নীলাঞ্জনা এখন আর সেনগুপ্ত নন। বরের পদবি আগেই সরিয়েছেন নামের পাশ থেকে। যিশু-নীলাঞ্জনার দাম্পত্যের ফাটল এখন ধীরে ধীরে একটা গভীর খাতে পরিণত হয়েছে। এ কথা পরিচিতমহলে অজানা নয়। যদিও ডিভোর্স নিয়ে এখনই খোলাখুলি কিছু বলতে চান না দুজনে। গত বছর পুজোটাও একসঙ্গে কেটেছিল, এবার আলাদা আলাদা। আরও পড়ুন-শিনালের সঙ্গে লিভ ইনে যিশু, বিচ্ছেদ෴ 📖চর্চার মাঝেই নিজেকে বদলে ফেললেন নীলাঞ্জনা! নতুন শুরুর ইঙ্গিত?
নীলাঞ্জনার স্বভাবতই শহরে মন টিকলো না। প্রিয়জনদের টানে দুই মেয়েকে নিয়ে নীলাঞ্জনা উড়ে গিয়েছেন মুম্বইয়ে। নীলাঞ্জনা মুম্বইয়ের মেয়ে। যিশুর সঙ্গে সম্পর্কের জেরেই সব ছেড়ে তাঁর কলকাতায় সেটল হও🔯য়া। কিন্তু এবার আর মন মানলো না। দুর্গাপুজোয় মন চন্দনা ভৌমিকের কাছে ছুটলেন দুই মেয়েকে নিয়ে।
সারা আর জারাকে ঘিরেই এখন আবর্তিত নীলাঞ্জনার জীবন। যিশু উজ্জ্বল সেনগুপ্ত প্রোডাকশন থেকেও এখন নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছেন তিনি। খুলেছেন দুই মেয়ের নামে ‘নিনি চিনিস মাম্মাস প্রোডাকশন হাউজ’। দুই মেয়েই নীলাঞ্জনার শক্তির উৎস। মুম্বইতে বোন চন্দনার পাশাপাশি পুরোনো বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটাতে দেখা গেল নীলাঞ্জনাকে। মেয়ে সারা🐻কে সঙ্গে নিয়ে অভিনেতা অর্জুন বিজলানির সঙ💯্গে একফ্রেমে বন্দি হলেন নীলাঞ্জনা।
সেই ছবি ইনস্টাগ্রামে 🔯পোস্ট করে লেখেন, ‘পঞ্চমী সর্টেড’। দুর্গাপুজোয় যিশুর বাড়িতে জমত গানের আসর। স্ত্রী-মেয়েদের নিয়ে পুরোনো পাড়ার পুজোতে সামিল হতেন নায়ক। কিন্তু এই বছর সেই ছবিটা বদলে গিয়েছে। নেপথ্যে য🦩িশুর পরকীয়ার গুঞ্জন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় যিশুর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন নীলাঞ্জনা। ইনস্টাগ্রামে স্বামীকে আনফলো করেছেন নীলাঞ্জনা। পাশাপাশি যিশুর সঙ্গে নিজের অধিকাংশ ছবিই ডিলিট করেছেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরেই মুম্বই ও দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রিতে কাজের জন্য খুব কম সময়ই কলকাতায় থাকেন যিশু। এই দূরত্বই নাকি কাল হল দম্পতির জীবনে! আরও পড়ুন-‘ফুচকাওয়ালাকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে’, 🎐লাথি মেরে গরীবের স্টল ভেঙে সাফাই সিংহি পার্কের
খবর, মুম্বইয়ে কাজের ব্যস্ততার মাঝেই সহকর্মী শিনাল সূর্তিকে মন দিয়ে বসেন যিশু। সেই খবর নীলাঞ্জনার কানে পৌঁছাতে বেশি সময় লাগেনি। আর এর জেরেই ভাঙতে চলেছে দুজনের ২০ বছরের দাম্পত্য ဣজীবন।
বিচ্ছেদ চর্চার মাঝেই এক সাক্ষাৎকারে নীলাঞ্জনা বলেছেন, ‘মানুষের জীবনে প্রায়োরিটি সম📖য়ে সময়ে চেঞ্জ হয়। প্রত্য়েক মানুষকে বুঝতে হবে, জীবনের প্রতিটি পর্যায়ে তোমাকে কিছু একটা বেছে নিতে হবে, আর সেটায় বিশ্🥀বাস করতে হবে। ৬ বছর আগে কাজ ছেড়ে দেওয়ার কোনও রিগ্রেট আমার নেই। সবার জীবনেই কোনও না কোনও কঠিন পরিস্থিতি আসবে, বিশ্বজুড়েই অশান্ত পরিবেশ আমরা দেখছি। তবে সবার উপরে কর্মফল এটা মনে রাখতে হবে।’