একটা সময় তাঁকে বামমনস্ক অভিনেত্রী হিসাবে চিনত টলিগঞ্জ। কিন্তু ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলে যোগদান করেন একটা সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের🐻 সমালোচনায় মুখর সায়নী ঘোষ। তারপর থেকেই নানান কটাক্ষ তাঁকে ঘিরে যদিও রাজনীতির দুনিয়ায় পা দেওয়ার পর থেকেই নিজের ১০০% উজার করে দিয়েছেন সায়নী। ভোটে হারলেও তৃণমূলের যুবনেত্রী হিসাবে পাকা জায়গা গড়েছেন। সম্প্রতি শিক্ষা দুনীর্তিতে নাম জড়ায় তাঁর কিন্তু দমে যাননি সায়নী।
কুন্তল ঘোষের সঙ্๊গে সায়নীর ঘনিষ্ঠতা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন, ইডির জেরার মুখে পড়েছেন তিনি, সংবাদমাধ্যমকেও জবাব দিয়েছেন। ইডি তদন্ত চালাচ্ছে এর মাঝেই রাজ চক্রবর্তী পরিচালিত ‘আবার প্রলয়’ ওয়েব সিরিজে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে সায়নী। আজকাল রাজনৈতিক সভামঞ্চ হোক বা দলীয় অফিস কিংবা কোনও ছবির প্রচার, সায়নীর দেখা মেলে♕ শাড়ি অথবা সালোয়ার কামিজে। সাদা শাড়িতেই বেশিরভাগ সময় জনসভার মঞ্চে হাজির হন সায়নী, যেন মমতার ছায়া তিনি। রাজনীতিতে যোগ দিয়ে সায়নীর এই ভোলবদল নজর এড়ায়নি কারুর। আজকাল ফিল্মি পার্টিতে নজরেই আসেন না তিনি, রাজনীতিতে আসবার পর ‘আবার প্রলয়’ তাঁর দ্বিতীয় কাজ।
আজকাল সায়নী ঘোষের সাজ-পোশাকে নায়িকাসুলভ গ্ল্যামার কোশেন্ট নেই, বরং নেত্রীর দৃঢ়তাই সেখানে পরিস্ফুট।🥃 তাহলে রাজনীতিতে এলে অভিনেত্রীদের সাজ-পোশাক বদলে যায়? সম্প্রতি এমনই কথা শোনালেন সায়নী। টিভি নাইন বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সায়নী বলেন, ‘আমি যদি মোটামুটি টাইট জামা অথবা গাউন পরে হাজির হই, তবে মানুষেরই আমাকে গ্রহণ করতে অসুবিধে হবে, কোনওদিনই গ্ল্যামারের প্রতি আকৃষ্ট ছিলাম না। আর এখানে যে চরিত্র করছি সেই শম্পা সুন্দরবনের সাধারণ মেয়ে,তাই শম্পা যদি এখন গাউন পরে চলে আসে সেটাও বেমানান’। সায়নীর সাফ কথায়, ‘যেহেতু রাজনৈতিক পরিচয় রয়েছে তাই একটা অন্য মাত্রার শালীনতা বজায় রাখা উচিৎ বলে আমার মনে🐬 হয়’।
চরিত্রের প্রয়োজনে পর্দায় অন্তর্বাসেও ধরা দিয়েছেন সায়নী। কিন্তু রাজনীতির আঙিনায় পা দেওয়ার পর পর্দাতেও শুধুই ভারতীয় নারীর অবতারে সায়নী। আবার প্রলয়ের আগে ‘অপরাজিত’ ছবিতে সত্যজিৎ ঘরণী বিজয়া রায়ের চরিত্রে দেখা গিয়েছে। সেখানেও শাড়িতেই সম্পূꦕর্ণা অভিনেত্রী। তাই পশ্চিমী পোশাকে আজকাল দেখাই মেলে না তাঁর। তবে সায়নীর পথে হাঁটেননি তৃ🧜ণমূলের দুই তারকা সাংসদ। নুসরত জাহান বোল্ড পোশাকে ফটোশ্যুটের জন্য হামেশাই কটাক্ষের শিকার হন। সাংসদ হলেও অন্তর্বাসে ফটোশ্য়ুট করতেও পিছপা হনননি নুসরত জাহান। নিজের শর্তেই জীবন কাটান বসিরহাটের বিতর্কিত সাংসদ। ফ্ল্যাট দুর্নীতিতে সম্প্রতি উঠে এসেছে নুসরতের নাম। সায়নী সরাসারি কিছু না বললেও তাঁর ‘অন্য মাত্রার শালীনতা বজায় রাখা উচিত' মন্তব্য শুনে নিন্দকদের দাবি দলের তারকা সাংসদকে খোঁচা দিয়েই এই বয়ান সায়নীর। তিনি অবশ্য স্পষ্ট করেছেন এটা তাঁর ব্যক্তিগত মত।