২০ জানুয়ারি, আজ অভিনেত্রী পারভিন ববির মৃত্যুবার্ষিকী। সাল ১৯৭২। সেই সময় মডেল হিসাবে কেরিয়ার শুরু করেন পারভিন। মডেলিং করতে করতেই রুপোলি পর্দায় নিজেকে মেলে ধরার সুযোগ পেয়ে যান তিনি। পরের বছর, ১৯৭৩ সালে ‘চরিত্র’ সিনেমার হাত ধরে♏ বলিউডে হাতেখড়ি হয় পারভিনের। বক্স অফিসে ওই ছবি না চললেও পারভিনের উপস্থিতি নজর কাড়ে।
যদিও ব্যক্তিগত জীবনে, বলিপাড়ায় প্রথমে অভিনেতা-পরিচালক ড্যানি ডেনজংপার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন পারভিন। তবে কখনই এই সম্পর্ক নিয়ে মুখ খোলেননি ড্যানি। ড্যানির পর অভিনেতা কবীর বেদীর প্রেমে পড়েছিলেন পারভিন। তবে সেই প্রেমও টেকেনি। বলিপাড়ায় এর পর যাঁর সঙ্গে প্রেমে পড়েছিলেন পারভিন, তিনি পরিচালক মহেশ ভাট। ১৯৭৭ সালে বিবাহিত মহেশের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান। মহেশ এবং পরভিনের প্রেমকাহিনি বলিপাড়ার অন্যতম চর্চিত বিষয়। আরও পড়ুন: ‘খুলা’ হয়েছে༒, শোয়েবের সঙ্গে মেয়ের বিচ্ছেদ নিয়ে মুখ খুললেন সানিয়া মির্জা🤪র বাবা
মহেশের প্র♉েমে পাগল ছিলেন পারভিন। একসময় লিভ-ইনও করেছেন। সেই সময় বলিউডে সুপারস্টার ছিলেন অভিনেত্রী। প্রায় তিন বছর ꧋সম্পর্কে ছিলেন তাঁরা। এমনকি পারভিনের মৃত্যুর সময় শেষযাত্রায়ও হাজির ছিলেন মহেশ। জানা যায়, স্কিৎজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত ছিলেন পারভিন।
পরভিনের মৃত্যুর পর তাঁর জীবন নিয়ে আরও একটি ছবি বানান মহেশ। এই ছবিটি প্রযোজনাও করেছিলেন তিনি। ২০০৬ সালে মুক্তি পায় সেই ছবি। যার নাম ‘ও লমহে’। ছবিতে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন কঙ্গনা রানাওয়াꦰত। একসময়, পারভিনকে সামলাতে হিমশিম খেতে হয়েছিল মহেশকে।
সম্প্রতি ইকোনমিক টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রয়াত প্রাক্তন প্রেমিকা সম্পর্কে মুখ খুলেছেন মহেশ ভাট। তিনি বলেছেন, ‘বলিউড রূপকথার গল্প🌱ের মতো। শিক্ষা পেলেই তুমি আর কখনও কষ্ট পাবে না। এই মদ, গোলাপ এবং পারভিনের সঙ্গে চোখের জল ফেলা, সত্তরের দশকের এই সুপারস্টার মেয়েটি ছিল ম্যা🥀গাজিন গার্ল। গুজরাটের জুনাগড়ের মেয়েটি বিশ্বব্যাপী ফ্যাশনকে খুব সাধারণ ভাবেই তুলে ধরেছেন’।
পারভিনের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে কথা বলতে গিয়ে মহেশ লেখেন, ‘আমাদের দুই বা আড়াই বছরের সম্পর্কে আমি নিজের চোখে দেখেছি ওকে মাটিতে ধুলোর মধ্যে লুটিয়ে থাকতে ওর মানসিক পরিস্থিতির কারণে। এমনকি ‘অর্থ’ ছবির স্প্রিংবোর্ড হয়ে উঠেছিলেন পারভিন, ওই ছবি যেন আ♋মাকে দ্বিতীয়বার জন্ম দিয়েছিল। আমাদের আবেগপূর্ণ রোম্য▨ান্স এবং পরবর্তী ট্র্যাজেডি আমাকে ভেঙে দিয়েছিল’।
পারভিনের ট্র্যাজিক মৃত্যু মনে করে মহেশ লেখেন, ‘আমার পরিষ্কার মনে আছে, যেদিন ওর দেহ পরিচয় ছাড়া হয়ে কুপার হাসপাতালের মর্গে পড়ে ছিল। আমার বন্ধু অশোক পণ্ডিꦍতের সঙ্গে আমি ঘোষণা করেছিলাম, যদি কেউ ওকে দাবি না করত, তাহলে আমি সবসময়ই চেষ্টা করতাম﷽ মর্যাদার সঙ্গে যেন ও মৃত্যুর শেষযাত্রায় যেতে পারে’।
প্রয়াত অভিনেত্রীকে শ্রদ্ধা জানিয়ে মহেশের মন্তব্য, ✱𓆉‘ধন্যবাদ, পারভিন আমার জীবন স্পর্শ করার জন্য। তোমাকে ছাড়া কোথায় থাকতাম?’
১৯৭৫ সালে মুক্তি পেয়েছিল ‘দিওয়ার’। অমিতাভ বচ্চন, শশ🍸ী কপূরের সঙ্গে এই ছবিতে অনিতা চরিত্রে দেখা গিয়েছিল পারভিনকে। এই ছবির হাত ধরেই বলিপাড়ার প্রথম সারির নায়িকা হিসাবে নিজের জায়গা করে নেন। ‘দিওয়ার’ ছবির সাফল্যের পর আর পিছন ফিরে তাকাতে হ🐬য়নি পারভিনকে। অমর আকবর অ্যান্টনি, সুহাগ, কালা পাথ্থার, দ্য বার্নিং ট্রেন, শান, ক্রান্তির মতো ছবিতে অভিনয় করেছেন।
২০০৫ সালের ২২ জানুয়ারি মুম্বইয়ের বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় পারভিনে🧔র দেহ। নায়িকার বাড়ির দরজায় ৩ দিন ধরে পড়েছিল খবরের কাগজ। আর এতেই সন্দেহ হয়। পরে পুলিশ এসে তাঁর দেহ উদ্ধার করে। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে যে, দেহ উদ্ধারের ৩ দিন আগে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। পারভিনের মৃত্যু অসুস্থতার কারণে এবং অস্বাভাবিকতা ন♑েই বলে দাবি করে পুলিশ।