বর্তমানে বলিপাড়া🍎র নামী এবং একই সঙ্গে জনপ্রিয় অভিনেতা তিনি। কেরিয়ারে তিনি সু-প্রতিষ্ঠিত নাম। তবে বিহার থেকে উঠে আসা অভিনেতা পঙ্কজ ত্রিপাঠির জীবনের শুরুটা কিন্তু এমন ছিল না। একটা সময় ছিল পেট চালাতে হোটেলে কাজ করতেন পঙ্কজ। আর মনের খোরাক জোগাতে থিয়েটার করতেন। অভিনেতার জীবন সত্যিই নতুন প্রজন্মকে অনুপ্রেরণা দেওয়ার মতোই।
বর্তমানে প্রতিষ্ঠিত অভিনেতা হলেও নিজের শিকড়কে ভুলে যাননি💦 পঙ্কজ ত্রিপাঠি। আর তাই সম্প্রতি নিজের পুরনো কর্মস্থলে গিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন অভিনেতা। পাটনার সেই হোটেলে গিয়েছিলেন অভিনেতা, যেখানে তিনি একদিন নিজে কর্মচারী হিসাবে কাজ করতেন। নিয়ম অনুযায়ী সেই হোটেলের কর্মচারীদের পিছনের গেট দিয়ে ঢুকতে হয়। সেখানে কাজ করার সময় পঙ্কজ ত্রিপাঠীও একদিন সেই হোটেলের পিছনের গেট দিয়েই ঢুকতেন। আর উপভোক্তারা আসতেন সামনের বড় গেট দিয়ে।
কিছুদিন আগে অভিনেতা পঙ্কজ অবশ্য সে🅺খানে গিয়ে হোটেলের মূল গেট দিয়ে সসম্মানে সেখানে ঢোকেন। শুধু তাই নয় সেদিন পঙ্কজকে অভ্যর্থনা জানাতে সেখানে উপস্থিত ছিলেন হোটেলের ম্যানেজার। যিনি কিনা একদিন ছিলেন পঙ্কজ ত্রিপাঠির 'বস' ছিলেন। এদিন সেই হোটেলের ম্যানেজারকে স্বাগত জানাতে দেখে আরও নস্টালজিক হয়ে পড়েন পঙ্কজ ত্রিপাঠি। আবেগে চোখে জল এসে যায় পঙ্কজের। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে কথাগুলি তুলে ধরেছেন 'বিহার কা লালা'।
পঙ্কজ ত্রিপাঠি বলেন, ‘𓆏আমি রাতে হোটেলের রান্নাঘরে কাজ করতাম এবং সকালে থিয়েটার করতাম। নাইট শিফট শেষ করে ফিরে আসতাম, তারপর প🙈াঁচ ঘন্টা ঘুমাতাম। এরপর ২-৭ টা পর্যন্ত থিয়েটার করতাম এবং আবার হোটেলে কাজ করতে চলে যেতাম। রাত ১১ টা থেকে সকাল ৭ টা পর্যন্ত আমি টানা ২ বছর সেসময় নিয়মিত এই কাজটি করেছি'।
এখানেই শেষ নয়, একদিন পাটনার সেই হোটেলেই এসে উঠেছিলেন অভিনেতা মনোজ বাজপেয়ী। তখন তিনি স্টার, আর পঙ্কজ ত্রিপাঠি ছিলেন হোটেলের✱ অতি সাধারণ কর্মচারী। সেসময় সুযোগ বুঝে প্রিয় অভিনেতা মনোজের জুতোজোড়া চুরি করে নেন পঙ্কজ। এই প্রসঙ্গ তুলে অভিনেতা বলেন, ‘আর আজ একথা উঠলে মনোজের সঙ্গে কত হাসাহাসিই না করি।’
পঙ্কজ বলেন, তিনি যেদিন নিজের পুরনো কর্মস্থলে গিয়েছিলেন, সেদিন মোট ১৫জন কর্মীর সঙ্গে দেখা কর🍃েন অভিনেতা, যাঁদের সঙ্গে তিনি একদিন কাজ করতেন। সেদিন পাটনার সেই হোটেলে পঙ্কজ ত্রিপাঠির সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন অভিনেতা বিক্রান্ত মাসেও। হোটেলে পুরনো কর্মীরা যখন বিক্রান্তকে পুরনো কথা তুলে ধরছিলেন, সেসময়ও আরও একবার আবেগতাড়িত হয়ে পড়েছিলেন পঙ্কজ ত্রিপাঠি।