পরিচালক রাজকুমার সন্তোষী নাকি মীনাক্ষী শেষাদ্রিকে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন। এমনটাই অভিনেত্রী একটি সাক্ষাৎকারে জানান। তিনি জানান, যখন জানা যায় যে রাজকুমার সন্তোষী কলকাতা আসছেন তাঁকে বিয়ে করতে তখন যশ চোপড়া এবং আমজাদ খান বিষয়টায় মধ্যস্থতা করেন। একই সঙ্গে অভিনেত্রী কথায় কথায় মনে, তাঁরা কী করে সকলে সমস্ত কিছুকে পিছনে ফেলে শেষ পর্যন্ত দামিনী ছবিটির কাজের প্ꦺরতি মনোনিবেশ করেছিলেন।
১৯৯৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি দামিনীতে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছিল মীনাক্ষী শেষাদ্রি এবং সানি দেওলকে। তাঁদের সঙ্গে এই ছবিতে ছিলেন ঋষি কাপুর, অমরেশ প🅠ুরী, প্রমুখ। এমনকি আমির খানকেও এই ছবিতে একটি বিশেষ চরিত্রে দেখা গিয়েছিল। এই ছবির চিত্রনাট্য লিখেছিলেন এবং পরিচালনা করেছিলেন রাজকুমার সন্তোষী। এই ছবির গল্পেꦫ ধরা পড়ে কী করে এক মহিলা সমাজের বিভিন্ন অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায় এবং লড়াই করে।
একটি সাক্ষাৎকারে মীনাক্ষী জানান, 'রাজকুমার আমাকে বিয়ে করতে চান যখন এই খবরটা প্রকাশ্যে আসে তখন আমরা সকলেই ভেবেছিলাম একটা সমস্যা তৈরি হতে চলেছে বোধহয়। কিন্তু তখন যশ চোপড়া এবং আমজাদ খান বিষয়টা সামাল দিয়েছিলেন। অন্যদিকে আমি আর রাজকুমার মিলে এই ছবিটিকে সেরা ছবি হিসেবে তৈরি করতে উঠে পড়ে লাগি। ঠিক করি যাই ব্যক্তিগত কথা হোক না কেন আমরা সেই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করব ⛄না।'
একই সঙ্গে তিনি জানান, 'এটাই সব থেকে উচিত কাজ ছিল ওই সময়। এরপর আমি অন্যত্র বিয়ে করে নিই এবং সসম্মানে জীবন কাটাতে থাকি। অন্যদিকে উনিও বিয়ে করে নেন। এই ঘটনার পরেও আমরা একসঙ্গে ঘাতক ছবিতে কাজ করেছি। কিন্তু ওই যে বললাম এরপর থেকে আম🍨রা ব্যক্ত💧িগত জীবনকে আলাদা রেখে, কাজটাকে কাজের মতো করে করেছি।'
১৯৯৫ সালে মীনাক্ষী হরিশ মাইসরকে বিয়ে করেন। এঁদের একটি পুত্র এ♈বং একটি কন্যা রয়েছে। অন্যদিকে রাজকুমার পরবর্তীকালে মনিলার সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।
১৯৯০ সালে মীনাক্ষী এবং রাজকুমার প্রথমবারের জন্য একত্র🐼ে ঘায়েল ছবির জন্য কাজ করেন। এটি রাজকুমার সন্তোষীর পরিচালক হিসেবে প্রথম কাজ ছিল। মৌসুমী চ্যাটার্জি, সানি দেওল, রাজ বব্বর, ওম পুরী, প্রমুখকে এই ছবিতে দেখা গিয়েছিল। সানি এবং মীনাক্ষী ছিলেন মূল চরিত্রে।