ডালহৌসিতে পাইস হোটেল চালানো নন্দিনী দিদিকে এখন কে না চেনেন! অফিসপাড়ার রাঁধুনি এখন সোশ্যাল মিডিয়ার সেনসেশন। রাস্তার ধারে সাধারণ হোটেলগুলোর থেকে বেশকিছুটা 'হটকে' নন্দিনীর হোটেল। দাঁড়িয়ে কানে ব্লু টুথ গুঁজে, জিনস-প্যান্ট পরে রাস্তার ধারে রান্না করছেন এই সুন্দরী। এই দৃশ্য চোখ টেনেছিল নেটিজেনদ🎀ের। আর তাই ধীরে ধীরে ইউটিউবারদের সুবাদে সুপার ভাইরাল হন নন্দিনী গঙ্গোপাধ্যায়।
এই পাইস হোটেল চালানো নন্দিনীর ফ্যান ফলোয়িং-এর সংখ্যাও এখন নেহাত কম নয়। মাঝেমধ্যে ত🍷াই সোশ্যাল মিডিয়ায় লাইভে আসতেও দেখা যায় এই নন্দিনীকে। শনিবারও ইনস্টাগ্রাম লাইভ করলেন এই নন্দিনীদিদি। সেখানে কী বললেন তিনি?
সকলকে 'হ্য়ালো' বলে বললেন, ‘দোকানে বসেছিলাম, তাই ইনস্টাগ্রাম দেখতে দেখতে মনে হল একটু লাইভে আসি। ইভিনিংয়ের খাবার তৈরি হচ্ছে এখন।’ এরই মাঝে ভিতর থেকে কেউ কিছু বানাতে বললে নন্দিনীদিদি বলে উঠলেন, ‘দুধটাকে গরম করো আসছি…’। দোকানের এক খরিদ্দারের কথা প্রসঙ্গে নন্দিনী জানালেন, ‘যাঁরা ভাবছেন ডালহৌসির দোকান আমার বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, সেটা কিন্তু সত্যি নয়। ওখানকার দোকান আমার খোলা আছে। বাবা আমাকে এখানে কিছুটা সাহায্য করছিল, তাই কিছুদিন বন্ধ ছিল।’ লাইভে বহু অনুরাগী নন্দিনীর হাতের রান্ন🤪ার প্রশংসা করলেন, কেউ আবার তাঁর রূপের প্রশংসাও করলেন। ধরে ধরে বহু লোকজনের কমেন্টের উত্তর দিলেন নন্দিনী। কেউ আবার যোধপুর প🍎ার্কে হোটেল খোলার প্রস্তাব দিলে, নন্দিনী জানালেন, ‘আপনি জায়গা দিন নিশ্চয় খুলব। চাইলে আপনারাও খুলতে পারেন হোটেলর উদ্বোধনে আমি যাব, নিজেও সেখানে যুক্ত হব।’
আরও পড়ুন-দেব বনাম মিঠুনের লড়াই! কাবুলিওয়ালাকে গোল🌠 দিয়ে ৪.৪৫ কোটি আয় প্রধানের, অন্যটির কত?
নন্দিনী জানালেন তাঁর ডালহৌসির দোকান শুধুমাত্র দুপুরের মধ্যাহ্নভোজের জন্য খোলা। তবে নিউটাউনের রেস্তোরাঁতে তিনি সকাল থেকে রাত অবধি থাকছেন। নন্দিনী তাঁর নতুন হোটেলের ঠিকানা জানিয়ে বলেন,൩ ‘নিউটাউন আকাঙ্খা মোড়ের ঠিক বিপরীতেই রয়েছে তাঁর এই রেস্তোরাঁ।’
প্রসঙ্গত, গত ১২ই জানুরায়ি শুভ উদ্বোধন হয়েছে ‘নন্দিনীদিদির হেঁশেল’-এর। ২৪-র শুরুতেই স্বপ্নপূরণ করে ফেলেছেন নন্দিনী দিদি। টিনের ছাদের সেই হোটেলে রয়েছে ঘে⭕রা জায়গা। সেখানেই বসে সকলে খেতে পারবেন। নতুন দোকান খোলার পরেই অনেকের মনে প্রশ্ন, ‘নন্দিনীদি যদি ডালহৌসির হোটেল সামলান, তাহলে এই হোটেল কে চালাবে?’ তবে শোনা যাꦯচ্ছিল বোন সঙ্গীতার কাঁধে এই হোটেলের গুরু দায়িত্ব দিয়েছেন নন্দিনী। তবে নন্দিনী এখন জানালেন ডালহৌসির হোটেলে তাঁর বাবা থাকবেন। আর এখানে তিনি।
তবে এর আগে ইউটিউবারদের প্রশ্নে নতুন হোটেলের মেনু নিয়ে মুখ খুলেছিলেন নন্দিনীর বোন সঙ্গীতা। তিনি বলেন, ‘দিদির ওখানে যা পাওয়া যায়, বাঙালি থালি আইটেম। ভেজ থালি, চিকেন থালি, ফিশ থালি, পোলাও-আলুরদম, পোলাও-মটনকারি, সবই থাকবে। ডালহৌসির দোকানে যা পাওয়া যায়, তাই এখানেও পাওয়া যাবে। তবে এক্সট্রা কিছু হয়ত যোগ করা হবে, বিশেষত সন্ধ্যের দিকে’। সঙ্গীতা আরও জানান, ‘না, এটা দিদিরই দোকান। দুই বোনের হোটেল নয়, এটা 🧜নন্দিনীদিরই হোটেল থাকবে। তবে দোকান তো নিজেদের, নিশ্চয় আমিও সাহায্য করব।’ শেষে তাঁর সংযোজন, ‘তোমরা এইভাবেই আর্শীবাদ কর🍸তে থাকো, তিন-চারটে দোকান তো আমরা খুলেই নেব’।