শুক্রবার দিনভর গোটা দেশের রাজনৈতিক মহল তোলপাড় বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতির ‘ঘর ওয়াপসি’ নিয়ে। এদিন বিজেপি ছেড়ে আবারও তৃণমূলে ফিরে এলেন মুকুল রায়। ‘দলবদলু’ মুকুলের ‘সরি’কে মান্যতা দিয়ে তাঁকে দলে ফেরালেন মমতা বন্দ⭕্যোপাধ্যায়। জানালেন, ‘গদ্দার, রুচিহীন'দের দলে নেবেন না। এই প্রꦜত্যাবর্তন নিয়ে হইচই রাজ্য জুড়ে। বাংলার বুদ্ধিজীবীমহলও কার্যত দু-ভাগে বিভক্ত হয়ে গিয়েছেন।
মুকুলের ঘরে ফেরাকে ‘পরিণত সিদ্ধান্ত’ বলে জানান চিত্রশিল্পী শুভাপ্রসন্ন। তিনি জানিয়েছেন, ‘মুকুল রায় আদ্যোপান্ত তৃণমূলেরই মানুষ। হয়ত কোনও মনোমালিন্যের জেরে বা কিছু কারণে দল ছ𝐆েড়ে গিয়েছিলেন….তবে মুকুল রায়ের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যে সম্পর্ক সেটা একেবারেই আলাদা।বিজেপি যে রকম হিন্দুত্ববাদী দল, সেই দলের সঙ্গে মুকুল রায়ের মতো রাজনীতিবিদের মিল হওয়ার কথা নয়। আমার মনে হয় মুকুল রায় ঘরে ফিরেছেন শুধুমাত্র এটা বুঝতে পেরে যে ২০২৪ সালে দেশ থেকে ওই দলটিকে সরাতে হবে’।
অন্যদিকে বাম সমর্থক তথা পরিচালক সৌরভ পালোধি মন্তব্য করেন, ‘কে আসবেন, কে যাবেন এটা ভীষন মজা💟র বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ওই ছোটবেলায় ক্রিকেটের খেপ খেলার মতো। মজার অথচ কষ্টের বিষয়’। ℱ;
শিক্ষাবিদ মীরাতুন নাহার এই দলবদলের রাজনীতিকে কটাক্ষ করে জানান, 'একটি দলের আদর্শ মেনে দেশ গড়ার কাজ করব, এই বোধ থেকে কেউ নেতা নেত্রী হন না। মুকুল রায় একটি দলে ছিলেন, বে👍রিয়ে আরেকটি দলে গেলেন, আবার ফিরে এলেন। এটি তারওই পরিচয়। বর্তমানে সংকীর্ণ রাজনীতি চলছে'।
একুশের বিধানসভা ভোটের আগেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন অভিনেতা হিরণ। খড়্গপুর সদর আসন থেকে জয় লাভও করেছেন। তারকা বিধায়ক এদিন মুকুল রায়কে কটাক্ষ করে টুইট করেন, ‘এবার ধান্দাবাজি রাজনীতি বন্ধ হোক। পশ্চিমবঙ্গ যে নোংরা রাজনীতির খেলা দেখছে তাতে রাজন♍ৈতিক নেতাদের উপর সাধারণ মানুষের আস্থা উঠে যাবে। আয়া রাম গয়া রাম- পশ্চিমবঙ্গের সংস্কৃতি নয়'।
তৃণমূলের তারকা বিধায়ক সোহম পালটা বিঁধলেন রাজ্য বিজেপির দুই নেতা শুভেন্দু অধিকারী ও দিলীপ ঘোষকে। 'তৃণমূল কোনও মতে🦹ই (বিজেপি) দল ভাঙাতে পারবে না' শুভেন্দুর এই চ্যালে𒅌ঞ্জের ভিডিয়ো পোস্ট করে সোহম লেখেন- ‘কিছুদিন আগেই এই কথা বলতে চ্যাম্পিয়ান, অথচ কাজের বেলায় গোল্লা শুভেন্দু অধিকারী চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছিলেন তৃণমূলের দিকে, বলেছিলেন পারলে রাজ্য বিজেপিতে ভাঙন ধরিয়ে দেখাক। তবে বিজেপি যে ধরণের জাতীয় লজ্জা, তাতে আমাদের চেষ্টাও করতে হয়নি!’
সব ꧙মিলিয়ে রাজনৈতিক মহল থেকে বুদ্ধিজীবী মহল, মুকুল রায়ের তৃণমূলে ফেরার ঘটনায় নানা মুনির নানা মত জারি রয়েছে।