সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর ෴তদন্ত নিয়ে মুম্বই পুলিশ বনাম বিহার পুলিশের অঘোষিত লড়াই নজর এড়ায়নি দেশের সর্বোচ্চ আদালতেরও। সুশান্তের মৃত্যুর তꦡদন্তে মুম্বই পৌঁছানো পাটনা পুলিশের এসপিকে কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই কোয়ারেন্টাইন করে বিএমসি। রবিবার রাত থেকে এখনও পর্যন্ত ঘরবন্দি অন ডিউটি আইপিএস অফিসার বিনয় তিওয়ারি। এই ঘটনার ক্ষুদ্ধ বিহার পুলিশের ডিজিপি গুপ্তেশ্বর পাণ্ডে।
বুধবার রিয়া চক্রবর্তীর পিটিশনের শুনানি চলাকালীন বিনয় তিওয়ারিকে কোয়ারেন্টাইন করবার বিষয়টি ন﷽িয়ে সুপ্রিম কোর্টে ভর্তসনার মুখে পড়তে হয় মহারাষ্ট্র সরকারকে। বিচারপতি হৃষিকেশ রায়ের আদালতের পর্যবেক্ষণ থেকে পরিষ্কারভাবে জানান, ‘মুম্বই পুলিশের পেশাদার মনোভাব সকলেরই জানা, তবে একজন বিহারের পুলিশ অফিসারকে কোয়ারেন্টাইন করা ভালো বার্তা দিচ্ছে না’। এর পরেও নিজেদের অবস্থানে অনড় বিএমসি। রাতে তাঁরা জানিয়ে বিহার পুলিশের চিঠির জবাবে জানিয়ে দেন ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইন পর্ব না মিটলে কোনওভাবেই ছাড়া হবে না বিনয় তিওয়ারিকে।
এতেই চটেছেন বিহার পুলিশের ডিজিপি। এদিন সংবাদ সংস্থা এএনআইকে তিনি বলেন, 'মুম্বই পুলিশ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশও মানছে না। তা✃হলে ওঁরা লিখিত দিক যে ওঁরা সুপ্রিম নির্দেশ মানবে না এবং আমাদের এসপিকে গ্রেফতার করা হয়েছে'।
তিনি বলেন, বিহার পুলিশের অফিসারকে কোয়ারেন্টাইন করাটা মুম্বই পুলিশের অপেশাদার সিদ্ধান্ত। সুপ্রিম কোর্টেও এই বিষয়ে নিজের পর্য়বেক্ষণ জানিয়েছে। আমরা অ্যাডভোকেট জেনারেলের সঙ্গে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নেব। আলাদতে যাওয়ার রাস্তা খোলা র๊য়েছে'।
শুরু থে🎶কেই বিহার পুলিশের ডিজিপি জানিয়েছেন, জোর করে কোয়ারেন্টাইন করা হয়েছে বিনয় তিওয়ারিকে। তিনি বলেন, বুধবার তিনি নিজে মহারাষ্ট্র পুলিশকে চিঠি লিখে আইপিএস অফিসারকে মুক্তি দেওয়ার কথা জানান। তাতেও লাভ না হওয়ায় এবার আদালতের পথে হাঁটার ভাবনাচিন্তা শুরু করে দিয়েছে বিহার পুলিশ।
কোয়ারেন্টাইন থেকে বিনয় তিওয়ারির অবিলম্বে 🌠অব্যহতি চেয়ে বিহার পুলিশের লেখা চিঠির জবাবে বিএমসি বুধবার ডিজিট্যাল মাধ☂্যম যেমন জুম, গুগল মিট ব্যবহার করে বিনয় তিওয়ারিকে তদন্তে অংশ নেওয়ার উপদেশ দেয়। মহারাষ্ট্র সরকারের করোনা সংক্রান্ত নিয়ম বিধি মেনে পাটনা সেন্ট্রালের এসপিকে ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনেই থাকতে হবে, এটাই নিয়ম দাবি বিএমসির। অন্যদিকে মুম্বই পুলিশ কমিশনার পরমবীর সিংয়ের মত, এই সিদ্ধান্ত সম্পূর্ন রূপে বিএমসির,এতে মুম্বই পুলিশের কোনও হাত নেই।