আরজি কর আবহের মাঝেই পুজো আসছে। আকাশে-বাতাশে শারদীয়ার গন্ধ। যদিও এবার পুজোর আগে মন বিশেষ ভালো🉐 নেই এরাজ্যবাসীর। তবে এসবের মাঝেই ২ অক্টোবর মহালয়ার মাধ্যমেই সূচনা হবে দুর্গোৎসবের। এরই মাঝে অনেকেরই তাই প্রশ𝐆্ন দুর্গোপুজোর আবহে কি তবে সত্যিই কি আর জি করের ঘটনার কথা ভুলে গেল রাজ্যবাসী?
দেবীপক্ষের সূচনার আগের দিন রাতেই ফের আরজি করের ঘটনার বিচার চেয়ে পথে নামতে চলেছে শহরবাসী। আর সেই মিছিলে থাকবেন এরাজ্যের বিশেষ ব্যক্তিত্বরা। সেসবিষয়েই মুখไ খুলেছেন শ্রীলেখা মিত্র, রুদ্রনীল ঘো🦩ষ, পায়েল সরকার, কৌশানী মুখোপাধ্যায়, লহমা ভট্টাচার্যরা।
এবিষয়ে আনন্দবাজারকে শ্রীলꦐেখা মিত্র জানিয়েছেন, তিনি প্রত্যেক মহালয়ায় প্রথমে মা, তারপর বাবার তর্পণ করেন। তাঁর কাছে তর্পণের অর্থ পূর্বপ্রজন্মকে আরও একবার মনে করা। একইসঙ্গে, তাঁর কাছে দেবী পক্ষের সূচনা মানেই অশুভের বিনাস। আর তাই তিনি এবার দেবীপক্ষে চাইছেন নির্যাতিতা যেন বিচার পায়। তাঁরও মহালয়ার দিন রাতে পথে নামার🐎 ইচ্ছে রয়েছে বলে জানিয়েছেন শ্রীলেখা।
আরও পড়ুন-‘বড় আদরের ছোট বোন’, ইউভানের কোলে ইয়ালিনি, রাজ-শুভশ্রীর🍒 পুত্র-কন্যার আদুরে ছবি ভাইরাল
রুদ্রনীল ঘোষের কাছে ছোট থেকেই মহালয়া মানে রেডিয়ো দখল করা। তিনি এইদিন ভোরে তিনি বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের গলায় মহালয়া শুনতেই ছোট থেকে অভ্যস্ত। তবে🌊 রুদ্রনীল মনে করে বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের যা পরিস্থিতি তাতে রোজই দিন-রা꧟ত দখল করা উচিত। কারণ তিনি চান গণতন্ত্রের প্রতিমা, ন্যায়বিচারের মন্ত্র যেন চুরি না হয়। তবে রুদ্রনীলের কটাক্ষ, 'যাঁরা সনাতনী হয়েও সনাতন ধর্মাচরণ নিয়ে অশ্রদ্ধা করেন তাঁরা মহালয়ের পুণ্য তিথিতে রাত-ভোর জাগলে, তাঁদের নেতারা বকবেন কি না সেটাই চিন্তার।' রুদ্রনীল জানান, যাঁরা মহালয়ার অর্থ জেনে রাত দখল করবেন, তাঁদের প্রতি অভিনেতার শ্রদ্ধা রয়েছে।
অন্যদিকে টলিপাড়ার আরও দুই অভিনেত্রী পায়েল সরকার ও লহমা ভট্টাচার্যও মহালয়ার আগের দিন রাত দখলকে সমর্থন জানিয়েছেন। তাঁরা এই বিশেষ দিনে নির্যাতিতার জন্য ঈশ্বরের কাছে ন্যায়বিচার চাইবেন বলে জানান। তবে তাঁদের কথায়, বর্তমানে এꦉই মামলার বিচারের ভার সুপ্রিম কোর্টের উপর আর তদন্তে সিবিআই। আর রাতারাতি বিচার হয়ে যাবে বিষয়টা এমন নয়। তাই তদন্তকারী অফিসারদের সময় দিতে হবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
এদিক🌄ে চলতি পুজোতেই মুক্তি পাচ্ছে অভিনেত্রী কৌশানি মুখোপাধ্যায়ের ছবি ‘বহুরূপী’। কৌশানি আনন্দবাজারকে জানান, তিনি কাজের ব্যস্ততার কারণেই পথে নামতে পারেননি। তবে ঈশ্বরের কাছে সবসময়ই ন্যায়বিচারের প্রার্থনা করে এসেছেন। তিনি চান এবার শহরবাসী যেꦡন কাজে থাকে, পুজোয় থাকেন একইসঙ্গে প্রতিবাদেও থাকেন।