চলতি সপ্তাহে ‘সুপার ডান্সার ৪’-র সেটে অতিথি বিচারক হিসেবে হাܫজির ছিলেন সঞ্জয় দত্ত। আর সেখানেই বাবা সুনীল দত্ত আর মা নার্গিসকে স্মরণ করলেন অভিনেতা। ক্যানসারের চিকিৎসায় কিছুদিন আগেই দুবাইতে গিয়েছিলেন সঞ্জয়, স্ত্রী মান্যতার সঙ্গে।
ইনস্টাগ্রামে সোনি টিভির পক্ষ থেকে যে প্রোমো শেয়ার করা হয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে, সুনীল দত্তের ‘ম্যায় এক বাদল আওয়ারা ছায়া’ দেখে অভিভূত সঞ্জয় বিচারকের কুর্সি থেকে উঠে চলে আসেন স্টেজে। এমনকী, মা ও বাবার সঙ্গে যুক্ত পুরনো দিনের কথাও শেয়ার করেন। যা শুনে অবাক হতে দেখা যায় শিল্পা শেট্টিকেও। সঞ্জয় গীতা কাপুর, অনুরাগ বসু, শিল্পা শেট্টিকে জানান তাঁর কলেজের প্রথম দিনের কথা। সঞ্জয় বলেন, ‘কলেজের প্রথম দিন ভেবেছিলাম বাবা বুঝ꧙ি গাড়ি দেবে, সেই গাড়ি আমায় ক্যাম্পাস অবধি ছেড়ে আসবে। ও মা, বাবা আমাকে বলল এটা সেকেন্ড ক্লাসের পাস, বান্দ্রা স্টেশন থেকে।’
যদিও এরপরেই মজার ছলে সঞ্জয় আরও যোগ করেন, যদিও আমি এক বছর পর কলেজ যাওয়া ছেড়ে দিয়েছিলাম। শুনে হাসতে থাকে গোটা সেটও। বাবা-মায়ের পদাঙ্ক অনুসরণ করেই ১৯৮১ সালে ‘রকি’ ছবি দিয়ে অভিনয়ের জগতে পা রাখেন সঞ্জয়। মা নার্গিস পানক্রিয়াটিক ক্যানসারে মারা যাও💟য়ার সপ্তাহখানেকের মধ্যেই। তবে, বিতর্ক কোনওকালেই পিছু ছাড়েনি তাঁর। মাদক থেকে বেআনইনি অস্ত্র মজুত, একাধিকবার নেগেটিভ কারণে নাম এসেছে খবরে। তবে, সিনেমার জগতে সঞ্জয় দত্ত-র নামটাই কাফি। এখনও তাঁর অভিনয় মুগ্ধ করে দর্শককে। তাঁর ‘মুন্নাভাই এমবিবিএস’ সিরিজ এখনও সুপার ডুপার হিট।
২০০৫ সালের ২৫ মে বাবা সুনীলকে হারান অভিনেতা। চলতি বছরেই বাবার মৃত্যুবার্ষিকীতে সুনীল দত্তের সঙ্গে সা💟দা-কালো ছবি পোস্ট করে সঞ্জয় সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছিলেন, ‘একজন অভিভাবক, একজন গুরু, একজন পথপ্রদর্শক-- তুমি আমার সবকিছু ছিলে বাবা। ভালোবা🅺সি তোমায় বাবা। খুব মিস করি।’