শ্রেয়া ঘোষাল এবং সুনিধি চৌহান অতীতে একাধিক চলচ্চিত্রের গান গেয়েছেন, যার মধ্যে রয়েছে ঈমান কা আসর (ডর; ২০০৬) এবং হাম তো অ্যায়সে হ্যায় ভাইয়া (লাগা চুনারি মে দাগ; ২০০৭), এবং এখন দুই ‘বেস্টি’ প্রথমবারের মতো একটি স্বতন্ত্র গানের জন্য একত্রিত হয়েছে। সুরকার জুটি সেলিম-সুলেমানের উদ্যোগ গায়িকারা 'ছয়লা' শিরোনামে একটি একক রেকর্ড করেছেন, যেখানে তাদের ‘ভিন্ন ꦛঅ🍷বতারে দেখা যাবে’।
সুনিধির সঙ্গে প্রতিযোগিতা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে শ্রেয়া এইচটি সিটি♛কে জবাব দেন, ‘মহিলা শিল্পীদের নিয়ে এসব বলতে পেরে মানুষ একরকম আনন্দ পায় এবং অনুভব করে যে তারা প্রতিযোগিতায় আছে, যেন এক ধরনের যুদ্ধক্ষেত্রে (হাসি)। সবাইকে হতাশ করার জন্য দুঃখিত তবে, সুনিধি এবং আমি প্রিয় বন্ধু। আমি অবাক হই যে কীভাবে পুরুষ শিল্পীরা কখনও একে অপরের বিরুদ্ধে দাঁড়ায় না।’
আর তাতে সুনিধ🧸ি যোগ করেন, ‘আমাদের পছন্দ এক নাও হতে পারে, কিন্তু আমাদের আত্মা একরকম। এটাই আমাদের বন্ধুত্বের সংজ্ঞা বহন করে।’
সুনিধি আরও বলেন, ‘আমরা প্রা♔য়ই কফি খেতে খেতে আড্ডা দেই আর অবিরাম আড্ডা দেই। এমনকী যখন আমরা একসাথে স্টুডিওতে থাকি, তখন আমরা এত মজা করি যে তিন ঘন্টার সেশনটি ছয় ঘন্টায় পরিণত হয়। আমরা একে অপরকে গঠনমূলক ইনপুটও দিই, যা আমাদের কাজকে আরো ভালো করে।’
শ্রেয়া যোগ করেন, ‘আসলে আমরা সবসময় একসঙ্গে সময় কাটানোর অজুহাত খুঁজি। সঙ্গীতের পাশাপাশি আমাদের মধ্যে আরও একটি মিল হল আমরা দুজনেই ছেলের মা। আমার মনে আছে আমি যখন গর্ভবতী ছিলাম, তখন আমি যে কোনও কিছু জানার জন্য সুনিধির কাছে যেতাম। আমার মনে আছে একবার আমি ওঁকে ফোন করে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, 'আমার বাচ্চার জন্য আমার কোন ডায়াপার কেনা🌺 উচিত'?’
চলতি বছরের মে মাসে ইনস্টাগ্রামে শ্রেয়া ও সুনিধি চৌহান একটি যৌথ পোস্ট ভাইরাল হয়েছিল। যেখানে তাঁরা বিমানের ভিতরে বসেছিলেন পাশাপাশি। প্রথম ছবিতে দেখা গিয়েছিল ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে হাসতে হাসতে একে অপরকে জড়িয়ে ধরেছেন দু'জনে। ভ্রমণের জন্য সুনিধি পরেছিলেন সাদা-কালো শার্ট এবং শ্রেয়ার গায়ে ক্রিম রঙের শার্ট। দু'জনেরই চোখে ছিল গাঢ় রঙের সানগ্লাস। পরের সেলফিতে দুই গায়িকা করেছিলেন পাউট। ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, ‘এসসি এসজি ব্রেক দ্য ইন্টারনেট (হাসি ম💮ুখের ইমোজি)’। এখানে এসসি হলেন সুনিধি চৌহান ও এসজি হলেন শ্রেয়া ঘোষাল।
শ্রেয়ার পোস্টে সুনিধি চৌহান মন্তব্য করেছিলেন, ‘ফ্লাইট জার্নিটা দারুণ মজার ছিল!! তোমাকে ভালোবাসি’ (লাল হৃদয়ের ইমোজি)। সেই পোস্টে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বিশাল দা꧃দলানি ⛦লিখেছিলেন, ‘আমি ওই বিমানে উঠতে চাই। শুধু তোমরা কী কথা বললে তা শোনার জন্য!’