অভিনয় তাঁর রক্তে! সইফ ও অমৃতার পদচিহ্ন অনুসরণ করেই এবার অভিনয়ের জগতে পা রাখতে চলেছেন ইব্রাহিম আলি খান। সইফের বড় মেয়ে সারা ইতিমধ্যেই বলিউডে নিজের জায়গা পাকা করে নিয়েছেন। ইব্রাহিমের লুক নিয়ে আলোচনা দীর্ঘদিনের। অনেকের মতেই হুবহু বাবার মতোই দেখতে ইব্রাহিমকে। শর্মিলা ঠাকুরের মতে, নাতি-নাতনিদের মধ্যে একমাত্𝓀র ইব্রাহিমকেই আক্ষরিক অর্থে পতৌদির নবাবদের মতো দেখতে।
ডেবিউয়ের আগেই সোশ্যাল মিডিয়া সেনসেশন ইব্রাহিম। ওকিন্তু জানেননি কেরিয়ার নিয়ে বাবার থেকে কোনওরকম পরামর্শই নেন না তিনি। বরং নিজের সিদ্ধন্ত নিজে নিতে ভালোবাসেন। করণ জোহরের কাছ থেকে ফিল্ম মেকিং-এর এবিসিডি শিখেছেন। রকি অউর রানি কি প্রেম কাহানির সহকারী পরিচালক ছিলেন সইফ-পুত্র।
দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কপিল শো'-এর এপিসোডে ছেলেকে নিয়ে অকপট সইফ। শোতে সঞ্চালক কপিল শর্মার সাথে কথোপকথনের সময়, সইফ জানান সারা প্রায়শই কেরিয়ার নিয়ে পরামর্শ নিতে পৌঁছে যান আব্বার কাছে, তবে ইব্রাহিম এখনও পর্যন্ত জীবনের কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রেই বাবার দ্বারস্থ হননি। সইফের আশা একদিন ইব্রাহিমের সাথে বসেও তিনি কেরিয়ার নিয়ে আলোচনা করবেন। তবে ইব্রাহিম কীভাবে ফিল্ম ইন্ড🌞াস্ট্রিতে তার যাত্রাপথকে এগিয়ে নিয়ে যায় তা জানতে আগ্রহী সইফ।
চ্যাটের মাঝখানে কপিল অভিনেতা আমির খানের সাথে একটি কথোপক༒থনের কথা স্মরণ করে জানান, আমির বলেছিলেন তাঁর সন্তানরা কখনও পেশাদার পরামর্শের জন্য তাঁর কাছে পৌঁছায়নি। তিনি সইফকে জিজ্ঞাসা করেไছিলেন যে এটি তার সাথে একই ঘটনা কিনা। সইফ মজা করে বলেন, ‘আমার মনে হয় ইব্রাহিমের আমিরের কথা শোনা উচিত। তাই সে বেশি কিছু জিজ্ঞেস করেন না।’
সইফ বলেন, ‘তবে আমি আর আমার মেয়ে সারা অনেক কথা বলি। কীভাবে কোনও কাজ করতে হবে সে সম্পর্কে ওহ আমার পরামর্শ নেয় ... কখনও কখনও সারা আমার কাছে কোনও ছবির দৃশ্য নিয়ে আসেন এবং আমাকে তার সাথে পড়তে বলেন এবং আমাকে কিছু ধ✨ারণা জিজ্ঞাসা করে।’ সইফ আশাবাদী হয়তো ভবিষ্যতে ছেলে ইব্রাহিমের সঙ্গেও তাঁর একই ধরনের কথা হবে।
অর্চনা পুরান সিং জানান, তিনি ইব্রাহিমের সাথে কাজ করেছেন, সইফ-পুত্রকে ‘বিশ্বের সবচেয়ে মিষ্টি ছেলে’ বলে অভিহিত করেন কপিলে শো-এর জাজ। গর্বের সঙꦯ্গে꧙ সইফের জবাব, ‘শুনে খুশি হলাম’।
সইফ-অমৃতার বিচ্ছেদ
বয়সের ফারাক কিংবা ধর্মের বেড়াজাল কোনটাই আটকে পারেনি সইফ-অমৃতার প্রেম। প্রথম দেখাতেই অমৃতার প্রেমে পড়েছিলেন সইফ। টান কম ছিলনা অমৃতারও। তাই তো প্রথম ডিনার ডেটেই একসঙ্গে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিলেন দু'জনে। সদ্য ২১-এ পা রাখা সইফ ১২🌳 বড় অমৃতাকে পরিবারের অমতে বিয়ে করেছিলেন। টেকেনি সেই বিয়ে।
২০০১ সালে বিয়ের ১০ বছর পর দম্পতি দ্বিতীয় সন্তান ইব্রাহিমের জন্ম হয়। আর ছেলের বয়স যখন সবে তিন বছর তখনই বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন সইফ-🎃অমৃতা। বাবাকে ছেলেবেলায় কাছে পাননি ইব্রাহিম। তবে বাবার সঙ্গে যোগাযোগ ছিন্ন হয়💯নি।
২০১১ সালে করিনাকে বিয়ে🍌 করেন সইফ। বাবার দ্বিতীয় বিয়েতেও পৌঁছেছিলেন সারা-ইব্রাহিম। করিনার সঙ্গেও দারুণ বন্ডিং সইফের প্রথম পক্ষের দুই সন্তানের। তৈমুর-জেহ-কে চোখে হারায় দাদা-দিদি।