𝔉 অভিনেতা সলমন খানের সঙ্গে গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের শত্রুতার নাটক দিন দিন ঘোলাটে হচ্ছে। গ্যাংস্টার সম্প্রতি সলমনকে আবারও হুমকি দিয়েছিল, এর আগেও তাকে একাধিকবার হুমকি পাঠিয়েছিল। এর মূলে রয়েছে ১৯৯৮ সালে একটি কৃষ্ণসার হরিণ হত্যায় সালমানের জড়িত থাকার অভিযোগ। বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের কাছে এই প্রাণীটিকে পবিত্র বলে মনে করা হয়। যদিও সলমন এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। লরেন্সের খুড়তুতো ভাই এখন দাবি করেছেন যে অভিনেতা কয়েক বছর আগে 'ব্ল্যাঙ্ক চেক' দিয়ে বিষয়টি শেষ করার চেষ্টা করেছিলেন।
🎀সম্প্রতি এনডিটিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সলমন খানের সঙ্গে গ্যাংস্টারের দ্বন্দ্ব নিয়ে মুখ খুলেছেন জেলবন্দি লরেন্সের খুড়তুতো ভাই রমেশ বিষ্ণোই। তাঁর দাবি, কৃষ্ণসার হরিণ কাণ্ডের পর বিষ্ণোইরা সলমনের নিন্দা করার পর অভিনেতা তাঁদের ক্ষতিপূরণ হিসেবে টাকার প্রস্তাব দেন। তিনি বলেন, সালমান কমিউনিটি নেতাদের সঙ্গে দেখা করার সময় একটি খালি চেকবই নিয়ে আসেন এবং বিষয়টি শেষ করার বিনিময়ে তারা যে দাম চান তাই দেওয়ার কথা বলেন। রমেশের কথায়, ‘টাকার পেছনে ছুটলে আমরা তো তখনই সেটা মেনে নিতাম।’
ꦬসলমনের বাবা সেলিম খানের অভিযোগ, লরেন্স আর্থিক লাভের জন্য সলমনকে টার্গেট করছেন। রমেশ বলেন, ‘হামারা খুন খোল রাহা থা উস ওয়াক্ত (তখন আমাদের রক্ত টগবগ করে ফুটছিল)’। তিনি আরও বলেন যে, ভারতে লরেন্সের ১১০ একর জমি ছিল এবং তিনি যথেষ্ট স্বচ্ছল ছিলেন। তাই তার কোনও ধরণের জুলুমবাজির পথ অবলম্বন করে টাকা রোজগার করার দরকার ছিল না।
কৃষ্ণসার হরিণ শিকার মামলা
ꦦ১৯৯৮ সালে যোধপুরে যখন সলমন খান তাঁর সিনেমা হাম সাথ সাথ হ্যায় সিনেমার জন্য শ্যুটিং করছিলেন, তখন কৃষ্ণসার হরিণ শিকারের ঘটনাটি ঘটেছিল। তাঁর সঙ্গে ছিলেন সইফ আলি খান, সোনালি বেন্দ্রে ও নীলম কোঠারি। ২৫ বছর ধরে এই মামলা চলছে এবং দোষী সাব্যস্ত হয়ে বর্তমানে জামিনে মুক্ত রয়েছেন সালমান। কৃষ্ণসার হরিণকে পবিত্র বলে মনে করা বিষ্ণোই সম্প্রদায় বারবার সালমানকে তার কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা চাইতে বলেছে। অভিনেতার বাবা সেলিম খান সম্প্রতি এবিপিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন যে, ক্ষমা চাওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই কারণ সেটা করলে অর্থ দাঁড়াবে তাঁর ছেলে দোষ স্বীকার করছেন। যেখানে তিনি তা করেননি। সলমন কোনোদিন কোনো প্রাণীকে হত্যা করার কথা স্বপ্নেও ভাবে না।