সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বলি-অভিনেত্রী শেফালি শাহ জানিয়েছেন মাঝেমধ্যেই পরিবারের কিছু সদস্যদের কথাবার্তায় প্রচন্ড রাগ হলেও তিনি তা কোনওরকমে সামলে নেন। মাঝেমধ্যে উত্তেজিত হয়ে পড়লেও তাঁর উদ্দেশে শান্ত থাকার অনুরোধ করা হয়। 'দিল ধড়কনে দো' ছবির অভিন🎃েত্রী আরও জানান এমনও একেক সময় আসে যখন তাঁর শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিভিন্ন কথায় সহমত পোষণ করেন না তিনি। কিন্তু সেইসব কথাবার্তার প্রভাবও নিজের উপর পড়তে দেন না তিনি। কীভাবে? সে জবাবও দিয়েছেন তিনি নিজেই। তাঁর মতে, তিনি বোঝেন তাঁর শ্বশুরবাড়ির বর্ষীয়ান সদস্য, সদস্যরা তাঁদের আগের প্রজন্মের। সুতরাং মানসিকতার তফাৎ তো থাকবেই। এই কথা প্রসঙ্গে ত🍸িনি আরও জানান যে এমন কিছু প্রশ্ন তাঁকে করা হয় অথচ তাঁর স্বামী তথা প্রখ্যাত পরিচালক-প্রযোজক বিপুল অমৃতলাল শাহ-কে করা হয় না।
পিঙ্কভিলা-কে দে🐼ওয়া ওই সাক্ষাৎকারে এই প্রসঙ্গে এতটুকুও দ্বিরুক্তি না করে শেফালি বলেছেন, 'বিপুল যখন পরপর সব প্রজেক্টের ব্যাপারে ব্যস্ত হয়ে পড়েন, তখন তাঁকে তাঁর শাশুড়ি জিজ্ঞেস করে না কেন এত কাজ করছ? অথচ আমি যখ💞ন পরপর ছবির শ্যুটিংয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ি তখন আকছার শুনতে হয় আবার আজকেও শ্যুটিং? আমি তখন বলি একই কথা তো আপনার ছেলেকেও জিজ্ঞেস করতে পারতেন আপনি। তা না করে শুধু আমাকে কেন?'
এখানেই কিন্তু থামেননি এই বলি-অভিনেত্রী। পরিষ্কারভাবে জানিয়েছেন তাঁদের পরিবারেও পুরুষ প্রাধান্য বিষয়টি বহাল তবিয়তে রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ শেফালি জানিয়েছেন একবার খাওয়াদাওয়ার পর তাঁর স্বামী অর্থাৎ বিপুল রান্নাঘর পরিষ্কার করছি🔯লেন, বাসনও ধুয়ে রাখছিলেন। তাই দেখে অসহিষ্ণুতা প্রকাশ করে শেফালির শাশুড়ি অর্থাৎ বিপুলের মা নাকি বলে উঠেছিলেন, এত নামি পর▨িচালক অথচ সে বাড়িতে বাসন মাজছে? কথাটি শুনে হাসি পেলেও মনে মনে এই ভেবে অবাক হয়ে গিয়েছিলাম যে আমিও তো বাড়িতে মাঝেমধ্যেই এসব করি। কই তখন তো কেউ বলেন না যে একজন অভিনেত্রী হয়ে আমি কেন করছি এসব? পরে অবশ্য আমি আর আমার স্বামী দু'জন্যেই এই কথায় ভারি হেসেছিলাম।'