শীতকাল মানেই তারকাদের হাতে একাধিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের চাপ। শুধু তাই নয়, বেশ মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে, অনেক মাস আগে থেকে করতে হয় বুকিং। আর তারপর যদি সে𓄧ই শিল্পী দেরি করে পৌঁছন, তাহলে ঝামেলা তো লাগবেই! মাঝেমধ্যে এমন পরিস্থিতিতে হাতাহাতিও লেগে যায়। এরকমই এক অভিজ্ঞতার কথা সামাজিক মাধ্যমে ভাগ করে নিলেন সঞ༺্চালিকা শাশ্বতী গুহ। দু ঘণ্টা দেরি করে আসায় সমালোচনাও করলেন তিনি।
শাশ্বতী নামের এক মহিলা ফেসবুকের দীর্ঘ পোস্টে লিখলেন, ‘গতকাল অনুষ্ঠানের নির্ধারিত সময়ের থেকে দু' ঘন্টা দেরিতে এলেন মোনালি ঠাকুর। একজন সঞ্চালক হিসেবে এই পুরো সময়টা মঞ্চ সামলানো কতটা কঠিন ছিল, সে শুধু আমি জানি। আর জানে ২ লক্ষ দর্শক বন্ধু। তাদের ভালোবাসা ও গভীর ভর্ৎসনা কাল আমার ভাগ্যে জুটেছে। এবং সেটাই স্বাভাবিক তারা দেখতে ও শুনতে এসেছেন মোনালিকে অথচ তিনি তখন আমাদের নাগালে✅র অনেক বাইরে। অগত্যা তাদের সব রাগ তখন আমার উপর।🐼’
এরপর আরও লেখেন, ‘একপ্রকার বল পূর্বক আমাকে সহ্য তাদের করতেই হয়েছে। তাই নিয়ে আজ ফেসবুকে অনেকে অনেক কথাও লিখছেন। ভালো ও মন্দ দুটোই। তবে একটা কথা ঠিক দর্শক বন্ধুরা যত বিরক্ত ই হোক না কেনো🌊, কোনো রকম অপ্রীতিকর ঘটনা তারা ঘটান নি, যে কোনও মুহূর্তে যেটা ঘটার সম্ভাবনা প্রবল ছিল।’
আরও পড়ুন: সৌরভ-দর্শনার পর ছাদনাতলায়♔ আদৃত-কৌশাম্বি? ‘মিঠাই-জুটি’-র বিয়ের মাস নিয়ে চর্চ♎া
মোনালির সমালোচনা করে লিখলেন, ‘তার কৃতিত্ব কার প্রাপ্য সেটা আর নাই বা লিখলাম। তবে এতো বছরের শিল্পী জীবনে এক চূড়ান্ত অভিজ্ঞতা হলো গতকাল। দু'লক্ষ দর্শকের সাথে দু'ঘন্টা । জনরোষ তৈরি হচ্ছে আর আমি তাকে দিদিগিরি দেখিয়ে ভাঙছি। যাক অবশেষে নির্বিঘ্নে ব🔜াড়ি ফিরেছি এটাই বড়ো প্রাপ্তি। তার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ সকলকে।’
কমেন্টে একজন করলেন মোনালির সমালোচনা। লিখলেন, ‘ম🐼োনালি আমার আর আমার মেয়ের দুজনেরই খুব প্✃রিয় শিল্পী। কদিন আগে কল্যাণী বই উৎসবে ওঁর অনুষ্ঠান দেখার আমন্ত্রণ পেয়েছিলাম। কয়েক লক্ষ মানুষের ভিড়। উনি যথাযথ সেই দেরি।’
এ💎কজন আরও লিখলেন, ‘গত বছরে ঠিক এটাই ঘটেছিল মাননীয় বিধায়ক কল্যাণ ঘোষের বিজয়া সম্মেলনে। মোনালি ঠাকুর ২ ঘণ্টা দেরি। আমি ছিলাম একা সঞ্চালনায়। বুঝতে পারছি তোমার অবস্থা খুব ভালো করে।’