আদিবা﷽সী পরিচারিকা আত্মীয়ের সঙ্গে নিজের ভাষাতে কথা বলছেন। আর সেই ভাষা নিয়ে রসিকতা করে কন্টেন্ট বানিয়ে ফেলেন তাঁর মালিক। অভিনেত্রী সম্ভাবনা শেঠ এবং তাঁর স্বামী অবিনাশ দ্বিবেদী ভিডিয়ো বানিয়ে ফেলেন। যার ✨জেরে সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে বয়ে যায় সমালোচনার ঝড়। অবশেষে ক্ষমা চাইতে বাধ্য হন ওই তারকা দম্পতি।
সোশ্যাল মিডিয়া থেকে ভিডিয়ো মুছে ফেলার আগেই তা ভাইরাল হয়ে যায়। আদিবাসীদের অধিকার এবং ভাষা সংরক্ষণের দাবিতে প্রশ্ন তোলেন নেটিজেনারা। কটাক🧜্ষ এবং চরম নিন্দার সম্মুখীন হতে হয় কন্টেন্ট ক্রিয়েটর জুটিকে। ভাষার অপমানের বিরুদ্ধে সরব হয় আদিবাসী সম্প্রদায়ের একাংশ।
ভিডিয়োতে মূলত অবিনাশকে বলতে দেখা যায়, তাঁর পরিচারিকা ফোনে কারো সঙ্গে কথোপকথন করছিলেন। ঝাড়খণ্ডের সিমদেগা অঞ্চলের♈ বাসিন্দা ওই পরিচারিকা। তাঁর সঙ্গে সম্ভাবনা ও অবিনাশ কথা বলে জানতে পারেন গ্রামের ভাষায়, নিজের সম্প্রদায়ের ভাষায় কথা বলছিল সে। এরপরই পরিচারিকা এবং তাঁর ভাষাকে নিয়ে খানিকটা বিদ্রূপ করতে দেখা যায় ওই জুটিকে। তাঁদের বলতে শোনা যয়া, ‘এ আবার কী ধরনের ভাষা’। ভিডিয়ো আপলোড করে ক্যাপশনে লেখেন, ‘দিদির ভাষা শুনে হাসতে হাসতে মরে গেলাম।’ এরপরই নেটমাধ্যমে ওঠে সমালোচনার ঝড়।
প্রতিবাদ এবং সমালোচনার মুখে পড়ে ক্ষমা চাইতে বাধ্য হয় ওই তারকা জুটি। ꦫআদিবাসী সম্প্রদায়ের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে আরও এক ভিডিয়ো পোস্ট করেন তাঁরা। ভিডিয়োতে দম্পতিকে বলতে শোনা যায়, নিজেদের ভুল বুঝতে পেরছেন। উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে এটা করেননি বলে সাফাই দিয়েছেন। এমনকি এই ভাষা তাঁরা আগেও শোনেননি বলেই জানিয়েছেন।
পাশাপাশি এও জানিয়েছেন, সকলের প্রতিক্রিয়া দেখে জানতে পেরেছেন ঝাড়খণ্ডের প্রায় লক্ষাধিক মানুষ ওই ভাষায় কথা বলেন। ভবিষ্যতে আর এই রকম ভুল হবে না বলেছেনܫ। যদিও তাঁদের ক্ষমা চাওয়ার পরও সোশ্যালে বিতর্ক কিন্তু এখনও থামেনি।