৫০ বছরেরও বেশি ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করছেন মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়। টলিউড থেকে বলিউডে কাজ করে দর্শকদে🀅র মনে নিজের জায়গা করে নিয়েছেন অভিনেত্রী। সেই সুবাদে দু’-তিন প্রজন্মের নায়কদের দেখেছেন। কাজ করেছেন উত্তম কুমার থেকে শুরু 🌜করে অমিতাভ বচ্চনের নায়িকা হিসেবে। সদ্য হাসি অভিনেত্রীর মুখে। মন খুলে কথা বলতে বেশি পছন্দ করেন।
সদ্য ইন্ডিয়ান আইডল রিয়ালিটি শোয়ে উপস্থিত হয়েছিলেন মৌসুমী। যেখানে বিচারকের আসনে ছিলেন তিনি। সেখানে নতুন নতুন মুম্বইতে গিয়ে যে ‘ভাষা অভিজ্ঞতা’ সঞ্চার করেছেন, সেই কথাই ভাগ করে নিয়েছেন। হঠাৎই মৌসুমী বলে ওঠেন, তাঁর মাইক না হলেও চলবে। তিনি জোরে কথা বলতে পারেন। এখান থেকেই শুরু হয়ে হাসি-মজা। আরও পড়ুন: কেরলে ‘সাংঘাতিক’ বিপদ ইমনের সꦡামনে! ভয়ের চোটে এ কী হাল গায়িকার, দেখুন ভি🦩ডিয়ো
এরই মাঝে মৌসুমী হঠাৎ বলে বসেন- ‘আমাকে বলা হচ্ছে, আমি যেন হিন্দিতে কথা বলি। আরে ছবি তো নির্বাকও হয়। বম্বের তো কোনও ভাষাই নেই। আপুনকো, তেরেকো, মেরেকো, এটা কোন হিন্দি ভাই। আরে আমি যখন বম্বেতে এসেছিলাম, লোকের মুখে শুনেছিলাম, লোচা হয়ে গেল। আম🌞ি ভাবতে থাকি, লোচাটা কী ভাই। এত কিছু শুনেছি, এই লোচাটা কী? অর্ধেক মানুষ ইংরেজিতে দিচ্ছেন, অর্ধেক মানুষ মারাঠিতে দিচ্ছেন, অর্ধেক মানুষ হিন্দিতে দিচ্ছেন, অর্ধেক মানুষ লোচা করছেন’।
এ দিন মৌসুমীর পাশে বসা শ্রেয়া অভিনেত্রীর কথা শুনে হো হো করে হেসে ওঠেন। পা൩শ থেকে কুমার শানু বলে ওঠেন, ‘আজ তো পুরো এনার্জিতে রয়েছেন’♈। শ্রেয়া বলেন, ‘সত্যি খুব মজা হবে’। প্রতিযোগীদের গানের পাশাপাশি এ দিন মৌসুমীর কথায় জমে উঠেছিল পর্ব।
সেই ১৯৬৭ সা🎃লে ‘বালিকা বধূ’ ছবির মাধ্যমে এই ইন্ডাস্ট্রিতে তাঁর হাতেখড়ি। তার পর কলকাতা এবং মুম্বই মিলিয়ে চুটিয়ে কাজ করেছেন তিনি। পেশাদার হিসাবে সফল হলেও বয়সকালে যে শোক পেতে হয়েছে তাঁকে। ২০১৯ সালে বড় মেয়েকে হারান তিনি। মাত্র ৪৫ বছর বয়সে মৃত্যু হয় মৌসুমীর বড় মেয়ে পায়েলের। পায়েলের চলে যাওয়ার পর মৌসুমীর দিকেই আঙুল তুলেছিলেন পায়েলের স্বামী। ডিকি অভিযোগ করেছিলেন, মা হয়েও তিনি মেয়েকে মৃত্যুকালে দেখতে আসেননি। তবে পায়েলের ছোট বোন এবং বাবা উপস্থিত ছিলেন।
এ প্রসঙ্গেই মৌসুমী এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘এত কিছুর পর আমি তা-ও সুখী। কারণ রোজই কোনও না কোনও মায়ের আঁচল খালি হচ্ছে। বিশেষ করে জওয়ানদের। সেই কথা ভেবেই রা♍তে শান্তিতে ঘুমোতে পারি। জওয়ানের মা-রা এক সন্তানের নিথর দেহ পাওয়ার পর আরও এক সন্তানকে তৈরি করে। ওদের সামনে আমাদের কষ্ট কোনও কষ্টই না। এই কারণে আমি এখনও হাসতে পারি। আমার মনে হয় আপনাকে আনন্দের কারণ হতে হবে। কারণ কষ্ট বা দুঃখ ভাগ করে নেওয়ার জিনিস না। আর ব্যক্তিগত কারণে আমি সবার সামনে কাঁদতেও পারি না। এ রকম শক্ত করেই আমার মা-বাবা আমায় তৈরি করেছেন’।