সম্প্রতি মণীশ মলহোত্রার দিওয়ালি পার্টিতে একটা ভিডিয়ো দেখে দাবি উঠতে থাকে সলমন আর ঐশ্বর্য নাকি ভরা পার্টিতে একে-অপরকে জড়িয়ౠে ধরেছেন সলমন খান আর ঐশ্বর্য রাই। যদিও পরে দেখা যায় ওই মহিলা আসলে সুরজ পাঞ্চোলির বোন ছিলেন। তবে তারপর থেকেই ফের চর্চায় উঠে এসেছে সলমন আর ঐশ্বর্যর স🍎ম্পর্ক। প্রেম থেকে বিচ্ছেদ, নতুন করে শুরু হয়েছে চর্চা।
১৯৯৯ সালে হাম দিল দে চুকে সনম-এর সেটে শুরু হয়েছিল মিষ্টি এক প্রেম কাহিনি। তবে ২০০২ আসতে না আসতেই তা এক তিক্ত মোড় নেয়। সলমন যদিও তখন ব্যাপারটা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য বলেছিলেন, সব জুটিদের মধ্যেই তো ঝামেলা হয়। তবে ঐশ্বর্য সাফ জানিয়ে দেন, সলমন তাঁকে ‘শারীরিক, মানসিক নির্যাতন করেছেন। দিয়েছেন অকথ্য গালা♑গালি’।
বিচ্ছেদের পর একটি হৃদয়বিদারক বার্তাও ভাগ 𝓀করে নিয়েছিলেন ঐশ্বর্য। যেখানে ছত্রে ছত্রে ছিল সলমন খানেরই সমালোচনা। সম্পর্ক ভাঙার কারণগুলি স্পষ্ট করেছিলেন। অন্তত নিজের দিকটা তুলে ধরেছিলেন সেই লেখায়। লিখেছিলেন, ‘আমার নিজের মঙ্গল, আত্মসম্মান, পরিবারের সম্মানের কথা মাথায় রেখে আমি আর কোনওদিন সলমন খানের সঙ্গে কাজ করব না। সলমনের অধ্যায় আমার কাছে ছিল দুঃস্বপ্নের মতো, ভগবানের অশেষ ধন্যবাদ যে সেই অন্ধকার🦂 অধ্যায় শেষ হয়েছে।’
ঐশ্বর্যর অভিযোগ ছিল সলমন মদ্যপ অবস্থায় তাঁর উপর অত্যাচার করতেন শারী🌞রিক ও মানসিকভাবে। শুধু তাই নয় করতেন গালাগাল। রাই-সুন্দরীর অভিযোগ ছিল সলমনকে তাতে সমর্থন জানাত তাঁর পরিবার-বন্ধুরাও। তাই নিজের সম্মানের কথা মাথায় রেখেই নিয়েছিলেন সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত। ঐশ্বর্যর বিশ্বাস ছিল, তাঁর জায়গায় অন্য কোনও আত্মমর্যাদা সম্পন্ন মহিলা থাকলে𝄹ও তেমনটাই করতেন।
শোনা যায়, চলতে চলতে সিনেম🃏া থেকে ঐশ্বর্য রাইকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল সলমনের কারণেই। সেই জায়গায় এসেছিলেন রানি মুখোপাধ্যায়। সেটে ঐশ্বর্যকে দেখতে এসে সকলের সামনেই নাকি ঝামেলা করেছিলেন সলমন। এমনকী হাতাহাতিও হয়েছিল শাহরুখ খানের সঙ্গে। কিং খান আর ঐশ্বর্যকে নিয়ে সন্দেহও করতেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
এখানেই শেষ নয়, ঐশ্বর্যকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন সলমন। তখনই বিয়ে করতে রাজি ছিলেন না অভিনেত্রী। যা নিয়ে কথাকাটাকাটি। মাঝ রাতে ঐশ্বর্যর ১৮ তলার ফ্ল্যাটে চলে আসেন ভাইজান। ক্রমাগত দরজায় ধাক্কা দিতে থাকেন। ওই ജ১৮ তলা থেকে ঝাঁপ দেওয়ার হুমকিও দিতে থাকেন। যা চলেছিল রাত তিনটে-চারটে পর্যন্ত বলে জানিয়েছিলেন প্রতিবেশীরা। অনবরত ধাক্কা মারার কারণে রক্ত পড়ছিল ঐশ্বর্যর হাত থেকে। একসময় বাধ্য হন ঐশ্বর্য সলমনকে তাঁর ফ্ল্যাটে প্রবেশ করতে দিতে।
সলমনের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর ঐশ্বর্য সম্পর্কে জড𝄹়ান বিবেক ওবেরয়ের সঙ্গে। তা নিয়েও কম মহাভারত হয়নি। বিবেকের বলি-কেরিয়ারই শেষ করে দিয়েছেন ভাইজান, বলে রয়েছে অভিযোগ। যদিও এখন অভিষেকের সঙ্গে সুখের সংসার বিশ্ব সুন্দরীর। তবে মাঝেমাঝেই পিছনে তাড়া করে সলমন খানের সেই কালো অধ্যায়।