দেখতে দেখতে একসঙ্গে তিনটি কাজ করে ফেললেন ওঁরা। ওঁদের জুটি মানেই অন্য ধরনের ছবি, অন্যধরনের গল্প। কাদের কথা বলছি?💖 অতনু ঘোষ এবং প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। তাঁদের জুটির নতুন ছবি শেষ পাতা ১৪ এপ্রিল মুক্তি পেল। পয়লা বৈশাখে এই ছবি মুক্তি পাওয়া নিয়ে দুজনেই দুজনের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা থেকে নানা খুঁটিনাটি বিষয় ভাগ করে নিলেন। প্রসঙ্গত, এর আগে ময়ূরাক্ষী এবং রবিবার ছবিতে এই পরিচালক, অভিনেতা জুটিকে কাজ করতে দেখা গিয়েছে।
প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে এটা তৃতীয় কাজ। কিন্তু এরই মধ্যে বুম্বাদা অতনু ঘোষের ছবিতে কাজ করার জন্য মুখিয়ে থাকেন বলে জানা যাচ্ছে। এই বিষয়ে আনন্দবাজারের তরফে প্রশ্ন করা হলে পরিচালক জানান তাঁর সঙ্গে খুব বেশি অভিনেতা কাজ করতে চান না। এর আগে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় আগ্রহ দেখাতেন তাঁর সঙ্গে কাজ করার জন্য এবং এখন সেটা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় করেন। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'আমার ছবিতে কোনও মুখ্য চরিত্র হয় না। এই চরিত্রগুলো একসঙ্গে অনেক বড় কিছু হিসেবে ধরা দেয়। তাই আমার সঙ্গে কাজ করার ক্ষেত্রে অ൩ভিনেতার ইচ্ছে আসল হয়ে দাঁড়ায়।' তিনি কথা প্রসঙ্গে আরও জানান ঋতুপর্ণ ঘোষ নাকি তাঁকে প্রথমবার বলেছিলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে কাজ করার জন্য।
এ তো গেল পরিচালকের মত, কিন্তু অভিনে𒊎তা কেন তাঁর সঙ্গে কাজ করতে চাইতেন? উত্তরে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় জানান অতনু ঘোষ যখন ছবি করতে শুরু করে তখন তিনি বাণিজ্যিক ছবি করছেন একটার পর একটা। সেই কারণেই তিনি অংশুমানের ছবি অর্থাৎ অতনু ♍ঘোষের প্রথম ছবিতে কাজ করতে অস্বীকার করেন। তিনি আরও বলেন, 'ঋতু দা যেহেতু আমার কাজের ধরন, মানসিকতা জানত সেই কারণেই হয়তো অতনুকে বলেছিল আমার সঙ্গে কাজ করার জন্য।'
একই সঙ্গে বুম্বাদা জানান, বাপ্পাদিত্য বা অতনুর সঙ্গে ক🔴াজ না করলেও তাঁরা তাঁর স্ক্রিপ্ট এনে তাঁকে শোনাতেন। জানাতেন এই স্ক্রিপ্ট তাঁর জন্য নয়। তবুও পড়ে শোনাতেন বাংলা 'ইন্ডাস্ট্রি'কে। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'ওর সঙ্গে যোগাযোগ আমার বহুদিনের। ওর সব স্ক্রিপ্ট আমার জানা। ও যখন এসে স্ক্রিপ্ট শোনাত আমার ভালো লাগত। আসলে এই রীতিটা এখন আমাদের ইন্ডাস্ট্রি থেকে উঠে যাচ্ছে। কিন্তু অতনুর সঙ্গে🥃 আমার এই যোগাযোগ আছে।'
তাঁদের জুটির প্রথম ছবি ময়ূরাক্ষী জাতীয় পুরস্কার পায়। এই ছবির বিষয়ে অভিনেতা বলেন, এই ছবিটাকে দর্শক অনেকদিন﷽ মনে রাখবেন। এই ছবিতে সৌমিত্র বাবুর কাজ তাঁর কেরিয়ারের শেষ দিকের অন্যতম জরুরি কাজ হয়ে থেকে গেল। তিনি একই সঙ্গে জানান তাঁদের এর পরের ছবি রবিবার একদম অন্য ধাঁচের ছবি ছিল। তিনি পরিচালকের প্রশংসা করে বলেন তিনি তাঁর কাজ থেকে চরিত্রদের নিয়ে কখনও কম্প্রোমাইজ করেননি।
পরিচালক নাহয় কম্প্রোমাইজ করেননি কিন্তু অভিনেতা নিজে? এই বিষয়ে তিনি সাফ বলেন, 'মাঝে মাঝে কম্প্রোমাইজ করতে হয়। আমার ছেলের জন্য, আমার সঙ্গে যাঁরা কাজ করেন তাঁদের জন্য করতে হয়। সেই জন্য তো এত বড় বাড়ি বানাতে পেরেছি। ত💃বে এখন বেছে কাজ করি।'
কিন্তু অতনু ঘোষের ছবিতে কেন কেউ কাজ করতে রাজি হন না? এর নেপথ্যে কোন কারণ আছে? এই বিষয়ে পরিচালক নিজেও জানান, 'সিনেমা নিয়ে পরীক্ষা করা হলে সেটার কেউ খুব একটা প্রশংসা করে না। প্রসেন꧃জিৎ চট্টোপাধ্যায় যতই ক্লার্ক, আতঙ্ক, ইত্যাদি করুন না কেন তাঁর গায়ে ওই একটা তকমা জুড়ে দেবেই যে চেষ্টা করেছিল কিন্তু শেষ অবধি পারেনি। আসলে এখন খুব দ্রুত কোনও ছবিকে দাগিয়ে দেওয়া হয় ভালো বা মন্দ হিসেবে। এট🍷া না করে যে কোনও অভিনেতার কাজ একটু ভালো করে দেখ প্রয়োজন।'
পরিশেষে নিজের কেরিয়ার থেকে লড়াই প্রসঙ্গে প্রসেনজিৎ বলেন 'আমি এই জগতে আছি আজ ৪০ বছর। মাত্র ১৫ দিনের গ্যাপে আমি মনের 💛মানুষ আর অটোগ্রাফের শ্যুটিং করেছিলাম। ব্যবসার সঙ্গে শিল্পের কথাও ভাবা উচিত। তাই আমাদের এই লড়াই করে যেতে হবে। আমি তো করবই।'