সন্তানরা কৈশোরে পা দিলে তাঁদের নিয়ে বাবা-মা'র চিন্তা কয়েকগুণ বেড়ে যায়। ছে🦄লে-মেয়ে একটু একটু করে যৌবনের দিকে পা রাখলে তাঁর মধ্যে নানারকম শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তন আসে। বয়ঃসন্ধিকালে নিজেদের একটা আলাদা জগত তৈরি করে নেয় তারা, সেই জগতে সহজে এন্ট্রি মেলে না বাবা-মা'র। সিঙ্গল পেরেন্টদের ক্ষেত্রে তো এই পরিস্থিতি সামাল দেওয়াটা আরও চ্যালেঞ্জিং। এই কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি প্রতিদিন হতে হচ্ছে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Rachana Banerjee)। সেই কথা সুযোগ পেলেই ‘দিদি নম্বর ১’-এর মঞ্চে তুলে ধরেন অভিনেত্রী।
সদ্যই দিদি নম্বর ১-এর মঞ্চে হাজির হয়েছিল ‘জগদ্ধাত্রী’র নায়ক ‘স্বয়ম্ভু’। জি বাংলার হিট গেম শো-এর বিশেষ পর্বে মা-কে নিয়ে হাজির অভিনেতা সৌম্যদীপ মুখোপাধ্যায়। পর্দার ‘স্বয়ম্ভু' বাস্তব জীবনে কেমন? মায়ের কাছে এই প্রশ্ন রেখেছিলেন 💯রচনা। জবাবে মিঠু মুখোপাধ্যায় জানান, 'ছোটবেলায় ভয়ানক দুরন্ত ছিল। কথা শুনত না একেবারেই। সামলাতে পারতাম না ছেলেকে। বড় হয়ে নিজে থেকেই শান্ত হয়ে গিয়েছে।’ এ কথা শুনেই অদ্ভূত এক প্রশান্তি রচনার মনে। তিনি বলেই ফেললেন, এটা কোন বয়স থেকে হয়েছে? হাসিমুখে সৌম্য়দীপের মা জানান, ১৫-১𒆙৬ বছর বয়সে শান্ত হয়ে গিয়েছে ছেলে।
এরপর আক্ষেপের সুরে অভিনেত্রী জানান, ‘আমার ছেলে ১৫। কোনও লক্ষ্মণ দেখতে পাচ্ছি না!’ সঙ্গে সঙ্গে স্বয়ম্ভূর মায়ের আশ্বাস, ‘হবে, আস্তে আস্তে হবে।’ এরপরই জোড়হাতে ভগবানকে স্মরণ করেছেন দিদি নম্বর ১। ছেলের যেন একটু শান্ত হয়, তাঁর মতি-গতি ফ𓂃েরে এই প্রার্থনাই করলেন তিনি।
রচনা ও তাঁর স্বামী প্রবাল বসুর একমাত্র সন্তান রৌনাক ওরফে প্রনীল। এমনিতে বেশ কড়া মা। ছেলেকে যথেষ্ট অনুশাসনের মধ্যেই বড় করছেন তিনি। ছেলের জন্য নিজের কেরিয়ারকেও জলাঞ্জলি দিয়েছেন রচনা। মূলত র🎉ৌনাকের পড়াশোনার দিকে নজর দিতেই অভিনয় থেকে সরে এসেছেন তিনি। তবে ছেলে প্রেমে পড়ছে এই চিন্তায় মাস কয়েক আগেই ঘুম ওড়েছিল তাঁর। দিদি নম্বর ১-এর মঞ্চেই জানিয়েছিলেন, ‘আমি প্রতি দিন রাতে কান ধরে আমার সঙ্গে শোয়াই। কিন্তু ও কিছুতেই আমার সঙ্গে শুতে চায় না।’ এরপরই ফুট কেটে অভিনেতা সোহল দত্তকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘তার মানে ওর মনে ফুল ফুটেছে’। তা শুনেই কড়া ভাষায় ছেলের ফোন চেক করবার হুমকি দিয়েছিলেন রচনা।
আরও পডুন-‘প্রচণ্ড খিটখিটে…', সারেগামাপা বিজয়ী 🌜পদ্ম পলাশকে নিয়ে দিদির কাছে নালিশ বউয়ের!