেয়েছি তার জন্য তোমায় ধনꦺ্যবাদ .. । আমার সবকিছু তুমি.. আমার মূল স্তম্ভ.. আমি তোমার দিকে চেয়েছিলাম এবং চিরকাল থাকব। আমার মা তুমি.. তোমাকে নিজের জীবনের থেকেও বেশি ভালোবাশি।’