আরজি কর কাণ্ড নিয়ে সরব হয়েছে বাংলার কম-বেশি বেশি✱রভাগ তারকা। মুখ খুলেছেন সঙ্গীতশিল্পী, শহর ব্র্যান্ডের জনপ্রিয় গায়ক অনিন্দ্য বোসও। সোশ্যাল মিডিয়ায় আরজি কর কাণ্ড নিয়ে সরব হতে দেখা গিয়েছে অনিন্দ্যকেও। ঘটনার পর ২৩দিন কেটে গেলেও আরজি কর কাণ্ডে নির্যাতিতা চিকিৎসক তরুণী ও তাঁর পরিবার এখনও বিচার পায়নি। তাতে হতাশ এরাজ্যে বহু মানুষ। একইভাবে দীর্ঘশ্বাস ধরা পড়েছিল শিল্পীর পোস্টেও। দু-দিন আগেই প্রশ্ন তুলে তিনি লিখেছিলেন, ‘২০দিন পার, কোথায় বিচার?’
এদিকে সামনেই বাঙালির দুর্গোৎসব। অনেকের মনেই হয়ত তাই প্রশ্ন জাগছে, তবে কি পুজোর আবহে সবকিছু ধামাচাপা পড়ে যাবে? তবে নাহ, পুজো যতই আসুন, বাঙালিরা হাল ছাড়তে নারাজ। কমবেশি সকলেই শেষ দেখে ছাড়তে চান। যদিও কেউ কেউ এবার পুজো বন্ধের দাবি তুলেছেন। কেউ আবার পুজো বন্ধের পক্ষে না হলে হাল আরজিকর নিয়ে হাল ছাড়তে চান না। সঙ্গীতশিল্পী অনিন্দ্য বোস, এবার পুজোর আবহকেও প্রতিবাদের আবহ করে তুলতে চান। তাঁর কথায়, এবার পুজোর থিম যেন এমন হয়, যাতে মানুষের আরও বেশি করে আরজি করের ঘটনার কথা মনে পড়ে যায়। এই দুর্গাপুজো য🐽েন মানুষের মধ্যে আরও আক্রোশ বাড়িতে তুলতে পারে।
আর তাই ফেসবুকের পাতায় বিশেষ ধরনের পুজোর থিমের প্রস্তাব রেখেছেন সঙ্গীতশিল্পী অনিন্দ্য বোস। তিনি লিখেছেন, 'পুজো এ বছর ছোট, বড়,প্রত্যেকটা পুজোর থিম হোক 'হাওয়া'...কোন ম🌳ন্ডপ, আলোকসজ্জা, থিম মিউজিক কিচ্ছু না| যেখানে অজস্র নির্যাতিতাদের দীর্ঘশ্বাস আর আক্রোশের সোঁ স♍োঁ শব্দ শোনা যাবে...! নিশ্চুপে কান পাতবেন, দেখবেন সেই শব্দ ঠিক শুনতে পাবেন…। শুনতে পাবেন দুর্গা কাঁদছেন...শুনতে পাবেন আপনার মধ্যের যিনি দুর্গা, তিনি ফুঁসছেন...!!!'
প্রসঙ্গত, আরজি করের ঘটনা শিল্পী অনিন্দ্য বোসকে এতটাই নাড়িয়ে দিয়েছে। যে কিছুদিন টলিউডের প্রতিবাদ মিছিলে তিনি সামিল হতে না পারলেও অঝোরে কেঁদেছিলেন অনিন্দ্য বোস। ফেসবুক লাইভে এসে আরজি কর নিয়ে কথা বলতে গিয়ে কাঁদতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। আবেগঘন অনিন্দ্যকে সেদিন কাঁদতে কাঁদতে বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘এই শহরটাকে আর চিনতে পারছি না। প্রতিবাদের ভাষাকে রুখে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। এসব দেখে আমি একদম ভালো নেই। মে𒈔য়েটার মুখ দেখলেই নিজের সন্তানের মুখ মনে পড়ে যাচ্ছে। আমরা কোথায় আছি? আমার জন্ম তো এখানেই𝄹। এখান থেকেই চলে যাব। কিন্তু এই শহরটাকে চিনতে পারছি না।…’
অন𓂃িন্দ্যর ফেসবুক লাইভ দেখে সেদিন কেঁদে ফেলেছিলেন তাঁর বহু অনুরাগী। তবে অনিন্দ্য থামেননি। বারবার আরজি করের ঘটনা নিয়ে ফেসবুকের পাতায় সরব হয়ে চলেছেন তিনি। কলম ধরেছেন।
ঘটনার তীব্র নিন্দা করে দু'দিন আগেই লিখেছিলেন, 'একটা ৩১ বছরের তরতাজা প্রাণ...!?যতটুকু সোশ্যাল মিডিয়া বা বিভিন্ন টিভি চ্যജানেলগুলোতে দেখা মানুষজনের থেকে জানতে পেরেছি...সেই মানুষটার দুটো পা দু দিকে চিরে দেওয়া হয়েছিল,কোমরের হাড় ভেঙে টুকরো টুকরো,শ্বাসরোধ করা হয়েছে,চোখ ফেটে রক্ত বেরিয়েছে,শরীরে অজস্র গভীর আঘাত আর বাকীটুকু বলতে নিজেরই গা গুলিয়ে উঠছে...শরীর মন বিষাদগ্রস্থ হয়ে পড়ছে...। কুড়ি দিন পার হতে চলল...! বিচার ব্যবস্থায় সাদা চোখে 'হ য ব র ল' ছাড়া আর কিস্যু দৃষ্টিগোচর হচ্ছে না! এই নৃশংস হত্যাকান্ড ঘটানো যে একজন মানুষের পক্ষে সম্ভব নয় তা যেকোন শিশুও বোধহয় বলে দিতে পারবে! আবার বলছি,সমস্ত অপরাধীদের কঠিন শাস্তি চাই...এবং যারা যারা এই ঘৃণ্য অপরাধের সঙ্গে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে জড়িত প্রত্যেকের শাস্তি চাই...। কোন দলের ছাতার তলায় দাঁড়িয়ে নয়...এই দেশ এবং রাজ্যের একজন নাগরিক হিসেবে এই দাবী| ভুলে যাবেন না,সাধারণ মানুষ সব দেখছে...সব বুঝছে...তারা কেউ বোকা নন......।'
\