যিশু-নীলাঞ্জনার দাম্পত্যে কেবল ফাটল ধরেনি, বরং তাঁদের সাজানো সংসার ভেঙে চুরমার হয়ে গিয়েছে। প্রকাশ্যে এই নিয়ে দুজনে মুখে কুলুপ আঁটলেও, তাঁদের বিচ্ছেদ এখন আর জল্পনার স্তরে আটকে নেই। উৎসবের মরসুমে দু-মেয়েকে নিয়েই সময় কাটছে নীলাঞ্জনার। দীপাবলির আগে নীলাঞ্জনার জীবনে ‘নতুন আলো’। নতুন শুরুর ঘোষণা করলেন ‘আনন্দী’ প্রযোজক। আরও পড়ুন-‘যখন কিছু ঘটে সাময়িকভাবে সবকিছু ওলটপালট হয়ে যায়…’, যিশুর 🐻সঙ্গে বিচ্ছেদকেই কি ইঙ্গিত করলেন নীলাঞ্জনা?
তবে কি বিচ্ছেদ নিয়ে বড় সিদ্ধান্তটা নিয়ে ফেলে༺ছেন দুজনে? সেই সত্যিটা জানতে আরও খানিকটা অপেক্ষা করতে হবে। তবে বিচ্ছেদ চর্চার মাঝে এদিন ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট নীলাঞ্জনার। ইনস্টাগ্রামে ‘নার্সিস্টিক’ পার্টনারকে নিয়ে পোস্ট করলেন তিনি। সেই খোঁচা কি যিশুর দিকেই?
নার্সিসিজম শব্দটার সঙ্গে যাঁরা পরিচিত, তাঁরা জানেন, এই নেতিবাচক শব্দের ভয়ঙ্কর ꦐরূপ। যখন আপনার পার্টনার আত্মপ্রেমে মগ্ন থাকেন, আপনার প্রতি তিনি সহানুভূতিশীল নন, অহংকারী এবং উদ্ধত স্বভাবের হন তাহলে তিনি নারস্টিস্ট। নীলাঞ্জনা যে উদ্ধৃতি ভাগ করে নিয়েছেন, তাতে লেখা- ‘নারস্টিস্টদের মনোভাব ঠিক কেমন? ঘটনাটা ঘটেনি, যদি ঘটে থাকে তাহলে ততটাও খারাপ নয়। যদি তা হয়, তাহলে সেটা এমন কিছু বড় ব্যাপার নয়। আমার মনে হয় না ওটা আমার ভুল ছিল। যদি ভুল করি, তাহলে আমি তা করতে চাইনি। বরং তোমার জন্যই সবটা ঘটেছে’।
এই পোস্টের হ্যাশট্যাগে নীলাঞ্জনা জুড়ে দেন, ‘সত্যিটা বলতে হবে….’। নীলাঞ্জনা অপর এক পোস্টে আরেকটি বার্তা শেয়ার করেন, তাতে লেখা- ‘তোমাকে অস্বস্তিত🃏ে ফেলতেই হত, না হলে কোনওদিন জীবনে এগিয়ে যেতে পারতে না, ইতি- ব্রহ্মাণ্ড’।
এই পোস্টের ক্যাপশনে যিশু ঘরণী লেখেন, ‘ধন্যবাদ বিশ্বব্রহ্মাণ্ড। শিক্ষাটা সত্যি যন্ত্রণাদায়ক ছিল, কিন্তু আমি শিখেছি, এবং এগিয়ে গেছি সামনের দিকে… নতুন শুরু’। নীলাঞ্জনার শুভাকাঙ্খীরা তাঁর মনের জোর বাড়িয়েছেন। অভিনেত্রী﷽ সুরভি মল্লিক লেখেন, ‘গোটা ব্রহ্মাণ্ড তোমার সঙ্গে আছে.. এগিয়ে চলো’। ভাল♍োবাসা জানিয়েছেন অভিনেত্রী সুদীপ্তা চক্রবর্তী।
মাস কয়েক ধরেই আলোচনায় যিশু-নীলাঞ্জনার বিচ্ছেদ জল্পনা। খবর, ২০ বছরের দাম্পত্য ভুলে পরকীয়ায় জড়িয়েছেন নায়ক। সহকর্মী শিনাল সূর্তির সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার জেরেই নীলাঞ্জনার সঙ্গে তাঁর বিয়ে ভাঙনের মুখে। নীলাঞ্জনা শুধু যিশুর পদবি মুছে ফেলেননি নামের পাশ থেকে, এক ছাদের নীচেও থাকেন না দুজনে। যিশুর প্রযোজনা সংস্থা থেকেও নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছেন। শুরু করেছেন ‘নিনি চিনিস মাম্মাস প্রোডাকশন’। যার ব্যানারে তৈরি হয়েছে জি বাংলার নতুন মেগা আনন্দী।