সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়🦩কে ছেলেবেলার স্মৃতিচারণ করতে দেখা গিয়েছে। কীভাবে সেই সময় বাবা বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্💯গে সেটে যেতেন, সেই গল্পই করতে শোনা গেল। আর সেই সময়ই, ছোট্ট প্রসেনজিৎ থাপ্পড় মেরেছিল বলিউডের খ্যাতনামা অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুরকে।
সম্প্রতি অযোগ্য-র প্রোমোশন চলাকালীন শর্মিলাকে থাপ্পড় মারার সেই ঘটনা স্মৃতিচারণ করতে দেখা গেল বুম্বাদাকে। তিনি বলেন🌌, ‘তখন আমার বয়স কত হবে, ৪ কি ৫। একটা রোম্যান্টিক দৃশ্যের শ্যুটের সময় নায়ক থাপ্পড় মারবে নায়িকাকে, মানে শর্মিলা আন্টি বাবাকে।’
আরও পড়ুন: ‘প্রতিনিয়ত ব্🅺যথা হচ্ছে…’! ব্রেস্ট ক্যানসারের সার্জারি হিনা খানের, এখন কেমন আছেন
আর সেই🗹 দৃশ্যের লাঞ্চ ব্রেকের সময়ই ঘটে সেই ঘটনা। প্রসেনজিৎ বলেন, ‘উনি আমারে ডেকে কোলে নিয়েছিলেন লাঞ্চ ব্রেকের সময়। আর আমি ওঁকে থাপ্পড় মারি।’ অভিনেতা আরও বলেন, 🅷‘এখনও যখন ওঁর সঙ্গে আমার দেখা হয়, আমাকে উনি থাপ্পড় মারার ঘটনা মনে করিয়ে দেয়। আর আমাকে বলে, 'তুমি আমাকে থাপ্পড় মেরেছিলে, কারণ আমি তোমার বাবাকে থাপ্পড় মেরেছিলাম'।’
আরও পড়ুন: সোহিনী লক্ষ্মীমন্ত বউমা! শোভনে🧸র ব🌳াড়িতে ঢুকেই চমক নায়িকা-বউয়ের, কী লিখলেন গায়ক
‘প্রভাতের রং’ আর ‘ইয়ে রাত ফির না আয়েগি’ ছবিতে একসঙ্গে কাজ করেছিলেন শর্মিলা ঠাকুর আর প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্য🀅ায়।
আরও পড়ুন: কদিন আগেই স🦋ৌমিতৃষার🀅 সঙ্গে ঝামেলা! এবার ‘পারিবারিক শিক্ষা’ নিয়ে বিস্ফোরক তন্বী
স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায় এবং দুই নাবালক সন্তানকে ছেড়ে মুম্বইতে দ্বিতীয় সংসার পেতেছিলেন বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়। সিনেমার জগতে খ্যাতি পেলেও, পারিবারিক জীবনে কম ওঠাপড়ার মুখে পড়তে হয়নি তাঁকে। প্রথম স্ত্রীর নাম ছিল রত্না চট্টোপাধ্যায়। বিয়ে করেন ১৯৬০ সালে। যেখান থেকে তাঁর দুই সন্তান হয়, প্রসেনজিৎ ও অর্পিতা। তবে স্বামীর অনস্ক্রিন রোম্যান্স মেনে নিতে পারেননি রত্নাদেবী। ফলে নিত্য চলত অশান্তি। বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, সন্তানদের সামনে তাঁকে গালাগালি করত প্রথম স্ত্রী। নিত্য কটাক্ষের জেরে একা বসে চোখের🅷 জল ফেলেছিলেন দীর্ঘ সময়। এরপর বাধ্য হন বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে যেতে। শুধু ♛তাই নয়, দুই সন্তান পল্লবী-প্রসেনজিৎকেও তাঁর থেকে দূরে রাখা হয়েছে বলে এক জানান বিশ্বজিৎ সম্প্রতি।
পরবর্তীতে ইরা দেবীকে বিয়ে করেন বিশ্বজিৎ। তাঁদের এক কন্যা সন্তানও রয়েছে সম্ভাবী চট্টোপাধ্যায়। দীর্ঘদিন বাবার সঙ্গে যোগা🌺যোগ না থাকলেও দ্বিতীয় বিয়ের পর প্রসেনজিতের সঙ্গে বিশ্বজিতের সম্পর্ক অনেকটাই স্বাভাবিক হয়েছিল। পরবর্তীতে নায়কের তৃতীয় স্ত্রী অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়ও বাবা-ছেলের দূরত্ব মেটাতে অনেকটাই সফল হন।