রাহাত ফতে আলি খান সম্প্রতি এক পডকাস্ট শো-তে ব্যাপকভাবে শেয়ার হওয়া একটি ভিডিয়ো নিয়ে মুখ খুলেছেন। সেই ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছিল, নাভিদ হাসনাইন নামের এক ব্যক্তিকে জুতো দিয়ে আঘাত করছেন পাকিস্তানের গায়ক। পডকাস্টে আদিল আসিফের সঙ্গে কথাꦐ বলার সময়, রাহাত জানান যে, তিনি নাভিদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। যাকে তিনি ‘শাগরেদ’ বলে ডাকেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেরই অভিযোগ ছিল, তিনি তাঁর শিষ্যকে শারীরিক নির্যাতন করছেন। পডকাস্টে খোলসা করলেন গোটা ব্যাপারটা।
ভাইরাল ভিডিয়ো প্রসঙ্গে রাহাত ফতেহ আলি খানের মন্তব্য:
গায়ক আদিলকে বলেন, ‘আমি ওর কাছে ক্ষমা চেয়েছি। শুনে ও কাঁদতে কাঁদতে বলে, ‘উস্তাদজি (স্যার) আপনি কেন এমন করছেন?’ ৪৯ বছরের গায়ক আরও বললেন, ‘আমার সঙ্গে ওর সম্পর্ক বাবা-ছেলের মতো। শাগরেদ༒ের বাবা হওয়া বেশি দরকারি༒। আমি ওর বাবার চরিত্র পালন করছি।’
তিনি আরও বলেন যে, তিনি তাঁর কর্মচারীর পরিবারকে তিনি নানাভাবে সাহায্য করে থাকেন। নানা সময়, চিকিৎসা থেকে শুরু করে বিয়ের ব্যয়ভার বহন করে সহায়ত🅘া করছেন।
অনলাইন ট্রোলিং প্রসঙ্গে রাহাত ফতে আলি খান
ট্রোলিংয়ের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে পাকিস্তানি গায়ক বললেন, ‘ও আমার আশ্রিত। এটা ঠিক যে আমি ওকে তিরস্কার করেছি। পরে ক্ষমাও চেয়েছি। এটা পর্যন্ত ঠিক ছিল। তবে লোকেরা এখন এটা নিয়ে মজা করছে। কিন্তু আসল সত্য হল, ওর কাছে আমা꧒র পবিত্র জল ছিল। মানুষ এটির গুরুত্ব বুঝতে পারছে না। এটা আমার জন্য ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটা আমার আধ্যাত্মিক বিশ্বাসের সঙ্গে যুক্ত।’
ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োতেও দেখা গিয়েছিল, রাহাত ফতে আলি খান ওই ব্যক্🐬তিকে মারধর ও চড♍়-থাপ্পড় মারছিলেন। বারবার জিজ্ঞেস করছিলেন, 'আমার বোতল কোথায়?
পরে রাহাত ঘটনাটিকে একজন শিক্ষক ও ছাত্রের মধ্যেকার ‘অভ্যন্তরীণ বিষয়’ বলে অভিহিত করেন। ‘আপনারা এই ভিডিওগুলোতে যা দেখেছেন তা একজন উস্তাদ (মাস্টার) এবং একজন শাগরেদের (শিষ্য) অভ্যন্তরীণ বিষয়। যখন একজন প্রতিপক্ষ ভালো কাজ করে, আমরা তাদের অনেক প্রশংসা করি। আর যখন তারা ভুল করে, তখন আমরা তাদেরকে শাস্তি দেই... আমি একই 🍸সঙ্গে তার কাছে ক্ষমাও চেয়ে নিয়েছিলাম…’, তিনি একটি পৃথক ভিডিয়োতে স্পষ্ট করেছিলেন নিজের অবস্থান।
'ও রে পিয়া'-খ্যাত গায়ক আরও বলেছিলেন যে, যিনি ভিডিওটি রেকর্ড করেছেন তিনি তাঁর ভাবমূর্তি নষ্ট করার চে🐼ষ্টা করেছিলেন।