মিশন মজনু মুক্তি পাওয়ার ✃পর ছবিটি নিয়ে সিদ্ধার্থ মালহোত্রা এবং রশ্মিকা মন্দানাকে আলোচনা করতে দেখা গেল। এই ছবিতে সিদ্ধার্থকে তারিকের ভূমিকায় দেখা যাবে। তিনি এখানে একজন ভারতীয় গুপ্তচরের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। তিনি কীভাবে পাকিস্তানে থেকে সেদেশের সরকারের নানা গোপন তথ্য দেশে পাঠাতেন সেটাই এই ছবিতে 🎀ধরা পড়েছে। অন্যদিকে রশ্মিকাকে দেখা গিয়েছে একজন পাকিস্তানির চরিত্রে। তাঁর চরিত্রের নাম নাসরিন।
সম্প্রতি ২০১৮ সালে মুক্তি পাওয়া আলিয়া ভাট অভিনীত রাজি ছবিটির সঙ্গে সিদ্ধার✨্থের মিশন মজনুর দারুণ তুলনা চলছে। অনেকেই বলছেন এটা নাকি রাজির মেল ভার্সন! মিশন মজনু ছবিটি গত ২০ জানুয়ারি নেটফ্লিক্সে মুক্তি পেয়েছে।
এই ছবির প্রেক্ষাপট হচ্ছে ১৯৭০ সাল। সত্য ঘটনা অবলম্বনে ছবিটি বানানো হয়েছে। সিদ্ধার্থকে এখানে র-এর এজেন্টের চরিত্রে দেখা যাবে। তিনি পাকিস্তানে ঢুকে কীভাবে গোপনে অপারেশন চালান এবং এদেশে খবর পৌঁছান সেটাই এখানে ধরা পর্বে। চলতি ব꧒ছরের শু🅘রুর দিকে যখন ছবিটির ট্রেলার মুক্তি পেয়েছিল তখনই সবাই এটার সঙ্গে আলিয়া ভাটের রাজির তুলনা করতে শুরু করেন।
রাজি ছবিতে দেখা গিয়েছিল আলিয়া একজন ২০ বছর বয়সী কাশ্মীরি মেয়ে। তাঁর নাম সেহমত। তাঁর সঙ্গে একজন পাকিস্তানি সেনা জওয়ানের বিয়ে হয়। তাঁর স্বামীর চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন ভিকি কৌশল। রাজি পাকিস্তানে গিয়ে কীভাবে সেখানকার তথ্য এখানে ﷽পাঠাত সেটাই রাজি ছবিতে ধরা পড়েছিল।
একটি সাক্ষাৎকারে এই তুলনা নিয়ে মুখ খুললেন সিদ্ধার্থ মালহোত্রা। তিনি বলেন, 'এটা কখনই খারাপ কিছু নয়। মানুষ একটা ছবির রেফারেন্স পয়েন্ট হিসেবে কিছুকে খুঁজতে চাইছে। এই তুলনা কখনই ভয়াবহ, বা আতঙ্কের কারণ মনে হয়নি। হ্যাঁ, বাই❀রে দিয়ে দেখতে গেলে দুটো ছবির ট্রেলারকে অনেকের একই রকমের মনে হতে পারে। তবে ছবিটি দেখার পর দর্শকরা তাঁদের মতামত জানালে ভালো হবে। ছবিটি ২০ তারিখ মুক্তি পেয়েছে। ওঁরা একবার ছবিটি দেখুন, তারপর এই আলোচনা🐎 করুন। আমার মনে হয় সেটা অনেক বেশি যথাযথ হবে।' ফিল্ম কম্প্যানিয়নকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অভিনেতা এমনটা জানিয়েছেন।
তাঁকে যখন জিজ্ঞেস করা হয় এই ছবিতে কী আর ৫টা ভারতীয় ছবিতে পাকিস্তানিদের যেমন দেখানো হয় তেমনই দেখানো হয়েছে? এর উত্তরে অভিনেতা বলেন, ' আমরা ছবিটা এমনভাবে করার চেষ্টা করেছি যাতে সেটা কোনও একটা নির্দিষ্ট জাতির উপর প্রভাব না ফেলে। এর আগেও শেরশাহ ছবিতে ভারত পাকিস্তান যুদ্ধ দেখানো হয়েছে, কিন্তু সেখানেও ওপারের থেকে বেশি এপারে কী হয়েছিল, মানুষটার লড়াই কেমন ছিল সেটাকে দেখানো হয়েছে বা সেটার উপর জোর দেওয়া হয়ꦐেছে। শেরশাহর মতো একই চেষ্টা এখানেও করা হয়েছে। ব্যক্তিগত আক্রোশ, ক্ষোভ বের করা হয়নি এখানে কারও উপর।ꦰ তাই আমি বলব কোনও সিদ্ধান্তে আসার আগে, মতামত দেওয়ার আগে সবাই যেন একবার ছবিটি দেখেন। এটা কোনও জাতির বিষয় নয়। কোনও ধর্ম বা জাতি কখনই কোনও ছবির প্রধান ইস্যু হয় না।'
শান্তনু বাগচী পরিচালিত এই ছবির প্রযোজনা করেছেন রনি স্ক্রিওয়ালা𒐪, অমর বুটালা, গরিমা মেহতা।