নয়নতারা আর ভিগনেশকে নিয়ে আইনি জটিলতা কিছুটা কাটার মু🔴খে। তামিলনাড়ু সরকারের তরফে একটি তদন্তকারী দল তৈরি করা হয়েছিল। সেই দলের রিপোর্ট অনুযায়ী কোনও বেআইনি কাজ করেনি এই দম্পতি। ভারতে সারোগেসি সংক্রান্ত যে আইন রয়েছে, তা ভাঙেননি এই দু’জন। এমন কথাই জানানো হল তদন্তকারীদের তরফে।
মাত্র ক𒁃য়েক মাস আগে বিয়ে করেছেন নয়নতারা এবং ভিগনেশ। তার কয়েক মাসের মধ্যেই সারোগেসির মাধ্যমে মা-বাবা হয়েছেন তাঁরা। তার পর থেকেই বেশ কিছু প্রশ্ন উঠেছিল তাঁদের নিয়ে। কী কী প্রশ্ন?
ভারতে বাণিজ্যিকভাবে সারোꦦগেসি নিষিদ্ধ। সেই নিয়ম কি ভেঙেছে এই🐓 দম্পতি?
বিয়ের এত কম সময়ের মধ্যে 𓄧সারোগেসির মাধ্যমে মা-বাবা হওয়া যায় না। তাহলে ওঁরা কী করে হলেন?
এই দুই প্রশ্ন নিয়েই বেশ কিছু দিন জটিলতা তৈরি হচ্ছিল। এমনকী এই দুই দম্পতির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে বলেও𒉰 শোনা যাচ্ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তামিলনাড়ু সরকারের তরফে জানিয়ে দেওয়া হল, তাঁরা কোনও অবৈধ কাজ করেননি। কী কী♏ জানা গিয়েছে এ প্রসঙ্গে?
নয়নতারা এবং ভিগনেশের সারোগ🅺ে🌳সি প্রক্রিয়ায় কোনও অনিয়ম আছে কি না তা তদন্ত করার জন্য তামিলনাড়ু সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ তিন সদস্যের একটি প্যানেল গঠন করে। জানা গিয়েছে, এই প্যানেল বুধবার তাদের রিপোর্ট দাখিল করেছে। সেই রিপোর্টে এই দম্পতিকে পুরোপুরি নির্দোষ বলা হয়েছে। এমনই খবর পাওয়া গিয়েছে।
তাহলে এই জটিলতা হল কেন? এ জন্য দায়ী করা হয়েছে হাসপাতালকে। যে হাসপাতালে এই সারোগেসির প্রক্রিয়াটি হয়, সেই হাসপাতালকেই এই বিভ্রান্তি তৈরির জন্য দায়ী করা হয়েছে। রিপোর্টে নাকি বলা হয়েছে, যে চিকিৎসক এই দম্পতির চিকিৎসা করেন, তাঁ𝓰কে জিজ্ঞাসা করে তদন্ত চলাকালীন জানা গিয়েছে, আসলে এই দম্পতির পারিবারিক চিকিৎসক কয়েক বছর আগেই একটি চিঠি দিয়েছিলেন। ২০২০ সালের সেই চিঠিতে সারোগেসির কথা বলা হয়েছিল। ফলে এই দম্পতি কোনও রকম বেআইনি কাজ কর♐েননি।
এর পরে রয়েছে বাণিজ্যিকভাবে হওযা সারোগেসির প্রশ্নটি। সে প্রসঙ্গেও বলা হয়েছে, এই দম্তির ✅যে আত্মীয়া সারোগেসির দায়িত্ব নেন, ২০২১ সালে তাঁর সঙ্গে আইনিভাবেই চুক্তি হয়ে🌠ছিল। সেই চুক্তি অনুযায়ী চলতি বছরের মার্চ মাসে সারোগেসির প্রক্রিয়াটি শুরু হয়। আর ভারতে বাণিজ্যিকভাবে সারোগেসি নিষিদ্ধ করার আইনটি আসে ২০২১-এর ডিসেম্বরে। যা বলবত হয় চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে। ফলে যদি আমরা সময়কালের দিকে তাকাই, তাহলে বলা যায়, এই দম্পতি কোনও বেআইনি কাজ করেননি।