♏ চরিত্রের প্রয়োজনে ক্যামেরার সামনে ‘নগ্ন’ হতেও কুন্ঠাবোধ করেননি রাধিকা আপ্তে। প্রাচড ছবির একটি দৃশ্যে সম্পূর্ণ উন্মুক্ত উর্ধাঙ্গে দেখা মিলেছিল রাধিকার। আদিল হুসেনের সঙ্গে রাধিকার সঙ্গমের সেই দৃশ্য নিয়ে কম হইচই হয়নি। বোল্ড দৃশ্যে অভিনয়ে ছুৎমার্গ না থাকলেও সেক্স কমেডিতে কাজ করতে রাজি নন রাধিকা। বরুণ ধাওয়ানের সঙ্গে ‘বদলাপুর’ ছবিতে কাজ করবার পর একটি সেক্স কমেডির অফার এসেছিল রাধিকার কাছে। তবে সেই অফার ফেরান রাধিকা। বদলাপুরের বিনয় পাঠকের স্ত্রীর চরিত্রে দেখা গিয়েছিল রাধিকাকে। বরুণের হাত থেকে স্বামীর জীবন বাঁচাতে নগ্ন হয়েছিলেন রাধিকা, এরপরই একের পর এক সেক্স কমেডির অফার আসতে থাকে তাঁর কাছে।
🦂তবে কি ‘সেক্স কমেডি’ জঁর ছবি নিয়ে কোনও আপত্তি রয়েছে অভিনেত্রীর? রাধিকার সাফ কথা সেক্স কমেডিতে নারী শরীরকে পণ্য হিসাবে তুলে ধরা হয়, যা মেয়েদের জন্য অবমাননাকর। সেই কারণেই এমন ছবির অংশ হতে চান না রাধিকা আপ্তে।
🔯বলিউড হাঙ্গামাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বলেন, ‘আমার ব্যক্তিগতভা্বে সেক্স কমেডির সঙ্গে কোনও সমস্যা নেই। যেমন ধরুন হান্টার (২০১৫) কিন্তু এই ঘরানারই ছবি। কিন্তু অতীতে যে ধরণের সেক্স কমেডি আমরা দেখেছি সেগুলো মেয়েদের জন্য খুবই অবমাননাকর, কারণ সেখানে নারী শরীরকে পণ্য হিসাবে তুলে ধরা হয়েছে। আর সেই হিউমারটা আমি নিতে পারি না। তাই আমি সেই ধরণের ছবিতে কাজ করি না’।
🐽রাধিকা স্পষ্ট বলেন, চিত্রনাট্য পড়লেই জানা যায় কী ধরণের ছবি বানাতে চাইছেন পরিচালক। সেখানে কোন ধরনের মশকরা রয়েছে। তাঁর কথায়, ‘ছবিতে কোনও পুং-শ্রেষ্ঠত্বে বিশ্বাসী লোক যখন মেয়েদের নিয়ে উদ্ভট কোনও জোকস বলে, সেটায় আপত্তি নেই। সেই গল্পে পরিচালক কী দেখাতে চাইছেন সেটা জরুরি। কিন্তু এমন যেন না হয়, সেই বিষয়টাকে সেলিব্রেশন হিসাবে দেখানো হচ্ছে। সেটা গ্রহণযোগ্য নয়। তাহলে আমি কোনওদিন ওই ছবির অংশ হব না’।
ꦏশেষবার বিক্রম বেদা ছবিতে দেখা গিয়েছে রাধিকাকে। ছবিতে সইফের আইনজীবী স্ত্রী হিসাবে ধরা দিয়েছিলেন তিনি। আগামীতে তাঁকে দেখা যাবে নেটফ্লিক্সের ‘মনিকা ও মাই ডার্লিং'-এ।