লকডাউনের জেরে দূরদর্শনের পর্দায় ফিরেছে রামায়ণ,মহাভারত, শক্তিমানের মতো আট ও নয়ের দশকের জনপ্রিয় ধারাবাহিকগুলো। এরপর থেকেই সংবাদ শিরোনামে রয়েছেন মহাভারতের ভীষ্ম তথা শক্তিমান মুকেশ খান্না। সোনাক্ষী সিনহার পর ভারতের প্রথম সুপারহিরোর নিশানায় এবার প্রযোজক একতা কাপুর। মুকেশ খান্নারꦇ দাবি ‘মহাভারতকে হত্যা’ করছে একতা। প্রসঙ্গত ২০০৮ সালে মহাভারত মহাকাব্যের উপর ভিত্তি করে একতা তৈরি করেছিলেন ‘কাহানি হামারে মহাভারত কি’। ফের একবার আজকের জেনারেশনের জন্য শক্তিমান তৈরিতে আগ্রহী এই অভিনেতা। তবে 🎶মুকেশ খান্নার দাবি তিনি একতার পথে হাঁটবেন না। এখনও উপযুক্ত কাস্টের খোঁজ চালিয়ে যাচ্ছেন অরিজিন্যাল শক্তিমান।
মুম্বই মিররকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে মুকেশ খান্না জানান,'শক্তিমানের নতুন ভার্সন তেমন হতে পারেনা, যেমন একতা কাপুর মহাভারত (২০০৮) বানিয়েছিল। যেখানে দ্রৌপদীর কাঁধে ট্যাটু করা থাকবে! ও(একতা) জানিয়েছিল আধুনিক মানুষদের জন্য মহাভারত বানাচ্ছে🐟, বলে রাখি সংস্কৃতি কোনওদিনও মর্𓂃ডান হতে পারে না। যেদিন সংস্কৃতিকে আধুনিক করবে সেটা নষ্ট হয়ে যাবে'।
এতেও থেমে যাননি মুকেশ খান্না। তিনি আরও বলেন, ‘যদি একতার মহাভারতের নাম হত ‘কিঁউকি গ্রীক ভি কভি হিন্দুস্থান থি’ তবুও মেনে নেওয়া যেত। কে ওঁনাকে মহাকাব্য নিয়ে ছেলেখেলা করার অধিকার দিয়েছে? ওরা দেবব্রতর ‘ভীষ্ম প্রতিজ্ঞা’র𒀰 জায়গায় অন্যকিছুই দেখিয়েছিল এবং সত্যবতীকে তো সিরিয়ালের খলনায়িকা হিসাবে গড়ে তুলেছিল। আরও অনেক ঘটনা ঘটেছে ওই ধারাবাহিকে। ওরা হয়ত ব্যাস মুনির থেকে বেশি স্মার্ট হতে চেয়েছিল যা আমার পক্ষে মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। আমার কাছে রামায়ণ, মহাভারত শুধু মহাকাব্য নয় ওটা আমাদের ইতিহাস'।
রামায়ণ-মহাভারতের টিভির পর্দায় কামব্যাক প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে সম্প্রতি সোনাক্ষী সিনহাকেও একহাত নিয়েছিলেন অভিনেতা। তিনি জানিয়েছিলেন, ‘রামায়ণ-মহাভ🐷ারতের টিভির পর্দায় ফিরে আসাটা অনেকেরে কাজে লাগবে, যারা আগে এই শোগুলো দে෴খেনি। এটা সোনাক্ষী সিনহার মতো মানুষদের সাহায্য করবে যাঁদের আমাদের পুরাণ বা মহাকাব্য নিয়ে কোনও জ্ঞান নেই। ওঁরা এটাও জানে না ভগবান হনুমান কাঁর জন্য সঞ্জিবনী আনতে গিয়েছিলেন। একটা ভিডিয়ো দেখলাম যেখানে কিছু ছেলেকে প্রশ্ন করা হয়েছে কংস কারা মামা, তারা উত্তর দিতে ভয় পাচ্ছে। কেউ বলল দুর্যোধন, কেউ অন্যকিছু। পুরাণ নিয়ে এরা কিছুই জানে না’।