ফের একবার আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে ভরে উঠেছিল যুবভারতী। আরও একবার একই সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়👍ে প্রতিবাদে সামিল হলেন মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল, মহামেডান স্পোর্টিং-এর সমর্থকরা। একে অপরের হাতে হাত রেখে এই লড়াইয়ে আওয়াজ উঠল, ‘আমাদের বোনের বিচার চাই’।
যদ🌠িও পুলিশ জানিয়েছিলে এই প্রতিবাদে 'টিফো' (পতাকা, সাইবোর্ড বা ব্যানার) আনা যাবে না। তবে হাইকোর্ট প্রতিবাদীদের প্রতিবাদীদের শেষপর্যন্ত টিফো আনার অনুমতি দেয়, তাই এক্ষেত্রে পুলিশের নিষেধাজ্ঞা বিন্দুমাত্র কাজ করেনি। আর মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল, মহামেডান স্পোর্টিং-এর সমর্থকদের এই যৌথ লড়াইয়ে গর্বিত অভিনেতা ঋদ্ধি সেন। ফেসবুকের পাতায় তাঁদের এই ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের হয়ে ঋদ্ধি যেমন সুর চড়িয়েছেন, ঠিক তেমনই ছাত্র সমাজের নাম নিয়ে বিজেপির নবান্ন অভিযানকে বিঁধতে ছাড়েননি ঋদ্ধি।
নিজের ফেসবুকের পাতায় লম্বা পোস্টে ঋদ্ধি সেন লেখেন, ‘প্রতিবাদের জন্য ছদ্মবেশ লাগেনা। ইস্ট বেঙ্গল,মোহনবাগান, মহামেডান স্পোর্টিং নিজ নিজ পরিচয়ে সগৌরবে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছে, নিজেদের পতাকার রঙের বিভেদ সেদিন ছিলো সব চেয়ে বড়ো ঐকবদ্ধতার ঢাল যে ঢাল নিয়ে নির্ভয় তারা সম্মুখীন হয়েছিল পুলিশের, মুখোমুখি জবাব চেয়েছিলো প্রশাসনের কাছে, বিচার চেয়েছিলো হত্যার। আজ আবার একই দৃশ্য দেখে গর্বিত বোধ করছি নাগরিক হিসেবে, ফুটবল প্রেমী মানুষ প্রতিবাদ করছে নিজ পরিচয়, খেলার মাঠে থেকে, আমার শহরে বিগত ১৬ দিন ধরে দিন রাত এক করে তিলোত্তমার হত্যার প্রতিবাদ করেছে সাধারণ মানুষ, ছাত্ররা ছাত্রের পরিচয়, ডাক্তাররা ডাক্তারদের, ১৪ই অগাস্ট রাতে রাজ্যের বা দেশের সমস্ত নারীরা রাস্তায় নেমেছিলেন নিজ নিজ পরিচয় অধিকা🃏রের লড়াইয়ে, ভিন্ন পেশার মানুষ এক সাথে মিশেছেন রাস্তায়, তাদের ব্যক্তিগত ভিন্নতা সরিয়ে রেখে অভিন্ন দাবিতে, বিচারের দাবিতে ,পুলিশ, প্রশাসন ,রাজ্য সরকারের ব্যর্থতার বিরুদ্ধে । শুধু এক বিশেষ বিরোধী পক্ষই হোঁচট খেলেন, বিরোধী শব্দটার প্রকৃত ব্যবহার করতে, বিরোধিতা করাই তাদের রাজনৈতিক কর্তব্য, অথচ একটা রাজনৈতিক আন্দোলনকে অরাজনৈতিক দেখাতে গিয়ে নিজেরাই সব চেয়ে বেশি প্রমাণ করলেন যে তারা আসলে পতাকার রঙের রাজনীতিটাও ভালো করে বোঝেননা। ছাত্র সাজতে গিয়ে তারা একমাত্র সেই ছাত্র সাজতে পারলেন যারা স্কুলে অংক টুকে পাশ করার স্বপ্ন দেখে শেষ অবধি দেখতো খাতায় সেই শূন্য এসছে, অংকের শেষ উত্তরটা ঠিক, তবে পদ্ধতি টোকায় ভুল।’
ঋদ্ধি থামেননি, তিনি আরও লেখেন, 'নিজের পরিচয় গোপন করার বদলে নিজের পরিচয় দিয়ে সোচ্চার হওয়াই রাজনৈতিক চেতনার পরিচয় l মুখহীন ,পরিচয়হীন 'সাধারণ মানুষ' কথাটার সব চেয়ে বড়ো পরিচয় হয় ওঠে 'সাধারণ' শব্দটা, যা হওয়া কঠিন। ‘জনগণমন’ শেষ অবধি সব চেয়ে বড়ো অধিনায়ক। আমি গর্বিত, পশ্চিমবাংলার ‘সাধারণ’ পরিচয়ের মানুষ সবচেয়ে অসাধারণ কাজটা করে চলেছেন, তারা ছিলেন রাস্তায়, থাকবেন, বিচারের দাবিতে,স🐎োচ্চার হবেন অন্যায়ের বিরুদ্ধে। ছাত্র সমাজ বা জন সমাজ থেকে উঠে আসতে পারে রাজনৈতিক নেতা,নেত্রী, তবে কোনো রাজনীতিবিদ সহজে হয়ে উঠতে পারেনা ছাত্র বা জনগণ।l কারণ অধিকাংশ ক্ষমতার আসনে বসে থাকা ব্যক্তিত্বদের যেটা নেই সেটা হলো সাহস, যা ছাত্র আর জন সমাজের সব চেয়ে বড় হাতিয়ার, তাই পতাকা বা ছদ্মবেশ, দুটোই তাদের কাছে অপ্রয়োজনীয়।