প্রয়াত অর্ধেন্দু বসু। এক সময় যাঁরা দূরদর্শনের নিয়মিত দর্শক ছিলেন, তাঁদের কাছে অর্ধেন্দু ছিলেন পরিচ༒িত মুখ। বহু বিজ্ঞাপনের মডেল এবং বেশি কিছু সিনেমার অভিনেতা হিসাবেই তাঁকে চিনত দেশ। কিন্তু এর পাশাপাশি তাঁর ছিল এক পারিবারিক পরিচয়ও। তিনি ছিলেন নেতা সুভাষচন্দ্র বসুর ভাইপো। এহেন অর্ধেন্দু বসু সোমবার মুম্বইয়ে তাঁর বাড়িতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। তাঁর স্ত্রী কারমেন বসু সংবাদমাধ্যমকে এই খবরটি জানিয়েছেন।
নেতাজির কনিষ্ঠ ভাই শৈলেশচন্দ্র বসুর ছেলে ছিলেন অর্ধেন্দু। এক সময় রাজনীতি এবং ভারতের ইতিহাস আলোচনায় রীতিমতো সক্রিয় ছিলেন অর্ধেন্দু🎀। ২০১৫ সালে এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে নেতাজির লড়াইয়ের সময় থেকে কীভাবে তাঁদের পরিবারকে অত্যাচারের মুখে পড়তে হয়েছিল। তাঁর বাবা এবং মা’কেও ছাড়েনি ব্রিটিশরা। অত্যাচার নেমে এসেছিল তাঁদের উপরেও। এ সব ঘটনাই অর্ধেন্দুর মনে মারাত্মক ছাপ ফেলেছিল।
(আরও পড়ুন: নেতাজিকে🦄 'সন্ত্রাসবাদী' সম্বোধন গুজরাটের বিজেপি বিধায়কের, পরে দিলেন কোন সাফ♋াই?)
এসবের পাশাপাশি অর্ধেন্দু আজাদ হিন্দ বাহিনীর সৈনিকদের মধ্যে যাঁরা জীবিত ছিলেন, তাঁদের অধিকার রক্ষা নিয়েও দীর্ঘ দিন ধরে সরব ছিলেন। যদিও༺ এই পরিচয়ের পাশাপাশি অন্য একটি কারণে সারা ভারতের কাছে পরিচিত মুখ হয়ে উঠেছিলেন তিনি।
(আরও পড়ুন: আন্দামান নিকোবর দ্বীপে 🍷পা রেখে নেতাজি তৈরি করেছিলেন নয়া ইতিহাস! ফিরে দেখা সেই অধ্যায়)
কীভাবে সারা ভারতের কাছে এক সময়ে পরিচিত মুখ হয়ে ওঠেন নেতাজির এই ভাইপো? সত্তরের দশকে মুম্বইয়ে চলে যান অর্ধেনౠ্দু। সেখানেই কেরিয়ার শুরু করেন মজেল হিসাবে। বেশ কিছু সিনেমায় অভিনয় করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে ‘কোবরা’, ‘মেরা ইয়ার মেরা দুশমন’, ‘বিষকন্যা’র মতো পরিচিত ছবি। ‘কোবরা’ ছবির সূত্রে তাঁকে ভারতের ব্রুস লিও বলা হত এক সময়ে। মাঝে তিনি বাংলাতেও একটি ছবিতে অভিনয় করেন। সেটির নাম ছিল ‘কালকূট’। কেরিয়ারের বেশিরভাগ সময়টাই তিনি কাটিয়েছিলেন মুম্বইয়ে। তবে সিনেমা নয়, তাঁকে অধিক পরিচিতি দিয়েছিল অন্য একটি জিনিস।
(আরও পড়ুন: নেতাজি সুভাষ🗹চন্দ্র ব⛎সুর ICS ছাড়ার ইস্তফা পত্র ভাইরাল! কী লিখেছিলেন চিঠিতে?)
১৯৭০ সালের পরে তিনি তৎকালীন বম্বে ডায়িং কোম্পানির মডেল হিসাবে চুক্তি সই করেন। বহু বছর এই প্রতিষ্ঠানের মডেল হিসাবে তিনি কা꧂জ করেছিলেন। আর তার সূত্রেই তিনি পৌঁছে যান দেশের ঘরে ঘরে। যদিও অনেকেই জানতেন না, বম্বে ডায়িংয়ের মডেল হিসাবে তাঁরা যাঁকে দেখছেন, তিনি খোদ নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ভাইপো।
এক সময়ে বয়স জনিত কারণে এই পেশা থেকে সরে যান অর্ধেন্দু। যদিও মুম্বই থেকে আর ফেরেননি কলকাতায়। সেখানেন💯ই জীবনের শেষ অঙ্কটা কাটিয়ে ফেললেন তিনি।